বাংলারজমিন
কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টিতে চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ
স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবারকুড়িগ্রামে গত পাঁচদিন ধরে অবিরাম ধারায় বৃষ্টি হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কখনো হালকা আবার কখনো ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে কর্মস্থলে যেতে নানান বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষজনকে। বিশেষ করে কাজের সন্ধানে ছুটে চলা শ্রমজীবী মানুষজন পড়েছেন চরম বিপাকে। এ ছাড়া নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলের মানুষজন বন্যার শঙ্কায় আমন আবাদ নিয়ে পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। অপরদিকে নদ-নদীর পানিও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে নদ-নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
এদিকে বৃষ্টিপাতের ফলে জেলা শহরের হাসপাতাল পাড়া, ফায়ার সার্ভিস, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিসপাড়া, হাটিরপাড় ও নিম বাগান এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের গতকাল বিকাল ৩টার তথ্যমতে, জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫৯ মি.মি। এ ছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় জেলার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কুড়িগ্রামের যতিনেরহাটের রিকশাচালক আক্কাস আলী বলেন, কয়দিন থাকি যে হারে ঝড়ি (বৃষ্টি) হবাইছে। ঘর থাকি মানুষ বেড়বার না পাইলে ভাড়া হয় কেমন করি। এমন আর কয়দিন চললে হামরা গরিব মানুষগুলার খুব বিপদ হইবে। টাপু ভেলাকোপার নুরুল মিয়া বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি। কাজ-কাম বন্ধ। টাকার চিন্তায় কিছু ভালো লাগে না। রাত পোহালে কিস্তি। ঘরে বাজার-সদাই নাই। খুব দুঃশ্চিন্তায় পড়ছি। এভাবে বৃষ্টি হলে মানুষের চলাফেরা কাজকর্ম সব বন্ধ হয়ে যাবে।
ভোগডাঙা মাধবরামের কৃষক মো. আনারুল কবির বলেন, কয়েক দফা বন্যায় আমন আবাদ নষ্ট হয়া গেছে। আবারো আমান ক্ষেত রোপণ করেছি। যে হারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এভাবে বৃষ্টি পড়তে থাকলে পানিতে আমন ক্ষেত তলিয়ে যাবে। এবার আবাদ নষ্ট হলে এ মৌসুমে আর আমনের আবাদ করা যাবে না। আমরা কৃষকরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হবো। কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র রায় বলেন, গত পাঁচদিন ধরে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী আরও দুদিন এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।