অনলাইন
বুরকিনিতে 'মিস ইউনিভার্সের' মঞ্চ কাঁপালেন পাক সুন্দরী
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ বছর আগে) ২০ নভেম্বর ২০২৩, সোমবার, ৪:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন

নিকারাগুয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং থাইল্যান্ড এই বছর মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার শীর্ষ তিনে জায়গা করে নেয় এবং নিকারাগুয়ার শেনিস প্যালাসিওস- এর মাথায় মিস ইউনিভার্স ২০২৩-এর মুকুট উঠেছে।শেনিস প্যালাসিওসকে ১৯ নভেম্বর এল সালভাদরের সান সালভাদরের জোসে অ্যাডলফো পিন্ডে এরিনায় মুকুট পরানো হয়েছিল। ভারতের শ্বেতা শারদা সেমিফাইনালের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে শীর্ষ ২০ তে স্থান পান। কিন্তু শ্বেতা সুইমস্যুট রাউন্ডের পরে শীর্ষ ১০-এ প্রবেশ করতে ব্যর্থ হন। যেহেতু প্রতিযোগিতাটি কঠিন ছিল এবং বেশিরভাগ সেরা প্রতিযোগী সুইমস্যুট রাউন্ডের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তবে এঁদের মধ্যে আলাদা করে যিনি নজর কাড়েন তিনি হলেন পাকিস্তানের প্রতিযোগী এরিকা রবিন। যার পোশাকটি চূড়ান্ত রাউন্ডের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এরিকা রবিন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন কারণ তিনি প্রথম পাকিস্তানি যিনি মিস ইউনিভার্স সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন।
এরিকা ২৫ বছরের রবিন এই বছরের সেপ্টেম্বরে মিস ইউনিভার্স পাকিস্তান খেতাব জিতেছিলেন এবং তিনি মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে সুইমস্যুট রাউন্ডের সময় বুরকিনি পরে আরেকটি ইতিহাস তৈরি করেছেন। বুরকিনি কথাটি এসেছে, বোরখা এবং বিকিনি থেকে। বোরখা এবং বিকিনির সমন্বয়ে এই অদ্ভুত সাঁতারের পোশাকটি প্রথম নকশা করেছিলেন অস্ট্রেলিয় ডিজাইনার আহিদা জেনেত্তি।
জেনেত্তির সংস্থা, আহিদাই বুরকিনির নকশা এবং বুরকিনি শব্দটির ট্রেডমার্কের মালিক। তবে, বর্তমানে আরও বিভিন্ন নকশার বুরকিনি তৈরি করেন অন্যান্য ডিজাইনাররা। এই সাঁতারের পোশাকটি নারীদের শুধু মুখ, হাত এবং পা ছাড়া পুরো শরীর আবৃত রাখে। মুসলিম নারীরা যাতে হিজাব পরার বাধ্যবাধকতা মেনেও সাঁতারের পোশাক পরতে পারেন, সেই কথা মাথায় রেখেই এই পোশাক তৈরি করা হয়েছিল। করাচির বাসিন্দা এরিকা রবিন মিস ইউনিভার্স সুন্দরী প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এরিকা সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে, তাকে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব দ্বারা লক্ষ্যবস্তু করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিবিদ মুশতাক আহমদ এই ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করাকে যেকোনো পাকিস্তানিদের জন্য ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
এরিকা রবিন, যিনি একজন খ্রিষ্টান, প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিবিসিকে বলেন, “পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে দারুণ লাগছে। কিন্তু এতো প্রতিক্রিয়া কোথা থেকে আসছে বুঝতে পারছি না। আমি মনে করি পুরুষদের দ্বারা পূর্ণ একটি ঘরে সাঁতারের পোশাকে প্যারেড করাকে অনেকে মেনে নিতে পারছেন না। তরুণ আধুনিক পাকিস্তানি নারী হিসেবে আমার মূল্যবোধ ধরে রেখেই বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি, পাকিস্তানি নারীরাও অনেক কিছু করে দেখাতে পারে।''
সূত্র : siasat.com