শেষের পাতা
দুদকের মামলা, ধরাছোঁয়ার বাইরে বাচ্চু-আমিন
স্টাফ রিপোর্টার
৪ নভেম্বর ২০২৩, শনিবার
জমির প্রকৃত মূল্য গোপন ও রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চু ও হোটেল লা মেরিডিয়ানের মালিক আমিন আহমেদসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত মঙ্গলবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা মামলাটি করেন। মামলা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন বাচ্চু ও আমিন আহমেদ। আসামিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। জানা গেছে, আমিন আহমেদ এক সময় বিএনপি’র রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তার বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগ রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি আব্দুল হাই বাচ্চু ২০১২ সালের ৮ই জুলাই ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকার আব্দুল হাই বেস্ট হোল্ডিংস গ্রুপের চেয়ারম্যান আমিন আহমেদের সঙ্গে বাড়ি কেনার বায়না চুক্তি করেন। চুক্তিতে ৬ নম্বর প্লটের ৩০ দশমিক ২৫ কাঠা জমির মূল্য ১১০ কোটি টাকা এবং চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের সময় পরিশোধিত অর্থ ১০ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়। চুক্তিপত্রে আবদুল হাইসহ তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও ভাইয়ের স্বাক্ষর রয়েছে। বায়না চুক্তি অনুযায়ী বাড়ির মালিকানা ৫ জনের নামে। এরপর চুক্তিপত্র অনুযায়ী দু’টি দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। যার মধ্যে ২০১২ সালের ১৬ই অক্টোবর প্রথম দলিলে ১৮ কাঠা জমির দাম ৯ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়। যেখানে গ্রহীতা বাচ্চু, শাহরিয়ার পান্না ও শিরিন আক্তার। অন্যদিকে দ্বিতীয় দলিলে ওই একই বছরে ১২ দশমিক ২৫ কাঠার দাম ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়। গ্রহীতা হলেন ছাবিদ হাই অনিক ও শেখ রাফা হাই। অর্থাৎ জমির রেজিস্ট্রেশন মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা, যা চুক্তি মূল্যের চেয়ে ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কম। এতে অবৈধ আয় গোপন করার চেষ্টা করে। জমির মূল্য কম দেখিয়ে সরকারের ৮ কোটি ৫২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। জমি বিক্রয় ও প্রকৃত মূল্য গোপন করতে আমিন আহমেদ তাকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি ১৩৪টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে ৭৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও নগদে ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। তাদের আয়কর নথিতে জমির মূল্য দেখানো হয়েছে ২৪ কোটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার ৪৫৪ টাকা। অর্থাৎ বাচ্চুর আয়-ব্যয় এবং প্রকৃত সম্পদে সামঞ্জস্যতা পাওয়া যায়নি।