বাংলারজমিন
চাঁদা না দেয়ায় মারধর ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবারপাবনার ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না পেয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতা তাকে পিটিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন। ১২শে সেপ্টেম্বর শহরের মশুড়িয়াপাড়া বকুলের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত শনিবার ভুক্তভোগী ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মারধর, জখম, চুরি ও ভয়ভীতির অভিযোগে মামলা করেছেন। ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম খন্দকার আরমান। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বাড়ি শহরের মাহাতাব কলোনি। আর এ ঘটনায় মামলা করেছেন পূর্ব টেংরি হাসপাতাল রোড এলাকার আলাউদ্দীনের ছেলে সাব্বির আহম্মদ। তিনি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শহরে দীর্ঘদিন থেকে ‘সাইবার জোন অনলাইন ডট নেট’ নামে ইন্টারনেট ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন সাব্বির। কিছুদিন আগে থেকে তার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল ছাত্রলীগের ওই নেতা। এর জের ধরে গত ১২ই সেপ্টেম্বর বিকালে খন্দকার আরমানের নেতৃত্বে ৭-৮ জন কর্মী নিয়ে মশুড়িয়াপাড়ার বকুলের মোড় এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ইন্টারনেট সংযোগ লাইনের কাজ করার সময় সাব্বিরের ওপর হামলা চালায়। পরে তারা মারধর করতে করতে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সাব্বিরের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে রাস্তার পাশে তাকে ফেলে দিয়ে তারা চলে যায়। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সাব্বির আহম্মদ জানান, মোটরসাইকেলে করে এসে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার কাছে থাকা নগদ টাকা, ফাইবার জয়েন্ট-পাওয়ার মিটার মেশিন ও ইন্টারনেটের তার নিয়ে যায়।
একাধিক স্থানীয়রা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানান, উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি, ইন্টারনেট ব্যবসা, জমি দখল, টেন্ডারবাজিসহ একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে ছাত্রলীগের দু’একজন নেতা। দলীয় নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী জড়িত থাকলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ। এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, এ ঘটনায় থানায় তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। তারা এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছেন। যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি অস্বীকার করেন খন্দকার আরমান। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তার যথেষ্ট প্রমাণ তার কাছে আছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।