অনলাইন
বিজিবি’র সঙ্গে জামায়াতের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
বগুড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীর ওপর পুলিশের গুলি
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
(১ বছর আগে) ১ নভেম্বর ২০২৩, বুধবার, ১২:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৩ পূর্বাহ্ন

৭২ ঘণ্টার দেশব্যাপী রাজপথ, রেলপথ ও নৌ-পথ অবরোধের দ্বিতীয়দিনে বগুড়ায় বিজিবি’র সঙ্গে জামায়াত কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দ্বিতীয় বাইপাস সড়কের সাবগ্রাম-ঘূনিয়াতলা এলাকায় সকাল ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে তিনমাথা রেলগেট এলাকায় বগুড়া জেলা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত গুলি চালায় পুলিশ। সকাল পৌনে ১০টার দিকে রাস্তা অবরোধকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ, বিজিবির সদস্যরা রাবার বুলেট, ছোড়রা গুলি এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এসময় রাস্তায় অবরোধকারী বিএনপি’র নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। সংঘর্ষে বিএনপির ৫/৬জন নেতাকর্মী ছোড়রা গুলিতে আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে দলের তরফে।
অপরদিকে বুধবার ভোর থেকে শহরের তিনমাথা, চারমাথা, সাবগ্রাম-ঘুনিয়াতলা এবং বারোপুর এলাকায় জামায়াত-শিবিরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অবস্থান নিয়ে পিকেটিং শুরু করে। সকাল ৯টার দিকে দ্বিতীয় বাইপাস সড়কের ঘুনিয়াতলায় বিজিবি পাহারায় আটকে থাকা কয়েকটি কোচ পারাপারের সময় উত্তেজনা দেখা দেয়।
এসময় বিজিবি’র সঙ্গে জামায়াত কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রায় ২০ মিনিট ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর জামায়াত কর্মীরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান জানান, অবরোধের সমর্থনে জামায়াত নেতাকর্মীরা শহরের চারটি পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছে।
ঘুনিয়াতলায় কিছুটা উত্তেজনা এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জামায়াত কর্মীদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, আমরা সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে তিন মাথা রেলগেট এলাকায় অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর গুলি, টিয়ারশেল ছোড়ে। এসময় আমাদের প্রায় ৫/৬জন নেতাকর্মী রাবার বুলেটে আহত হয়।
জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা মানবজমিনকে বলেন, সকাল থেকেই আমাদের নেতাকর্মীরা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে চাইলেও পুলিশ এবং আওয়ামী বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অবরোধ কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, বর্ষীয়ান নেতা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, সহিদুন্নবী সালামসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। আমার বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, রাস্তায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমার রাস্তায় অপ্রিতিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে দিবো না।