ঢাকা, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, বুধবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

মুজগুন্নী মহাসড়ক

২০ কোটি টাকার সড়ক ৪ মাসও টিকলো না ৩৩ কোটির ড্রেনও অচল

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবারmzamin

ভাঙাচুরা সড়ক নিয়ে কষ্ট আর আক্ষেপের শেষ ছিল না খুলনা মহানগরীর বয়রা ও মুজগুন্নী এলাকার বাসিন্দাদের। ক্ষোভ ছিল খুলনার প্রধান দুই হাসপাতালে যাতায়াতকারী রোগীদেরও। অনেক ক্ষোভ-বিক্ষোভের পর সড়কটি সংস্কার করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। ইতিপূর্বে সড়কটিতে পানি জমে থাকতো। এতে সড়কের বিটুমিন উঠে গর্ত তৈরি হয়ে দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতো। এবার ২০ কোটি টাকা যাতে জলে না যায়, এ জন্য সড়কের দুই পাশে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা দিয়ে ড্রেন তৈরি করা হয়েছে। এত আয়োজনের পরও ৪ মাস যেতে না যেতেই সড়কে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। উঠে গেছে কার্পেটিং। পানি জমছে বিভিন্ন স্থানে।

বিজ্ঞাপন
এদিকে স্থানীয়দের শান্ত করতে গত মাসে কয়েক দফা সড়কটিতে সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও সড়কটি রক্ষা করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন স্থানে আবারো গর্ত তৈরি হয়েছে। নতুন সড়কে পুরাতন সেই খানাখন্দ এবং জোড়াতালি দেখে ক্ষুব্ধ ওই এলাকার মানুষ। স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক দশকের মতো সড়কটি ভাঙাচুরা ছিল। সড়ক মেরামতের জন্য মানববন্ধন, স্মারকলিপি, কাদাপানিতে দাঁড়িয়ে অবস্থানসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয়রা। একপর্যায়ে ২০২১ সালে সড়কটি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয় কেসিসি। প্রায় ৫ দশমিক ৩শ’ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কের মেরামত কাজ শেষ হয় গত মে মাসে।
সড়কটি ঘুরে দেখা গেছে, কেডিএর পার্কের সামনে সড়কটির একপাশ পুরোটাই পানিতে তলিয়ে আছে। পাশে নির্মাণ করা নতুন ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এর আগে সকালের সামান্য বৃষ্টিতে সড়কটির বিভিন্ন অংশে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। অথচ পাশেই নতুন ড্রেন ছিল। মুজগুন্নী আবাসিক এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গত মাসে তৈরি হওয়া গর্ত ভরাট করা হয়েছে। এতে মাত্র ৪ মাস আগে নির্মাণ করা সড়কটি দেখাচ্ছে তালি দেয়া ছেঁড়া কাঁথার মতো। বিভিন্ন স্থানে সড়কের বিটুমিন উঠে যাচ্ছে।
কেসিসি’র নথি থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৭শে অক্টোবর সড়কটি সংস্কারের দরপত্র আহ্বান করে কেসিসি। ২০২২ সালের ২০শে জানুয়ারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। এরমধ্যে সোনাডাঙ্গা বাসটার্মিনাল থেকে পুলিশ লাইন্স পর্যন্ত প্রথম ২ দশমিক ৭৫৮ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের ব্যয় ছিল সাড়ে ৯ কোটি টাকা।
নতুন রাস্তা পর্যন্ত দ্বিতীয় অংশের (২ দশমিক ৫৪৫ কিলোমিটার) কাজ যৌথভাবে পায় আরেকটি প্রতিষ্ঠান। এই অংশে ব্যয় হয়েছে ১০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সড়কের এই অংশের নেভী স্কুলের সামনে সড়কে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সেই গর্ত ভরাট করা হয়েছে। কিন্তু অন্য অংশে গর্ত তৈরি হয়েছে। নতুন সড়কে জোড়াতালি দেখে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। আর ড্রেনটি ৩ ভাগে ভাগ করে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। অনেক এলাকায় ড্রেনের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এ ব্যাপারে কেসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, সড়কের ওই স্থানে বেশ কয়েকদিন বৃষ্টির পানি জমে ছিল। এতেই সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কও মেরামত করা হয়েছে। পুনরায় যাতে পানি না জমে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status