শেষের পাতা
প্রতিনিধিদল ঢাকায়
প্রত্যাবাসন নিয়ে মার্কিন উদ্বেগের কথা পুনর্ব্যক্ত
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২ অক্টোবর ২০২৩, সোমবারতড়িঘড়ি করে ফেরত নয় বরং রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে জোর দিলেন ঢাকা সফররত মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের জনসংখ্যা, অভিবাসন এবং শরণার্থী ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জ্যানিন উইন। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার এডমিরাল খুরশেদ আলমের সঙ্গে বৈঠকে তিনি যুক্তরাষ্ট্র তথা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে বাস্তুচ্যুত ওই বিশাল জনগোষ্ঠীর ভরণপোষণে মার্কিন সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। রোববার বাংলাদেশ সফরে আসেন মার্কিন ওই কর্মকর্তা সফরের প্রথমদিনেই তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ তিনি কক্সবাজারস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের কর্মকর্তারা সেগুনবাগিচার রোববারের বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে প্রত্যাবাসন পরিকল্পনার বিষয়ে অবহিত করা হয়। পরে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব গণমাধ্যমকে বলেন, ডিগনিফাইড রিপার্টরিয়েশন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে উদ্বেগ সেটাই ব্যক্ত করেছেন মার্কিন কর্মকর্তা। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন এবং বাংলাদেশে তাদের অস্থায়ী আশ্রয়কালে অব্যাহতভাবে মানবিক সহায়তা প্রদানের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সচিব বলেন, আমরা বলেছি রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় প্রদান করে বাংলাদেশ ভুল করেছে এমনটি যেন মনে না হয়, তাই তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন জরুরি। বাংলাদেশ সেই চেষ্টা করছে। প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশের পাশে দৃঢ়ভাবে থাকা উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সফরে আসা মার্কিন ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি স্টেট ডিপার্টমেন্টের জনসংখ্যা, অভিবাসন এবং শরণার্থী ব্যুরোর বাজেট পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়ন এবং নীতির তত্ত্বাবধান ছাড়াও পূর্ব এশিয়া প্যাসিফিক এবং দক্ষিণ মধ্য এশিয়ায় মানবিক সহায়তা কর্মসূচির দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি সম্প্রতি স্টেট ডিপার্টমেন্টে ইউক্রেন টাস্ক ফোর্সের ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন। তারও আগে মিজ উইন ইউরোপিয়ান ব্যুরো অফিস অফ পলিসি অ্যান্ড গ্লোবাল ইস্যুস (পিজিআই) এর পরিচালক ছিলেন। তিনি ইউএস এসিসট্যান্স টু ইউরোপ অ্যান্ড ইউরেশিয়ার ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেছেন। মিজ উইন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, ভাইস প্রেসিডেন্টের অফিস এবং ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেটের অফিসেও কাজ করেছেন।