বাংলারজমিন
বেগমগঞ্জে শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল হান্নান পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, নেশা করা, অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানি, শিক্ষকদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে গত ৮ই আগস্ট নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মামুনুর রশিদ কিরণ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে ডিও লেটার দেন। এমপি’র ডিও লেটারের পর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সম্প্রতি এ বিষয়টি তদন্ত করেন। তদন্তের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। জানা যায়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে আবদুল হান্নান পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে। তিনি প্রায় সময়ই নেশাগ্রস্ত থাকেন এবং প্রকাশ্যেই ধূমপান করেন। সেবাপ্রার্থী শিক্ষকরা কোনো তথ্য জানতে চাইলে তিনি খারাপ আচরণ করেন। অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীদের সামনেই বিরূপ মন্তব্য করেন। অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক বদলি করেন। উত্তর বসন্তের বাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকেয়া বেগম দীর্ঘদিন ছুটিতে থাকা অবস্থায় বদলিতে সুপারিশ করেন। যা পরবর্তীতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপে বন্ধ করা হয়। হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমা আক্তারকে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগরে বদলির সুপারিশ করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে এমন শিক্ষক বদলিতে সুপারিশ করার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রুটিন মেন্টেনেন্স বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থ অফিসের সামনের দেয়ালের মাত্র ৫ থেকে ৬ ফুট রঙ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শিক্ষা অফিসারের এমন অনিয়মের কারণে বেগমগঞ্জের শিক্ষা ব্যবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে বলেও এমপির ডিও লেটারে উল্লেখ করে তাকে দ্রুত বেগমগঞ্জ থেকে বদলির জন্য শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর নিকট সুপারিশ করা হয়। এ বিষয়ে কথা বলতে বেগমগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল হান্নান পাটোয়ারীর অফিসে গিয়েও পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসি বেগম মানবজমিনকে বলেন, এমপি সাহেবের অভিযোগের বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবো।