বাংলারজমিন
তিস্তাপাড়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে লাখো মানুষ
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
৫ অক্টোবর ২০২৩, বৃহস্পতিবারবাড়ছে তিস্তার পানি। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে বন্যার। লালমনিরহাটে তিস্তাপাড়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে লাখো মানুষ। আতঙ্কে অনেকে ঘড়বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র নিচ্ছেন আশ্রয়। বন্যা এলাকার চরাঞ্চলে মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরে আসতে করা হচ্ছে মাইকিং। সতর্ক জারি করা হয়েছে তিস্তাপাড়ের ৫টি উপজেলায়। জানা যায়, ভারতের সিকিম বাঁধ ভেঙে ধেয়ে আসছে তিস্তায় পানি। বিকাল ৫টায় লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করায় জেলায় নিন্মঞ্চলগুলো তলিয়ে যাচ্ছে। লালমনিরহাট জেলার আদিতমারীর মহিষখোচা, চর গোবর্ধন, সদরের রাজপুর, গোকুণ্ডা, খুনিয়াগাছ, বড়বাড়ি, কালীগঞ্জের কাকিনা, ভোটমারী, হাতিবান্ধার ডাউয়াবাড়ী, গড্রিমারী, বড়খাতাসহ অনেক এলাকায় পানি উঠতে শুরু করেছে। বন্যার আতঙ্কে অনেকে গরু, ছাগল ও অন্যান্য জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। মহিষখোচার ইউপি চেয়ারম্যান মোছাদ্দেক চৌধুরী জানান, তিস্তা এলাকায় লোকজনকে স্কুল ফ্লাড সেন্টারে আসার জন্য বলা হয়েছে। অনেকে আশ্রয় নিয়েছে নিরাপদে। খুনিয়াগাছ ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল জানালেন, তার এলাকায় মাইকিং করে চরের লোকজনদের নিরাপদ স্থানে আনা হচ্ছে। কালমাটির ৭০ বছরের বছিরন বেওয়া জানান, ‘এভাবে মাইক দিয়ে ডাকায় মোর ভয় লাগে। বানের পানি এবার মনে হয় জোরে আসবে। মহিষখোচার আক্কেল আলী মাস্টার বলেন, ‘গরু-ছাগল নিয়ে স্কুল মাঠে আশ্রয় নিয়ে আছি, তবে ভয় লাগছে।’ পাটিকাপাড়ার মোতাহার হোসেন বলেন, ‘নদী যেভাবে ডাক দিচ্ছে তাতে গত বছরের চেয়ে এবার বন্যা বেশি হবে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল রায় বলেন, তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আরও বাড়বে তিস্তার পানি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, বন্যা মোকাবিলায় জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরে আসতে মাইকিং করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনকে সর্তক রাখা হয়েছে। ত্রাণসামগ্রী মজুত রয়েছে।