বাংলারজমিন
তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সে.মি. উপরে কুড়িগ্রামে বন্যা আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষজন
স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবারটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন নদ-নদীর সমতল স্তরে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার রাজারহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করায় আরেক দফা বন্যার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদী পাড়ের মানুষজন। এ ছাড়া তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙন। একদিকে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অপরদিকে নদী ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েছে এসব এলাকার মানুষজন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল দুপুর ১২টার রেকর্ড অনুয়ায়ী জেলার অনান্য নদ-নদীর পানি বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ঘরবাড়ি তলিয়ে না গেলেও আমনক্ষেত নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছে কৃষকরা। এরইমধ্যে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চর খিতাবখাঁ, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চর বিদ্যানন্দ, চর পাড়ামৌলা, চর তৈয়বখাঁয় তিস্তা নদীর পানি প্রবেশের পাশাপাশি নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গতিয়াশাম এলাকার বাসিন্দা কৃষক আব্দুল মোমেন বলেন, কিছুদিন আগে বন্যার পানিতে আমার ২ বিঘা আমনক্ষেত তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। আবার নতুন করে আমনক্ষেত করেছি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত কয়েক দিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি আবারো বিপদসীমা উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সমতল স্তরে পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে বড় ধরনের বন্যার শঙ্কা নেই। রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন
বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]