গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট অ্যান্ড সামিটের জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট অ্যান্ড সামিটের জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স, ডিজিটাল ইকোনমি অ্যান্ড মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট (বিপিসিআইডিএম), বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম (বিআইজিএফ) এবং এনজিও নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (বিএনএনআরসি) যৌথ উদ্যোগে ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) সহায়তায় সোমবার গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট অ্যান্ড সামিট অফ দ্য ফিউচার ২০২৪-এ শীর্ষক এক জাতীয় পরামর্শ সভার অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় সংসদের কেবিনেট কক্ষে এই আয়োজন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ইউএনডিপির বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, এবং বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম। সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরামের চেয়ারপারসন হাসানুল হক ইনু। 

আলোচনা সভায় ৩২ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত থেকে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। বিআইজিএফ-এর মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল হক অনু, বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্সফারাম (বিআইজিএফ) এবং ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি অ্যাকশন লাইন সম্পর্কে উপস্থাপনা উপস্থাপন করেন। 

নির্বাহী সমন্বয়কারী এএইচএম বজলুর রহমান ইনিশিয়েটিভ ফর কানেক্টিং, এমপাওয়ারিং অ্যান্ড এমপ্লিফায়িং ইউনিফাইড ভয়েসেসের বৈশ্বিক এবং দেশের প্রস্তুতিমূলক প্রক্রিয়া সম্পর্কে সভাকে অবগত করেন। 

ইউএনডিপির বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট এবং সামিট অফ দ্য ফিউচার সবার জন্য মুক্ত, অবাধ এবং নিরাপদ ডিজিটাল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে হবে। 
সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম বলেন, স্পিকারের নেতৃত্বে ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল সংসদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমরা একটি ই-পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য পূরণের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। 

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম এবং বাংলাদেশের সংসদীয় ককাসকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেশের আর্থ-সামাজিক সমস্যাগুলি প্রতিফলিত হয় সেরকম একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা এবং একটি অবস্থান পত্র তৈরি করার জন্য আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে যেসব এমপিরা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন, অসীম কুমার উকিল, খ. মমতা হেনা লাভলী, জাকিয়া পারভীন খানম, অপরাজিতা হক, শিরীন আখতার, লুৎফুন নেসা খান, উবায়দুল মোকতাদির  চৌধুরী, বাসন্তী চাকমা, এম এ মতিন, আয়েশা ফেরদাউস, ফখরুল ইমাম, এ, কে, এম রেজাউল করিম তানসেন, এ্যাড. খোদেজা নাসরিন আখতার হোসেন, আহসানুল ইসলাম টিটু, আরমা দত্ত, মো. মোনোয়ার হোসেন চৌধুরী, মো. সাদেক খান, গোলাম কিবরিয়া টিপু, বেগম আফরোজা হক, আদিবা আনজুম মিতা, নাহিম রাজ্জাক, মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আরাফাত, পঙ্কজ নাথ, রওশন আরা মান্নান, মনিরা সুলতানা, শিরীন আহমেদ, সাইমুম সরওয়ার কমল, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, মোঃ নুরুল আমিন।