শেষের পাতা
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দেশের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যাবে
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দেশের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব থাকবে কি না, গণতান্ত্রিক অধিকার থাকবে কিনা, জনগণ তার প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে কি না- সবকিছু নির্ভর করছে আগামী কয়েকটা দিনের ওপর। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রি. জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ’র ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি ভাঙার অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন দল ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজকে সেজন্য (সরকার) আমাদের দলছুট, বহিষ্কৃত লোকজনদেরকে নিয়ে আবার দল তৈরি করে ঝামেলা করতে চায়। কিন্তু এগুলো করে কোনো লাভ হবে না। তিনি বলেন, দল কখন ভাঙতে যায়, অন্য প্রতিপক্ষ যখন নিজে সে দুর্বল। সবল থাকলে তো এটা করবে না। আর এগুলো করে কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে, সব দলের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। এর কোনো বিকল্প কিছু তারা চায় না।
বিএনপি’র সিনিয়র এমন কোনো নেতা নেই যার বিরুদ্ধে মামলা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এটা করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে সেল তৈরি করা হয়েছে। যাতে দ্রুত সব নেতার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ট্রায়াল করে, সাজা দিয়ে নির্বাচনে অবৈধ ঘোষণা করা যায়। আমেরিকার ভিসানীতির প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এই অবস্থা কেন? কেন আজকে আমার জাতিকে এই অবস্থায় পড়তে হবে। অনেকে আছেন খুব খুশি হচ্ছেন। এটা তো খুশির ব্যাপার না। এটা লজ্জা! এজন্য এই সরকার দায়ী।
তিনি আরও বলেন, এই যে একটা ভয়াবহ অবস্থা। যে অবস্থায় আজকে গোটা বাংলাদেশ বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। গোটা জাতি আজকে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে বলার চেষ্টা করছে বিএনপি বিপদে। বিএনপি কোনো বিপদে না। এই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বিএনপি আরও সংগঠিত হয়েছে। আরও শক্তিশালী হয়েছে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়েছে।
হান্নান শাহ্র প্রতি স্মৃতিচারণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, হান্নান শাহ্র চলে যাওয়ায় আমাদের রাজনীতিতে বড় একটা শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে। সেই রাজনীতিতে অবশ্যই তিনি আমাদের জন্য অগ্রণী সেনা ছিলেন। তার চলে যাওয়ায় যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
ব্রি. জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ্ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গাজীপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান, সাংবাদিক রাশেদুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পাঠকের মতামত
সভ্যসাচি এক রাজনীতিক তিনি। ধৈর্য্য ও ঠান্ডা মাথায় শত উসকনিতেও স্থীর । যদি তিনি সফল হন তবে রাজনীতিতে আন্দোলনের এক নূতন ধরার প্রবর্তক হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করবেন।
ফখরুল সাহেব সঠিক কথাই বলছেন। আর কিছু দিনের মধ্যেই বাংলাদেশের জনগনের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে। যদি বাংলাদেশের রাজনীতি সঠিক পথে না থাকে তাহলে বাংলাদেশ অবস্তা খুবই খারাপ হবে।
২০০১-০৬ এখনকার চেয়ে ঢের ভালো ছিল।
@কামাল, আপনি কোন চালের ভাত খান?? আমাকেও বলেন। যেটা খেলে গত ১৫ বছরের অন্যায় অবিচার, গুম, হত্যা, লুটতরাজ, ব্যাঙ্ক লুট, টাকা পাচার ভুলে থাকা যায়।
আওয়ামীলীগের গনতন্ত্র আর বিএনপির ভবিষ্যৎবানী জাতী বিশ্বাস করে না।
আপনারা ২০০১ হতে ২০০৬ পর্যন্ত কি করেছিলেন? মনে পড়ে কিছু?
১০ই অক্টবর , এখন আগামী কয়েকদিন /
এসব অবাস্তব কথা বার্তা বলা বন্ধ করুন।
মন্তব্য করুন
শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন
শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]