খেলা
বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলে যে আক্ষেপ শুধুই মেসির
স্পোর্টস ডেস্ক
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবারফরাসি ক্লাব পিএসজিতে লিওনেল মেসি ভালো ছিলেন না এটা পুরোনো খবর। মেসি নিজেও সেটা জানিয়েছেন একাধিকবার। তবে পিএসজিতে থাকাকালীন যে আক্ষেপ সঙ্গী হয়েছে মেসির, সেটা আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলে কারও হয়নি। কাতারে বিশ্বকাপ জেতা আর্জেন্টিনার ২৫ সদস্যের বাকি সবাই নিজ ক্লাব থেকে সংবর্ধনা পেলেও পাননি দলটির অধিনায়ক।
বিশ্বকাপ জয়ের পর নিজ দেশ আর্জেন্টিনায় একাধিক সংবর্ধনা দেওয়া হয় মেসিকে। তার সতীর্থ ম্যাক অ্যালিস্টারকে দেওয়া ব্রাইটনের সংবর্ধনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে অনেকদিন। রদ্রিগগো ডি পল, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, আনহেল ডি মারিয়াও নিজ নিজ ক্লাব থেকে রাজকীয় সংবর্ধনা পেয়েছেন। অথচ দলের অধিনায়ক ও সবচেয়ে বড় তারকা মেসিকেই নুন্যতম কোনো সংবর্ধনা দেয়নি পিএসজি। এ বিষয়ে ইএসপিএনের মিগু গ্রানাদোসেক দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘ ২৫ জনের (আর্জেন্টিনা দলের) মধ্যে আমিই একমাত্র খেলোয়াড়, যে ক্লাবের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি (সংবর্ধনা) পাইনি।’
তবে মেসি অবশ্য বুঝতে পারেন, কেন তাকে পিএসজি সংবর্ধনা দেয়নি।
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতেন মেসি। ম্যাচে জোড়া গোল করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
মেসি বলেন, ‘ব্যাপারটা বোধগম্যই। কারণ, আমাদের (আর্জেন্টিনা) কারণেই ওরা (ফ্রান্স) বিশ্বকাপ ধরে রাখতে পারেনি। যেকোনো কিছু কোনো না কোনো কারণেই ঘটে থাকে। আমি যদি সেখানে (পিএসজি) ভালো না থাকি, সেটার কারণ আমি তখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।’
২০২০ সালে আর্থিক অনটনে থাকা বার্সেলোনা ছাড়তে বাধ্য হন মেসি। নতুন ঠিকানা হিসেবে তিনি বেঁছে নেন পিএসজিকে। তবে সেখানে তার যেত তেতো অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটা পারলে ভুলে যেতে চাইবেন তিনি। পিএসজির উগ্র-সমর্থকদের একটি অংশ মাঠে তাঁকে একাধিকবার দুয়ো দেন। অথচ বার্সেলোনার ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে কখনও এমন অভিজ্ঞতা হয়নি ৭ বারের ব্যালন ডি’অরজয়ীর।
২০২৬ বিশ্বকাপেও মেসি খেলবেন কিনা এই প্রশ্নের উত্তর জানার কৌতূহল রয়েছে সবার। এতদিন পরিস্কার করে না বললেও আগামী কোপা আমেরিকার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মেসি। তিনি বলেন, ‘কোপা আমেরিকা আমার মাথায় আছে। এরপর দেখব কেমন লাগছে। দিন ধরে ধরে দেখব খেলা চালিয়ে যাওয়া কিনা। এখনো তিন বছর বাকি আছে (বিশ্বকাপের)। আমার খেলার মান কমে যাচ্ছে কি না, সেদিকে আমি তাকাই না। আমি থামি, আবার খেলি। তবে বাস্তবতা বলে এটা ব্যাপার আছে। আমার বয়স হচ্ছে। আমি হাজারের মতো ম্যাচ খেলেছি। আর সময় তো সবার জন্যই চলে যায়।’