বাংলারজমিন
শিশু আজান হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
৫ অক্টোবর ২০২৩, বৃহস্পতিবারমুন্সীগঞ্জ সদর মিরকাদিম পৌর এলাকার দুই মাসের শিশু আজান হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এরআগে গত বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টায় বসতঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় চুরি হয় শিশু আজান। চুরির চার দিন পর গত সোমবার সকাল ৭টার দিকে গোপালনগরের বসতঘরের ২০ মিটার দূরে একটি ডোবা থেকে আজানের লাশটি উদ্ধার করা হয়। গতকাল দুপুর ১টার দিকে মানববন্ধন শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী চলে এ কর্মসূচি। এতে নিহতের স্বজন ও শতাধিক গ্রামবাসী অংশ নেন। মানববন্ধনে আজানের হত্যাকারী রমিজা বেগমসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানান তারা। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, নিহত আজানের নানি ময়না বেগম, নানা মোহন মিয়া, খালা শ্রাবণী আক্তার, মামা মোক্তার হোসেনসহ গ্রামবাসী।
নিহত আজান নারায়ণগঞ্জের পাগলা এলাকার মো. শরীফ হোসেনের ছেলে। আজান জন্মের কয়েকদিন আগে থেকে শরীফের স্ত্রী শ্রাবণী বেগম মিরকাদিমের গোপালনগর এলাকার বাবার বাড়িতে ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে ঘর থেকে শিশুটি চুরি হয়। চুরির চার দিন পর গত সোমবার সকাল ৭টার দিকে মিরকাদিম পৌর এলাকার গোপালনগরের বসতঘরের ২০ মিটার দূরে একটি ডোবা থেকে আজানের লাশটি উদ্ধার করে স্বজনরা। মানববন্ধনে নিহত আজানের নানি ময়না বেগম বলেন, আমার স্বামী শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। সংসারে কোনো ছেলে নেই। দুটি মেয়ে ছিল। মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চলছিল। আজান হওয়ার পর আমরা খুব খুশি ছিলাম। সে নাতিকে চুরি করে নিয়ে রমিজা মেরে ফেললো। রমিজার ফাঁসি চাই। রমিজাকে যারা সহযোগিতা করেছে তাদেরও ফাঁসি চাই।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বাচ্চা চুরির ঘটনার পর মানব পাচার আইনে একটি মামলা হয়েছিল। সে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়েছে। এ মামলায় রমিজা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ আছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে কেন, কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে সেটি জানা যায়নি।