বাংলারজমিন
কলকাতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের প্রশংসনীয় পারফরমেন্স
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবারভারতের কলকাতার বিশিষ্ট আবৃত্তি সংগঠন ‘সংজ্ঞা’র ২৩ বছর পূর্তিতে রবীন্দ্র সদন চত্বরের শিশির মঞ্চে গত ২৫শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ, কলকাতা ও ত্রিপুরার আবৃত্তিশিল্পীদের মহামিলন ঘটে। বৃহত্তর পরিসরে আবৃত্তির এই আয়োজনে আমন্ত্রিত দল হিসেবে অংশগ্রহণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস আবৃত্তি সংগঠন। সংগঠনের ৭ সদস্যের টিম পরিবেশন করে আবৃত্তি গুরু হাসান আরিফের গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রযোজনা। কলকাতা শহরের আবৃত্তিবোদ্ধা ও শিল্পীরা এই প্রযোজনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। টিমের সদস্যরা ছিলেন সুজন সরকার, সোহাগ রায়, রেজা এ রাব্বী, ফারদিয়া আশরাফি নাওমী, তাসফিয়া ইসলাম প্রমি, ফাহিমা সুলতানা ও তাহিয়া তাবাস্সুম দিহান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে একক আবৃত্তি করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক ও বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন।
সংজ্ঞা সংগঠনের পরিচালক বিপ্লব চক্রবর্তীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয় কলকাতার বরেণ্য আবৃত্তিকার রজত বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে। বিপুলসংখ্যক বোদ্ধা আবৃত্তিশিল্পী ও শ্রোতাদের উপস্থিতিতে মনোমুগ্ধকর এই কবিতা সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে দলগত পরিবেশনায় ছিল মুনমুন মুখার্জীর পারিচালনায় ‘সৃষ্টিনগর’, পল্লব কীর্তনিয়ার পারিচালনায় ‘কবিতাবাড়ি’, সোমনাথ দের পরিচালনায় ‘শ্রুতিমঞ্জলী’, বাসুদেব নন্দীর পরিচালনায় ‘সমকাল’ বিপ্লব চক্রবর্তীর পারিচালনায় ‘সংজ্ঞা’ পরিবার ও দীপক সাহার পরিচালনায় ত্রিপুরার আবৃত্তি সংগঠন কাব্যায়ন। প্রতিটি দলের পরিবেশনা উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে একক পরিবেশনায় আরও ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান (চট্টগ্রাম), দপ্তর সম্পাদক শিরিন ইসলাম, সৈয়দ ফয়সল আহমেদ ও নীলা হাসান (ঢাকা), ত্রিপুরার দীপক সাহা। কলকাতা থেকে ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী চন্দ্রিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্তরা দাস এবং স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়।
আবৃত্তি সংগঠন সংজ্ঞার কর্ণধার বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, আমরা কবিতার মাধ্যমে বাংলা ও বাঙালির মধ্যে অনেক বেশি সম্প্রীতির সৃষ্টি ও সংস্কৃতি বিনিময়ের জন্যই এই আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার শিল্পীরা কলকাতার শিল্পীদের সঙ্গে এককণ্ঠে উচ্চারণ করেছে মানুষের জয়গান। তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মো. মনির হোসেন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুগে যুগে শিল্প-সংস্কৃতির বিশ্ববিখ্যাত মানুষদের জন্ম দিয়েছে। তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিতাস আবৃত্তি সংগঠন তিতাসপাড়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।