অনলাইন
‘দরবেশ বাবা’ সেজে সাবেক সরকারি কর্মকর্তার সাত কোটি টাকা আত্মসাৎ
অনলাইন ডেস্ক
(৬ দিন আগে) ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:০৫ অপরাহ্ন
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আনোয়ারা বেগম ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানের জন্য একজন ‘দরবেশের’ শরণাপন্ন হয়েছিলেন । কিন্তু সুযোগ বুঝে ওই নারীর কাছ থেকে কয়েক দফায় সাত কোটি টাকা নেন দরবেশ। শেষে আনোয়ারা বেগম বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারিত হচ্ছেন। প্রতিকার চেয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তভার পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সম্প্রতি কথিত সেই দরবেশকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সিআইডি।
সিআইডি জানায়, আনোয়ারা বেগম সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। তার তিন ছেলে-মেয়ে দেশের বাইরে থাকেন। স্বামী দেশের নামকরা একজন চিকিৎসক। চাকরি থেকে অবসরের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সময় কাটাতেন তিনি।
হঠাৎ একদিন ফেসবুকে একটি বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে আনোয়ারার। সুন্দর পরিপাটি চেহারার সে ব্যক্তি নিজেকে সৌদি আরবের মসজিদে নববির ইমাম পরিচয় দেন। তিনি কোরআন-হাদিসের আলোকে মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করেন বলে জানান।
বিজ্ঞাপনটি দেখে আনোয়ারা বেগম বাসার গৃহপরিচারিকার সঙ্গে আলাপ করেন। গৃহপরিচারিকা তাকে জানান, জিন-পরির মাধ্যমে দরবেশ বাবারা এসব সমস্যার সমাধান করেন। তার গ্রামের কয়েকজনের এই উপায়ে সমস্যার সমাধান হয়েছে। এরপর বিজ্ঞাপনে দেয়া নম্বরে কল করেন আনোয়ারা। অপর প্রান্তে কথিত দরবেশ সুন্দর করে কথা বলে তার পারিবারিক সমস্যা শুনতে চান। পরে দরবেশ তার মুঠোফোন নম্বরে টাকা পাঠাতে বলেন। কথামতো আনোয়ারা টাকা পাঠান।
ঢাকার উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে মো. তানজিল আহমেদ ওরফে তানজিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তিনি জানান, চক্রের হোতা মো. হাসেম। তিনি প্রথমে মুঠোফোন নম্বরের মাধ্যমে ছোট অঙ্কের টাকা নিতেন। এরপর বড় অঙ্কের টাকা নেয়ার সময় তাকে আনোয়ারা বেগমের কাছে পাঠাতেন। এভাবে ধাপে ধাপে সাত কোটি টাকা নেন তারা।
পাঠকের মতামত
সরকারি চাকরিজীবীর অবৈধ আয়ের টাকা তো অবৈধভাবে চলে যাবে এটাই তো সত্যি
একজন সরকারি কর্মকর্তা এত টাকা কোথায় পেল...?
এতো টাকা কি হালাল ভাবে ঊপারজিতো ?
শুধু জিন বাবাকেই দিয়েছেন সাত কোটি টাকা, সে কত টাকার মালিক ? আয়ের উৎস কোথায় ছিল ?? একজন সরকারি কর্মকর্তার বেতন কত ? চাকুরী শেষে কত টাকাই পেনশন ছিল ? অসৎ পয়সা অসৎ পথেই চলে গেছে, কি করার আছে ? তোমার জিন বাবাকে আরো দেও।আহাম্মক কোথাকার !!
একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা যার স্বামী নামকরা চিকিৎসক- তিনি অবশ্যই শিক্ষিতা ছিলেন- আর তিনি কিনা পারিবারিক সমস্যার সমাধানের জন্য পরামর্শ নিলেন একজন গৃহপরিচারিকার কাছে! এতদিন জানতাম অধিক টাকাওয়ালারা স্বভাবে কৃপণ হয়, এখন তো দেখছি বেশি টাকা অনেককে অজ্ঞও করে তোলে।
লজিক এবং ডিজিটাল জমানায় মানুষ এখনও বোঝা ।
একজন সরকারি কর্মকর্তা এত টাকা কোথায় পেল...?
এবিআর ও দূনীতি দমন কমিশনের কি আর কোন সাফাই স্বাক্ষী লাগবে যে কথিত বাবা ভিকটিম আনোয়ারা বেগমকে আইনের আওতায় এনে উক্ত টাকার উৎস জেনে নেয়া ও ট্যাস্ক প্রদান না হয়ে থাকলে তার আইনানূগ ব্যবস্থা নেয়া।