কলকাতা কথকতা
মমতাজের পাসপোর্টে দুই নাম নিয়ে প্রশ্ন...
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(১ বছর আগে) ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার, ৩:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:২৩ পূর্বাহ্ন

পাসপোর্টে মানুষের একটি নামই থাকে। এই নামটিই অভিজ্ঞান হয়ে সারা জীবন তার পরিচয় বহন করে। কিন্তু বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট লোকসংগীত গায়িকা মমতাজ বেগমের পাসপোর্টের দুটি নাম ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এটি সত্য হলে তা কেন গুরুতর অপরাধের তালিকাভুক্ত হবে না সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
উল্লেখযোগ্য, ২০০৮ সালে ১৪ লাখ রুপি এডভান্স নিয়েও অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত না হওয়ায় শারীরিক নিগ্রহের স্বীকার হন তার এজেন্ট, ইভেন্ট অর্গানাইজার শক্তি শঙ্কর বাগচি। শক্তি বাবু আদালতে যে নথি তুলে ধরেছেন তাতে দেখা যায়, ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত শক্তি বাবুর সঙ্গে চুক্তি ছিল মমতাজের। মমতাজের জন্য বহরমপুরের উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে অগ্রিম ১৪ লাখ রুপি নেন তিনি। সেই রুপি তিনি পাঠিয়ে দেন মমতাজকে। মমতাজ অনুষ্ঠানে তো আসেনইনি, ওই রুপিও ফেরৎ দিতে অস্বীকার করেন।
এরপরই শক্তি শংকর বাবু বহরমপুর আদালতের দ্বারস্থ হন। বহরমপুর আদালত বারবার সমন পাঠানো সত্ত্বেও মমতাজ বেগম আদালতে হাজির হননি। এরপর তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়। আট সেপ্টেম্বর তিনি অন্তর্বর্তী জামিন পান। শক্তি শংকর বাবু এবার হাইকোর্টে যান। প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের মামলা আনেন। একই মামলায় বহরমপুর আদালত কিভাবে তাকে জামিন দিলো এই প্রশ্ন তুলে তিনি বহরমপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলকেশ দাসের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ভারতের ফরেনার্স অ্যাক্টের ধারা ঠিকমতো প্রয়োগ হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নও তিনি তুলেছেন। বর্তমানে মামলাটির যে অবস্থা তাতে মমতাজ বেগমকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতেই হবে। এবং তার গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। প্রতারণার এই মামলাটি ভারতে যথেষ্ট কৌতূহলের সঞ্চার করেছে।