দেশ বিদেশ
লন্ডনে নাগরিক সংবর্ধনায় এমরান আহমেদ চৌধুরী
চোখ বুজে রিকশায় চড়ে ঝাকুনিতে কোমর ভেঙে যাচ্ছে মনে হলে বুঝবেন বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আছেন
আরিফ মাহফুজ , লন্ডন থেকে
(৮ ঘন্টা আগে) ৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১২:৪০ অপরাহ্ন

‘চোখ বুজে যদি রিকশায় চড়েন, আর ঝাকুনিতে কোমর ভেঙে যাচ্ছে মনে হয় তাহলে বুঝবেন আপনি বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আছেন’ এমনই যদি হয় তাহলে বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে লাভ কী? বিএনপি কোনো ক্লাব নয় এটি একটি আদর্শিক প্রতিষ্ঠান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা এডভোকেট এমরান আহমেদ চৌধুরী।
যুক্তরাজ্যে আগমন উপলক্ষ্যে সাবেক ছাত্র নেতা ও সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং সিলেট -৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ ) থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী, রাষ্ট্রস্বীকৃত ‘জুলাই যোদ্ধা' এডভোকেট এমরান আহমেদ চৌধুরীকে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (৭ জুলাই) লন্ডনের স্থানীয় একটি হলে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। যুক্তরাজ্যস্থ বিয়ানীবাজার -গোলাপগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার জাতীয়বাদী পরিবার অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুসের সভাপতিত্বে , ফেরদৌস আলম ও যুবদল নেতা লায়েক মোস্তফার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট এমরান আহমেদ চৌধুরী ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমরান আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন আমলে বিয়ানীবাজার -গোলাপগঞ্জে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। যোগযোগ ব্যবস্থার চরম অবনতি হয়েছে। জনগণের চলাচলের উপযুক্ত রাস্তা নেই। সঠিক জায়গায় সেতু নেই , শিক্ষায় , স্বাস্থ্যে, তথ্য প্রযুক্তি সহ সবদিকে পিছিয়ে আছে বিয়ানীবাজার -গোলাপগঞ্জের জনগণ। বলা হয়ে থাকে চোখ বুজে যদি রিকশায় চড়েন আর ঝাকুনিতে কোমর ভেঙে যাচ্ছে মনে হয় তাহলে বুঝবেন আপনি বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আছেন , এমনই যদি হয় তাহলে বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে লাভ কী? যদি এলাকার উন্নয়ন না হয়। এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়ন করতে হবে।
ইমরান আহমেদ আরো বলেন, বিএনপি কোনো ক্লাব নয় যে ক্লাবের মতো বসে আড্ডা মেরে চলে যাবেন। বিএনপি হচ্ছে একটি আদর্শিক প্রতিষ্ঠান যা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সবাইকে দিয়ে গেছেন। যে আদর্শ দিয়েছেন দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যে আদর্শ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যে আদর্শের উপর ভিত্তি করে ৫ই আগস্ট বাংলাদেশে হয়েছে, সেই আদর্শ হচ্ছে বিএনপি। আর এই আদর্শিক দলে যে কেউ এমপি হয়ে যাবেন তা হতে পারে না , এমপি হতে হলে আগে জনগণের কাছে যান। জগণের সুখ দুঃখ বোঝার চেষ্টা করেন। এমপি হওয়া এতো সহজ নয়।
আগামী নির্বাচনের দলীয় মনোয়ন বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়ে ওঠা সৈনিক। আমরা ধানের শীষের মানুষ। আগামী নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো। আমি ২৩ বছর যাবৎ দলের ও এলাকার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তারেক রহমান দুইবার বিয়ানীবাজার -গোলাপগঞ্জে গিয়েছেন। হাজার হাজরা হাজার মানুষের সামনে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন , তিনি বলেছেন তুমি ভবিষ্যতে নির্বাচন করবে, কাজ করতে থাকো। আমার নেতার অনুপ্রেরণায় আমি এখনো মাঠে আছি। মনোযোগ ক্ষেত্রে নেতা তারেক রহমান যে নির্দেশনা দেবেন, যাকে মনোনয়ন দেবেন তাকেই আমরা মেনে নেবো।
দলের দুঃসময়ে ছিলাম ,এখনো আছি আবার যদি দুঃসময় আসে তখনো থাকবো। দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করে তাহলে মনোয়ন দেবে, নির্বাচন করবো । তবে দল ও এলাকার জন্য সব সময় কাজ করে যাবো। সুসময়ে যারা থাকে আর দুঃসময়ে যারা পালিয়ে যায় তারা বিএনপির কর্মী হতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি এলাকার সাধারণ জনগণ আমাকে বিশ্বাস করে ভালোবাসে , যদি সুযোগ পাই তাহলে তাঁদের জন্য আমৃত্য কাজ করে যাবো।
বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপট নিয়ে এমরান বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে এখন একটি যড়যন্ত্র চলছে এটি একটি পুরোনো পদ্ধতি যা কখনো বাংলাদেশ অনুষ্ঠিত হয়নি। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাওয়া ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসিত করার একটি চক্রান্ত মাত্র। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিস্টরা আবার চলে আসবে। সেটি বাংলাদেশের জনগণ যেমন মানে না ঠিক তেমনি বিএনপি কখনোই মেনে নেবে না। পিআর সম্পূর্ণ অবাস্তব একটি দাবি যা গণতন্ত্র বিমুখী একটি দাবি।
সব শেষে সিলেট -৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ ) এলাকাসহ যুক্তরাজ্যের সর্বস্থরের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ , যুক্তরাজ্য বিএনপি'র সহ-সভাপতি আবুল কালাম, মুজিবুর রহমান মুজিব, হাজী তয়মুছ আলী, মোঃ তাজুল ইসলাম, আবেদে রাজা, যুগ্ম সম্পাদক, খসরুজ্জামান খসরু, মিসবাহুজ্জামান সোহেল, চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন টিপু, এডভোকেট খলিলুর রহমান, আব্দুল বাসিত বাদশা ,ব্যারিস্টার লিয়াকত আলি, জসিম উদ্দিন সেলিম,আফজাল হোসেন, বাবর চৌধুরী, নাসির উদ্দিন শাহিন, আবুল হোসেন, দেয়ার নজরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, মনজুর আহমেদ শাহনাজ, আব্দুল বাসিত,সুরমান আলী প্রমুখ।