প্রথম পাতা
পাঁচ বিভাগে রোডমার্চ, ঢাকায় ১২টি সমাবেশ ও কনভেনশন করার ঘোষণা
১৫ দিনের লাগাতার কর্মসূচি বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার
সরকার পতনের একদফা দাবিতে ১৫ দিনের লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। ১৯শে সেপ্টেম্বর থেকে ৩রা অক্টোবর পর্যন্ত দেশের ৫ বিভাগে রোডমার্চ এবং রাজধানী ও আশপাশের জেলার বিভিন্ন স্পটে ১২টি সমাবেশ ও কনভেনশন করবে বিএনপি। এদিকে বিএনপি’র সঙ্গে মিল রেখে একই কর্মসূচি দিয়েছে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি। এ ছাড়া একই দাবিতে আলাদা ৪ দিনের কর্মসূচি দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
গতকাল বিকালে গুলশানস্থ চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
কর্মসূচিগুলো হলো- ১৯শে সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলার জিঞ্জিরা-কেরানীগঞ্জ এবং গাজীপুরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। কেরানীগঞ্জের সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ড. আবদুল মঈন খান। টঙ্গীর সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ২১শে সেপ্টেম্বর ভৈরব থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-সিলেট পর্যন্ত রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বক্তব্য রাখবেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ২২শে সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসনের আশু রোগমুক্তি কামনায় বাদ জুমা সারা দেশের জেলা, উপজেলা, মহানগর, পৌরসভা ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
গণতন্ত্র মঞ্চের ৪ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা:
ওদিকে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ৪ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। এরমধ্যে রাজধানীকেন্দ্রিক সমাবেশ ও পদযাত্রা রয়েছে। একই দাবিতে আগামী ৩রা অক্টোবর পর্যন্ত সেমিনার এবং আলোচনা সভাও করবে তারা। গতকাল দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টন দারুস সালাম বিল্ডিংয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন মঞ্চের সমন্বয়ক ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।
কর্মসূচিগুলো: ১৯শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সমাবেশ ও পদযাত্রা, ২৩শে সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় কাওরান বাজারে পেট্রোবাংলার সামনে সমাবেশ-পদযাত্রা, ২৫শে সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের সামনে সমাবেশ-পদযাত্রা এবং ২৭শে সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ এবং পদযাত্রা করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। এ ছাড়া আগামী ৩রা অক্টোবর পর্যন্ত গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এসব কর্মসূচির তারিখ ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবেও বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির
ওদিকে একদফা দাবিতে ১২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি। ১৯শে সেপ্টেম্বর থেকে ৩রা অক্টোবর পর্যন্ত এসব কর্মসূচি পালন করবে তারা। গতকাল গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির তরফ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
কর্মসূচিগুলো হলো- মঙ্গলবার ঢাকা জেলার জিঞ্জিরা/কেরানীগঞ্জ এবং গাজীপুর জেলার টঙ্গীতে সমাবেশ, ২১শে সেপ্টেম্বর ভৈরব থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেট পর্যন্ত রোডমার্চ, ২২শে সেপ্টেম্বর ঢাকায় পেশাজীবী সমাবেশ, ২৩শে সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরে যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় সমাবেশ, ২৩শে সেপ্টেম্বর বরিশাল-ঝালকাঠি-পিরোজপুর-পটুয়াখালী পর্যন্ত রোডমার্চ, ২৫শে সেপ্টেম্বর ঢাকার নয়াবাজার ও আমিনবাজারে সমাবেশ, ২৬শে সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চ, ২৭শে সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরের গাবতলী ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া আগামী ২৯শে সেপ্টেম্বর ঢাকায় মহিলা সমাবেশ, ৩০শে সেপ্টেম্বর ঢাকায় কৃষক-শ্রমিক সমাবেশ, ১লা অক্টোবর ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা-কিশোরগঞ্জে রোডমার্চ এবং ৩রা অক্টোবর কুমিল্লা-ফেনী-মিরসরাই-চট্টগ্রাম রোডমার্চ করবে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি।
পাঠকের মতামত
সমস্ত জাতির সব সৎ নেতৃত্ব এক হোন। এক হয়ে ঐ চিহ্নিত দুর্বৃত্তকে ময়দান থেকে সরান। এর কোন মানসম্মানবোধ যেমন নেই চেতনার গীত গাইতে গাইতে অবচেতন অবস্থানে নষ্ট সময় পার করছে। একবার তো নয় হাজার বার ধরা খাচ্ছে। কোনটা রেখে কোনটা বলি। যখনই প্রলাপ শুনি মিথ্যা ছাড়া কোন সত্য কথা শুনতে পাই না। জনতার ভোটে নির্বাচিত হয়েছি, জনতা চাইলে থাকবো না চাইলে থাকবো না। বলেন কোন কথাটি সত্য বলে মনে হয় আপনাদের? বিরোধীদের গায়ে জঙ্গি তকমা লাগায়, পেট্রোল বোমা ছুড়ে, বাসে আগুন দেয়। সব কটি অপরাধ নিজের গুন্ডাপান্ডা দিয়ে করিয়ে মিথ্যা শাক দিয়ে মাছ তো ঢাকা যায় না। বরং উগলে বের হয়ে আসে। তার নিজের দলবাজরাই হেসে কুটি কুটি হয় এসব কথা শুনে। ওবায়দুল কাদেরের মত মিথ্যা বয়ানীদের জন্য সুচিকিৎসা আর বাকী সব সাধুর জন্য মরণ যাতনা, এতো সইবার নয়। খালেদার দীর্ঘশ^াসেই এ সরকারের পতন অবধারিত হয়ে যাবে। সারা জাতি একবাক্যে জানে কিভাবে খালেদাকে আসামী করা হয়েছে। একজন সৎ মানুষ মক্কা শরিফের মতই পবিত্র। নিজের অপকর্ম ঢাকার কসরত হিসাবে এসব করা হয়েছে। এখন স্থানে স্থানে থলের বেড়াল সর্বত্র উঁঁকিঝুকি দিচ্ছে, গোটা দুনিয়ায় তা ছড়িয়ে পড়েছে, লুকানো নেই। দুর্গন্ধ লুকিয়ে রাখা যায় না। সুব্াস হলে আস্তে ছড়াতো। কুবাস দ্রুত ছড়ায়। আন্দোলনের বিকল্প নেই। আপনাদের সামনে অফুরান পাওনার জমাট ভান্ডার। নির্যাতীতের কান্না সবার আগে আল্লাহর দরগাহে পৌছায়। আল্লাহ থাকে তার শাহরগের চেয়েও নিকটে।