নওয়াপাড়ায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা

নিয়মনীতি না মেনেই যশোরের শিল্প শহর নওয়াপাড়ায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সেবার নামে প্রতারণার অভিযোগে গতকাল দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন নওয়াপাড়া শহরে। অনিয়মের অভিযোগে নওয়াপাড়ায় পপুলার মেডিকেল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে করা হয়েছে সাময়িক সিলগালা। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সবুজ হালদারকে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত সবুজ হালদার যশোরের মণিরামপুর উপজেলার লেবুগাঁতী গ্রামের অসীম হালদারের ছেলে। তিনি পপুলার মেডিকেল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 
এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক গতকাল দুপুরে ৫টি মেডিকেল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। 

যার মধ্যে মর্ডান, এবি, লাইফকেয়ার ও ল্যাবওয়ে মেডিকেল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তেমন কোনো সমস্যা না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে পপুলার মেডিকেল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে প্রতারণা ও বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়। যার মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন না করা, গার্মেন্টস ডিজাইনে ডিপ্লোমা করা এক নারী রিসিপশনিস্ট দিয়ে ইসিজি করানো, মূল্য তালিকা ও ভাউচারে গরমিল, টেকনোলজিস্ট ও নার্স সংকট, অবৈধ ওষুধসহ বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িক সিলগালা করা হয়েছে।
অভিযানের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থান্দার কামরুজ্জামান বলেন, সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৫২ ধারায় পপুলার মেডিকেল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজারকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের মালিক নিপুণ কুমার বিশ্বাস পলাতক রয়েছেন। জব্দকৃত ওষুধ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।