বাংলারজমিন
খুলনাগামী রূপসা আর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে
নীলফামারী প্রতিনিধি
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবারচরম দুরবস্থা আর অব্যবস্থাপনার মধ্যদিয়ে চলছে দেশের সর্ববৃহৎ রেলপথ চিলাহাটী থেকে খুলনা অভিমুখী রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন দু’টি। এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল নিয়মে পরিণত হয়েছে ট্রেন দু’টির। ট্রেনের ভেতরের করুণ অবস্থা বলার মতো না। ছেঁড়াফাটা সিট, কোথাও বা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। জানালার গ্লাস নেই। ফ্যান ঘুরে তো ঘুরে না অবস্থা। বাথরুমে পানি নেই। ভবঘুরে, টোকাই আর হকারের উৎপাত। তার ওপর বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণকারীদের রাজত্ব তো আছেই। বিড়ি সিগারেটের ধোঁয়ায় একাকার অবস্থা। কিন্তু কে ভাবে যাত্রীদের কথা। অথচ সবই আছে। আছে পর্যাপ্ত জনবল। এদিকে আকস্মিকভাবে রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি বগিগুলোর হদিস মিলছে না। যাত্রীরা বারবার কাউন্টারে খোঁজ নিয়েও কোনো সদুত্তর পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন। তবে রেলের একটি সূত্র জানায়, গত ৫-৬ মাস আগে দুই ট্রেনের ৪টি এসি বগি কেটে নেয়া হয়েছে। নীলফামারী রেল স্টেশন সূত্র জানায়, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে এসি বগির চাহিদা বেড়েছে। প্রতিদিন যাত্রীরা এসির টিকিট খোঁজ করছেন। তবে কী কারণে ট্রেন থেকে এসি বগি দু’টি কেটে নেয়া হয়েছে। সে ব্যাপারে স্থানীয় রেল কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে পারেননি। তবে অপর একটি সূত্র জানায়, মেরামতের জন্য বগি ৪টি খুলে নেয়ার পর থেকে আর কোনো খবর নেই। স্থানীয় যাত্রীরা দ্রুত ট্রেন ২টিতে এসি বগি সংযোজনের দাবি জানিয়েছেন। অপর দিকে প্রতিদিন রাতে নীলফামারী রেলস্টেশন ভূতুরে এলাকায় পরিণত হচ্ছে। স্টেশন সূত্র জানায়, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে শুরু করে ভোররাত পর্যন্ত অন্তত ৩ থেকে ৪ বার লোডশেডিংয়ের কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। বিশেষ করে শিশু ও মহিলা যাত্রীরা বিপাকে পড়ছেন বেশি। অপর দিকে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল যখন স্যোলার প্যানেলের আলোয় আলোকিত তখন শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশনটি জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়ায় যাত্রী সাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।