বাংলারজমিন
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছিল শিক্ষক
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবারচট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগে একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের পর খুন করে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক রিদুয়ানুল হক (৩২)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গ্রেপ্তার শিক্ষক শিক্ষার্থী শাবিব শাইয়ান (১১) হত্যা মামলার প্রধান আসামি। সোমবার কঙবাজারের চকরিয়া থানার বমুবিলছড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রিদুয়ানুল হক (৩২) চকরিয়া উপজেলার চরণদ্বীপ এলাকার বদিউল আলমের পুত্র।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) তাপস কর্মকার বলেন, প্রায় সাত মাস আগে মাদ্রাসাছাত্র হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মূলত ওই মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চকরিয়ার চরণদ্বীপ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, শিশুটি আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হলেও ময়নাতদন্তে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন এবং বলাৎকারের আলামত পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার মাদ্রাসা শিক্ষক রিদুয়ান অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে চকবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৩ই মার্চ নগরীর মেহেদীবাগে একটি মাদ্রাসার টয়লেট থেকে হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী শাবিব শাইয়ানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু বিষয়টি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও পরবর্তীতে মরদেহের ময়নাতদন্তে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের প্রমাণ পাওয়া যায় এবং জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের আলামতও পাওয়া যায়।
পাঠকের মতামত
@wadud তোকে গালি দিবো না, কারণ তোকে গালি দিয়ে কুকুরকে অপমান করতে চাই না। তোকে জাস্ট একটা প্রশ্ন করবো, বলাৎকার কি শুধু হুজুররাই করে?? এখন যেসব হুজুররা বিনা বিচারে বছরের পর বছর ধরে জেল খাটছে তারা কি বলাৎকারের আসামি? এসব হিফজ্ মাদ্রাসায় তোদের মত কুলাঙ্গাররা অনুদানের নামে কালো টাকা বিলিয়ে তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করছে। কদিন আগে কক্সবাজারে আম্লিগের এক নেতার মৃত্যু হলো এই বলাৎকার করার কারণে! অপরাধী কখনো হুজুর কিংবা আম্লীগ হতে পারে না, অপরাধী অপরাধীই। দৃষ্টান্তমুলোক শাস্তি তো এই রাষ্ট্র কখনোই দেয় না, দুদিন পর তাকে জামিন দিয়ে বের করে দিবে।
এই ধরণের বলাৎকার এর বিচার আইনে লিঙ্গ কেটে দেওয়ার আইন করা উচিত।
ইহা একটি ইসলামিক ধর্ষণ, তাই কিছুই হইবেনা কারণ কারণ হুজুরেরা চিল্লা চিল্লি করবে যে আলেমদের উপরে নির্যাতন চলছে, এছাড়া দোষের কি ধর্ষণের সময় ওই হুজুর অবশই ইসলাম নির্দেশিত সংগমের দোয়া পাঠ করেছেন
মন্তব্য করুন
বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]