অনলাইন
বিএজেএফের সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী
কৃষির প্রথম রূপান্তরের কারিগর কাজী এম বদরুদ্দোজা
স্টাফ রিপোর্টার
(২ মাস আগে) ২ অক্টোবর ২০২৩, সোমবার, ৬:২৬ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের কৃষিতে কাজী বদরুদ্দোজার অবদানের কথা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে কৃষির রূপান্তর শুরু করেছিলেন কাজী এম বদরুদ্দোজা। তিনি দেশের সনাতন কৃষিকে বিজ্ঞানভিত্তিক করে গড়ে তুলেছিলেন, যার সুফল এখন আমরা ভোগ করছি। তবে কৃষির দ্বিতীয় রূপান্তর এখন বড় চ্যালেঞ্জের। ধান রোপণ থেকে শুরু করে মাড়াই পর্যন্ত যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে। এছাড়া কৃষির সকল ক্ষেত্রে অধুনিকায়ন ও বাণিজ্যিকিকরণ করতে হবে। এর সঙ্গে মূল্য সংযোজন বাড়াতে কৃষি প্রক্রিয়াজতকরণ বাড়াতে হবে। কাজী এম বদরুদ্দোজা শুধু বাংলাদেশের কৃষির পথিকৃত নন, তিনি ভিয়েতনামের জাতীয় কৃষি মহাপরিকল্পনাতে অবদান রেখেছেন। সোমবার রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর: কাজী এম বদরুদ্দোজার আবদার’ শীর্ষক বিএজেএফ জাতীয় কৃষি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী। বিএজেএফ’র সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব সবসময় ছিলো এবং থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান বলেন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল যেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে পাঁচ তারকা হোটেল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কাজী বদরুদ্দোজা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল তৈরির অনুমোদন নিয়ে আসেন।
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এর মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে রপ্তানিতে যেতে পারি। এজন্য বেসরকারি খাতকে সংযুক্ত করতে হবে। আমরা ব্যাংকগুলো বিনিয়োগের মাত্র ২ শতাংশ কৃষি খাতে বিনিয়োগ করছি। কম বিনিয়োগ দিয়ে কৃষি খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এটি বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়া কৃষি ঋণ সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে। তাহলে কৃষকরা ঋণ পাবেন।
এসিআই এগ্রিবিজনেসেসের প্রেসিডেন্ট ড. ফা হ আনসারী বলেন, দেশে কৃষি গবেষণায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। বেসরকারি খাতের গবেষণা বাড়াতে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। এছাড়া যান্ত্রিকীকরনের জন্য ব্যাংকের অর্থায়ন প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের গবেষণা ও সম্প্রসারণ বাড়াতে কাজী বদরুদ্দোজার অবদান ছিল। কাজী বদরুদ্দোজা কেবল একজন বিজ্ঞানীই ছিলেন না। তিনি একজন স্বপ্নদর্শী ছিলেন। যিনি আমাদের দেশের কৃষির সকল ক্ষেত্র তৈরি করেছেন। তার কাজ বিজ্ঞানীদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম অনুপ্রাণিত করবে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, আমরা ধানের নতুন নতুন জাত দিয়েছি। চাল থেকে আমরা ৮০ শতাংশ প্রোটিন নিশ্চিত করবো। আমরা চাল থেকে জিংক আয়রন এন্টি অক্সিডেন্ট পূরণের চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, আমাদের দেশে জমি কমে আসছে। আমাদের আরও একটি সংকট হলো জলবায়ু পরিবর্তন। আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে জলবায়ু সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে এ সংকট থেকে উত্তরণ করা যায়।
মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
অনলাইন সর্বাধিক পঠিত
ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেদন/ বাংলাদেশে 'দুই বেগমের যুদ্ধে' ভারত-চীন এক শিবিরে, যুক্তরাষ্ট্র অন্যদিকে
দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ/ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]