অনলাইন
ইবিতে র্যাগিং ও মেডিকেলে ভাঙচুরের ঘটনায় ৩ ছাত্রকে স্থায়ী বহিষ্কার
ইবি প্রতিনিধি
(১ বছর আগে) ৩ অক্টোবর ২০২৩, মঙ্গলবার, ২:৫২ অপরাহ্ন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেডিকেল সেন্টার ভাঙচুর ও র্যাগিংয়ের ঘটনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে তিন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার ও এক বছরের জন্য আরও তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় তার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন।
স্থায়ী বহিষ্কৃতরা হলেন- আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হিশাম নাজির শুভ ও মিজানুর রহমান ইমন। সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন- হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দিন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিব।
তথ্যমতে, গত ১০শে জুলাই মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুরের ঘটনায় আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রেজোয়ান সিদ্দিক কাব্যের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা অন্য দুই শিক্ষার্থী সালমান আজিজ, আতিক আরমান কাব্যের সঙ্গে থাকলেও সরাসরি সংশ্লিষ্ট না থাকায় তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গত ৯ই সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের প্রমাণ পাওয়ায় ও তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দুই শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। তারা হলেন- হিশাম নাজির শুভ ও মিজানুর রহমান ইমন। এছাড়া এক বছর বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিব। তারা সকলেই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, মেডিকেল সেন্টার ভাঙচুরের ঘটনায় কাব্যকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তার সঙ্গে থাকা বাকি দুইজনের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাইনি তদন্ত কমিটি। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো একশন নেয়া হয়নি। তবে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। আর র্যাগিংয়ের ঘটনায় ইমন ও শুভকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকি তিন জনকে এক বছরের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও মিটিংয়ে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রেজুলেশনের কাজ সম্পন্ন হলে জড়িতদের অফিশিয়াল চিঠি পাঠানো হবে।