শেষের পাতা
৭ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন-ঐক্যজোটের ঐকমত্য
স্টাফ রিপোর্টার
৯ মে ২০২৫, শুক্রবার
জাতীয় নির্বাচনে আসনভিত্তিক একক প্রার্থী, সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে ভোটসহ ৭টি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও ইসলামী ঐক্যজোট। বৃহস্পতিবার সংস্কার, নির্বাচন ও নারী কমিশনের প্রস্তাব ও দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও ইসলামী ঐক্যজোটের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বেলা ১২টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। ওদিকে ইসলামী ঐক্যজোটের পক্ষে নেতৃত্ব দেন- দলটির চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কাদের।
যে ৭ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে, সেগুলো হলো- জাতীয় নির্বাচনে সম্মিলিতভাবে আসন ভিত্তিক একক প্রার্থী ও এক বাক্স দেয়ার বিষয়ে কৌশলগত ঐকমত্য পোষণ, আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদমুক্ত একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র তৈরির ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানো। যাতে আগামীতে ফ্যাসিবাদ কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান, গণহত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও টাকা পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তি দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা বাতিল ও জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চালু করা।
রেজাউল করীম বলেন, বিগম ৫৩ বছরে আমাদের যে চিন্তা-চেতনা ছিল। যাদের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হয়েছিল আমরা সেটা পাইনি। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা একটাও তাদের মাধ্যমে আমরা পাই নাই। জুলাই এবং ৫ই আগস্টের পরে আমাদের সুন্দর দেশ গড়ায় ইসলাম এবং মানবতার পক্ষে একটি পরিবেশ তৈরি করার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে আমরা এই কাজটাই ধারাবাহিকভাবে করার চেষ্টা করেছি। ৫ই আগস্টের পরে আমাদের কার্যক্রম ওইভাবেই চলমান রয়েছে। চলমান থাকবে।
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী বলেন, ৫ই আগস্টের পরে ইসলামী ঐক্যজোটের ফ্যাসিবাদ বিরোধী নেতৃবৃন্দ এক হয়ে নতুন একটি ‘ইসলামী ঐক্যজোট’ জাতিকে উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের আমীর চেষ্টা করছেন ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে জাগরণ ঘটানোর। আগামী নির্বাচনে ইসলামী শক্তিগুলো বড় ধরনের সফলতা অর্জন করতে পারে, সেই চেষ্টা তিনি করছেন। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি, সেই চেষ্টার সহযোগী হবো।
ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে সভায় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট এম. হাছিবুল ইসলাম, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীম আবরার প্রমুখ।
ইসলামী ঐক্যজোটের পক্ষে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা জোনায়ের আহমাদ, মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, মুফতি শামসুল আলম, মাওলানা জুনায়েদ গুলজার, মাওলানা লিয়াকত আলী, মাওলানা মাসরুর আহমাদ।