বাংলারজমিন
ধনবাড়ীতে সরকারি জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
৫ অক্টোবর ২০২৩, বৃহস্পতিবার
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে সরকারি জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসন বারবার অভিযান পরিচালনা করেও সেটি বন্ধ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরজমিন দেখা যায়, সেই খাস জমিতে ৯টি রুম বিশিষ্ট দোকান ঘর নির্মাণ করছেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী। উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের তথ্যমতে, খাস খতিয়ানভুক্ত ধনবাড়ী সবজি বাজারে কিসমত ধনবাড়ী মৌজায় ১৪০৯ নম্বর দাগে ১.৭৫ শতাংশ এবং বর্নিচন্দবাড়ী মৌজায় ১৩৫৪ দাগের মধ্যে ০.৬৫ শতাংশের মধ্যে মার্কেট নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। কাজ বন্ধে উপজেলা প্রশাসন সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে। ইেিতমধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করেছে প্রশাসন। এ ছাড়া কয়েকজনকে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। তারপরও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ফের মার্কেট নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ধনবাড়ী বাজার বণিক সমিতির পরিচালক কিসমত, ব্যবসায়ী মোস্তফা ডাক্তার, আজা মুন্সি, কুদ্দুস, হানি, রফিকুল ইসলাম লিটনসহ ১৪ জন মিলে ঘর তুলছেন। যদিও তাদের কাছে কোনো জমির কাগজপত্র নেই। পূর্ব দখল সূত্রে তারা সেখানে মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে জানান তারা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারি জমিতে তারা জবরদখল করে মার্কেট নির্মাণ করছে। প্রশাসন বাধা দিলেও তারা মানছে না। স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় এই মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকারি জায়গায় মার্কেট নির্মাণ বন্ধে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মার্কেট নির্মাণ করা ব্যবসায়ী মোস্তফা ডাক্তার বলেন, পূর্বে থেকেই আমরা সেখানে ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। দোকান ঘরগুলো পরিত্যক্ত হওয়ায় সবাই মিলে মার্কেটের কাজ করছি। আরেক ব্যবসায়ী লিটন বলেন, আমাদের জায়গাতে মার্কেট নির্মাণের কাজ হচ্ছে। আমাদের কাছে কাগজপত্র রয়েছে। তারপরও প্রশাসন সরকারি জায়গা দাবি করে কাজ বন্ধ করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, খবর পেয়েই কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারপরও তারা কাজ বন্ধ রাখেনি। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মার্কেট নির্মাণের মালামাল জব্দ করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া সেখানে সরকারি জায়গা হিসেবে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, তারা রাতের আঁধারে কাজ করেছেন। এজন্য নিরাপত্তাপ্রহরী নিয়োগ করা হয়েছে। সরকারি জায়গা উচ্ছেদে প্রশাসন প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।