ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শরীর ও মন

অবাঞ্ছিত লোম পরিত্রাণে লেজার চিকিৎসা

ডা. জেসমীন আক্তার লীনা
১৭ জুন ২০২২, শুক্রবার
mzamin

অবাঞ্ছিত লোম (Hirsutism) বলতে কী বুঝি? মেয়েদের বিশেষ কিছু জায়গায় মোটা, ঘন অতিরিক্ত লোম আকারে দেখা যায়। যেমন: মুখমণ্ডলে (আপারলিপ ও চোয়ালে), বুকের ওপর অংশে, পেটে কিংবা নাভির চারপাশে। কারণসমূহ: অবাঞ্ছিত লোম বিশেষ কিছু কারণে হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো- polycystic ovary syndrome (PCOS), অতিরিক্ত Androgen (হরমোন), বিশেষ কিছু রোগ- Ovairan টিউমার, Adrenal  গ্রন্থি ও  Pituitary গ্রন্থির রোগ। এ ছাড়াও কিছু ওষুধ সেবন বা ব্যবহার করলেও অবাঞ্ছিত লোম হতে পারে, যেমন- মিনোক্সিডিল, স্টেরয়েড। উপরোক্ত কারণসমূহ বিদ্যমান থাকলে আমরা রোগীর মধ্যে আরও কিছু লক্ষণ দেখতে পাই। যেমন polycystic ovary syndrome (PCOS)-এর ক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত লোম হওয়ার সঙ্গে মাসিকের অনিয়ম, ওজন বৃদ্ধি হওয়া এবং মুখে ব্রণ হতে পারে। Androgen  হরমোন বৃদ্ধি হলে গলার স্বর মোটা হয়ে যাওয়া, ব্রণ, স্থূল মাংসপেশি, মাথার চুল পাতলা অথবা পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। 

অবাঞ্ছিত লোমের কারণ শনাক্ত করার জন্য রোগীর কাছ থেকে সম্পূর্ণ ইতিহাস বিস্তারিতভাবে জানতে হবে কোনো ওষুধ সেবন করেছে কিনা এবং এই লক্ষণগুলো আছে কিনা। আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য নিম্নের পরীক্ষাগুলো করা হয়- USG of Abdmen Androgen  ইত্যাদি। অবাঞ্ছিত লোম নিয়ে নারীরা অনেক বিব্রত থাকেন।

বিজ্ঞাপন
বর্তমানে অবাঞ্ছিত লোম দূরীকরণের অত্যন্ত কার্যকর, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী চিকিৎসা পদ্ধতি হলো লেজার। আর এই লেজার সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যাবশ্যক। লেজার এক ধরনের বিশেষ রশ্মি, যা শুধু চুলের গোড়ায় কাজ করে। এই রশ্মির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ঘন লোম পাতলা ও সংখ্যায় কমিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা হয়। এই চিকিৎসায় সাধারণত এক মাস অন্তর অন্তর ৬ থেকে ৮ সেশন লাগে। 

তবে রোগীর লোমের অবস্থা ও তীব্রতা অনুযায়ী ক’টি সেশন লাগবে সেটা নিশ্চিত করা হয়। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ সহনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি। অবাঞ্ছিত লোম দূরীকরণে বিভিন্ন ধরনের লেজার আছে যেমন : Nd YAG Laser, Diode Laser I IPL Laser. সবগুলো পদ্ধতি অত্যন্ত নিরাপদ ও কার্যকর।  লেজার চিকিৎসার পাশাপাশি অন্য কারণগুলোর লক্ষণ যদি থাকে তাহলে সেই রোগেরও চিকিৎসা করতে হবে। তাহলেই একটা সন্তোষজনক ও স্থায়ী ফলাফল পাওয়া যাবে। বর্তমানে যারা এই সমস্যায় অছেন তারা চিন্তা না করে এই সমস্যাটির সমাধানে  আধুনিক যে চিকিৎসা পদ্ধতি বা সেবা আছে এগুলোর মাধ্যমে পরিত্রাণ পেতে পারেন। 

লেখক: সহকারী অধ্যাপক চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিভাগ  স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা। চেম্বার: আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিরপুর রোড, ধানমণ্ডি, ঢাকা।

শরীর ও মন থেকে আরও পড়ুন

   

শরীর ও মন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status