বাংলারজমিন
শ্রীপুরে নিখোঁজের ৫ দিন পর ৮ম শ্রেণির ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, চাচাসহ গ্রেপ্তার ২
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
৩ অক্টোবর ২০২৩, মঙ্গলবার
গাজীপুরের শ্রীপুরে নিখোঁজের ৫ দিন পর অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া এলাকার রোমান বেপারীর ছেলে রামিমুল হাসান বিজয় (১৪) একই এলাকার শতদল কিন্ডার গার্টেনের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। গত রোববার সন্ধ্যায় শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের শালবনের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিজয়ের চাচা জুয়েল বেপারিসহ (৩০), তার দুই সহযোগী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জিহাদ (১৭) এবং ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ধলিয়া গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে শামীম (২৪)কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে রামিমুল হাসান বিজয়ের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেদিন তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
বিজয়ের বাবা রোমান বেপারি বলেন, থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলেও পুলিশ আমার ছেলেকে উদ্ধারে কোনো সহযোগিতা করেনি। পুলিশের অসহযোগিতার কারণে আমার ছেলেকে অপহরণকারীরা হত্যা করেছে। তিনি আরও বলেন, মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা নিয়ে নেত্রকোনার সুসং দুর্গাপুর নিয়ে যেতে বলে সংযোগ কেটে মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে অপহরণকারীরা।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফজল মো. নাসিম থানায় সাধারণ ডায়েরির (জিডি) বরাত দিয়ে জানান, মঙ্গলবার (২৬শে সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে অজ্ঞাতনামা অপহরণকারীরা বিজয়কে বাড়ির পাশ থেকে তুলে নিয়ে যায়। অপহরণের একদিন পর বুধবার (২৭শে সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বিজয়ের বাবার মুঠোফোনে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। পরে জুয়েল শ্রীপুর থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া এলাকা থেকে জিহাদ এবং ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ধলিয়াপাড়া গ্রাম থেকে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তত্যের ভিত্তিতে চন্নাপাড়া থেকে জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে বিজয়ের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।