অনলাইন
'POK খালি করুন, সন্ত্রাস বন্ধ করুন': জাতিসংঘে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতের
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ বছর আগে) ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৬:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:২২ অপরাহ্ন

জাতিসংঘে বক্তব্য রাখার সময় পাকিস্তানকে একহাত নিলো ভারত। হুঁশিয়ারির সুরে পাকিস্তানকে কাশ্মীর ছাড়তে বলল সে। আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করার পাশাপাশি তার অবৈধ দখলের অধীনে থাকা ভারতীয় অঞ্চলগুলিকে খালি করার আহ্বান জানিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কাকার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় কাশ্মীর ইস্যুটি উত্থাপন করার পরে এই প্রতিক্রিয়া এসেছে। ভারত ইউএনজিএ-তে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে বিরোধী প্রোপাগান্ডা চালানোর ক্ষেত্রে বারবার আন্তর্জাতিক ফোরামের অপব্যবহার করার জন্য ইসলামাবাদকে আঘাত করেছে।
পাকিস্তানকে সে মনে করিয়ে দিয়েছে-''জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এই বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য পাকিস্তানের কোন অধিকার নেই। ''ইউএনজিএ-র দ্বিতীয় কমিটির প্রথম সচিব পেটাল গেহলট বলেছেন-'' ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন এবং বিদ্বেষপূর্ণ প্রচার চালানোর জন্য এই ফোরামের অপব্যবহার করা পাকিস্তানের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র এবং অন্যান্য বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলি ভালোভাবে জানে যে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিকে তার নিজের অপরাধ থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এটি করে।
''ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি পেটাল গেহলট পাকিস্তানের উদ্দেশে বলেছেন-'' আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি যে জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (UTs) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলি সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য পাকিস্তানের কোন অবস্থান নেই। ''কূটনীতিক পেটালের দাবি, পাকিস্তানের উচিত তর্কের মধ্যে না গিয়ে ২০০৮ সালের মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া।'' পেটাল মনে করিয়ে দেন, ''পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারীরা বিশেষ করে হিন্দু শিখ এবং খ্রিস্টানদের অবস্থা শোচনীয়। পাকিস্তানের নিজস্ব মানবাধিকার কমিশনের প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানে প্রতি বছর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আনুমানিক ১,০০০ নারী অপহরণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ এবং বিয়ের শিকার হয়। পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের আবাসস্থল হয়ে উঠেছে''। এর আগে তার বক্তৃতার সময়, পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী কাকার বলেছিলেন যে তার দেশ ভারতের সাথে শান্তি চায় এবং জোর দিয়েছিলেন যে "কাশ্মীর দুই দেশের মধ্যে শান্তির চাবিকাঠি"। যদিও ভারত বারবার পাকিস্তানকে বলে এসেছে যে সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে