ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

নিজের স্বাক্ষর অস্বীকার শিক্ষা কর্মকর্তার, বিপাকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার

দশমিনা উপজেলার পূর্ব আলীপুরা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার পূর্ণাঙ্গ ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদনের স্বাক্ষর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অস্বীকার করায় বিপাকে পড়েছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। ওই মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক দাবি করেছেন, সুপারসহ কমপক্ষে ৫টি নিয়োগ থাকায় শিক্ষা কর্মকর্তা ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ই মার্চ ওই মাদ্রাসায় পূর্ণাঙ্গ ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সদস্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া। 

সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ৭ই মে মাদ্রাসার সভাপতি সহ ১১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়ে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন। এদিকে ওই কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগে গত ১৬ই আগস্ট পূর্ব আলীপুরা গ্রামের মো. কুদ্দুস নামে এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া, একাডেমিক সুপারভাইজার নেছার আহমেদ ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মো. খালিদ হোসেনকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন ইউএনও। গত ৭ই সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দিয়েছেন তারা। 

লিখিত তদন্ত প্রতিবেদনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া মাদ্রাসার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্বাক্ষর দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, তার স্বাক্ষর জাল করে মাদ্রাসার কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। তবে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (বিএসসি) মো. কামাল হোসেন জানান, সকল নিয়ম মেনে কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাদ্রাসা কমিটি নির্বাচনের পিজাইডিং কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া মাদ্রাসার ৫টি নিয়োগে ৫ লাখ টাকা দাবি করেছেন। এখন উপজেলা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার চাপে তার দেয়া স্বাক্ষর অস্বীকার করেছেন। মাদ্রাসার সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আলতাফ হোসেন জানান, সকল নিয়ম-কানুন মেনেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

এখন প্রভাবশালীদের চাপে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বাক্ষরের বিষয়টি অস্বীকার করছেন।

বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি কোথাও বলিনি মাদ্রাসা কমিটিতে স্বাক্ষর আমার না। তবে তদন্ত প্রতিবেদনে তার স্বাক্ষরের বিষয়টি অস্বীকার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা নাজ নীরা জানান, তদন্তে মাদ্রাসায় কমিটি গঠনে কিছু অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল আজীজ মিয়া বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অসুস্থ মানুষ, সে কখন কি বলেন সেটা ঠিক থাকে না। ওই মাদ্রাসার কমিটিতে স্বাক্ষর দেয়ার বিষয়টি তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন।

 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status