শরীর ও মন
খেলাধুলায় দুর্ঘটনায় পতিত হলে
ডা. মো. বখতিয়ার
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবারখেলাধুলা করার সময় আমরা যেকোনো সময় দুর্ঘটনায় পড়তে পারি বা খেলাধুলা করার সময় আমরা বিভিন্নভাবে দুর্ঘটনায় পড়তে পারি। এসব দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে কোনো কোনো সময় দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলা সম্ভব। আর যদি দুর্ঘটনা ঘটেই যায় তাহলে তৎক্ষণাৎ জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে প্রয়োজন হলে ডাক্তারের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য যে পন্থাগুলো মেনে চলা দরকার
১. খেলাধুলা ও ব্যায়াম করার পূর্বে শরীর ভালোভাবে গরম করে খেলার উপযোগী করে নিতে হবে।
২. প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যায়াম বা খেলাধুলা করা উচিত নয়।
৩. ব্যায়াম করার সময় নিজের উচ্চতা ও ওজন অনুসারে সঙ্গী বেছে নিতে হবে।
৪. পিচ্ছিল, ভেজা ও ইটপাটকেলযুক্ত মাঠে খেলা করা উচিত নয়।
৫. গাছ বা বৈদ্যুতিক তারের কাছে খেলাধুলা করা উচিত নয়।
সাধারণ খেলাধুলার সময় যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে
চামড়া ছিঁড়ে যাওয়া: হাতুড়ি, পাথর বা কোনো ভোঁতা জিনিসের আঘাতে বা খেলার সময় বুটের আঘাতে চামড়া ছিঁড়ে যেতে পারে। চামড়া ছিঁড়ে গেলে ওই স্থানটি থেতলানো, রক্তজমা ও কালশিটেযুক্ত হয়।
প্রাথমিক করণীয়
১. ছিঁড়ে যাওয়া থেঁতলানো জায়গায় ঠাণ্ঠা পানি বা বরফ লাগাতে হবে।
২. পরিষ্কার তোয়ালে বা কাপড় ঠাণ্ঠা পানিতে ভিজিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে বেঁধে রাখতে হবে। শুকিয়ে গেলে পুনরায় ভিজিয়ে দিতে হবে।
৩. রক্ত বের হলে তা বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে ।
৪. জীবাণুমুক্ত তুলা দিয়ে জমাট রক্ত মুছে মলম লাগাতে হবে।
৫. প্রয়োজন হলে ডাক্তারের কাছে পাঠাতে হবে।
মাংসপেশিতে টান ধরা:
খেলাধুলা করার সময় বা ভারী কোনো জিনিস তোলার সময় মাংসপেশিতে টান লেগে মাংসপেশির আঁশ ছিঁড়ে ব্যথা অনুভূত হয় ও চলতে গেলে খুব কষ্ট হয়। কোনো কোনো সময় আহত স্থানে ফুলে উঠে এবং কালশিরা পড়ে যায়। এ অবস্থাকে মাসলপুল বা মাংসপেশিতে টান বলে। এরূপ হলে আহত স্থানটিকে বিশ্রাম দিয়ে বরফ লাগাতে হবে। ২৪ ঘণ্টা পর গরম পানিতে বোরিক পাউডারের কমপ্রেস প্রয়োগ করতে হবে। অ্যাথলেটিকস ও সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীদের মাংসপেশিতে টান ধরে বেশি।
ফুলে যাওয়া:
ফুটবল খেলার সময় বুটের আঘাতে, বক্সিং খেলার সময় মুষ্টির আঘাতে বা পড়ে গিয়ে আঘাত লেগে শরীরের কোনো স্থান ফুলে যেতে পারে।
লেখক: জনস্বাস্থ্য বিষয়ক লেখক ও গবেষক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খাজা বদরুদজোদা মডার্ন হাসপাতাল, সফিপুর, কালিয়াকৈর, গাজীপুর।