বাংলারজমিন
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবারকুমিল্লার হোমনা উপজেলায় জজ মিয়া হত্যা মামলায় ১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি উপজেলার হোমনা সরদার বাড়ির বাহাদুর মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া (৩৫)। জানা যায়, ২০১৫ সালের ২২শে মে সন্ধ্যায় জজ মিয়া বিদ্যুৎ না থাকায় ও প্রচণ্ড গরমে বাড়ির পাশে পৌর নতুন বাসস্ট্যান্ড খোলা মাঠে বসে মোবারক মিয়াসহ অন্যদের সঙ্গে গল্প করছিলেন। এ সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন এবং একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে বুকের বাঁ পাশে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান। পরে সিএনজিচালক জামির ও দেলোয়ার আহত জজ মিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জজ মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ বিষয়ে পরদিন ২৩শে মে মৃতের বড় ভাই আনোয়ার আলীর ছেলে মো. জুলহাস (৪২) বাদী হয়ে একই উপজেলার হোমনা সরদার বাড়ির বাহাদুর মিয়ার ছেলে আসামি আজাদ মিয়া, সালাউদ্দিন, নাসির উদ্দিনসহ ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই কাজী নাজমুল হক ২৮মে মে আসামি আজাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ সালের ২৫শে ডিসেম্বর আসামি আজাদ মিয়া, সালাউদ্দিন ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৬ সালে ১৪ই আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করা হয়। পরে ২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং আসামি আজাদ মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির আলোকে আজাদ মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। অন্য ২ আসামি সালাউদ্দিন ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আজাদ মিয়াসহ অন্য ২ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।