অনলাইন
বোনের ইজ্জত রক্ষায় ভাইয়ের প্রাণপণ চেষ্টার ভিডিও ভাইরাল
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে
(২ মাস আগে) ১২ জুন ২০২২, রবিবার, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:২৪ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজারের খুরুশকুল বেড়িবাঁধ এলাকায় বোনকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ভাইকে বেধড়ক মারধর করেছে তিন বখাটে। বোনের ইজ্জত রক্ষায় ভাইয়ের প্রাণপণ চেষ্টা এবং বেধড়ক মার খাওয়ার ভিডিওটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় বখাটেরা ফিল্মি স্টাইলে নাফিসা আক্তার (১৪ ) নামের এক তরুণীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বোনকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন ওই তরুণীর ভাই আব্দুল মোনাফ। বখাটেদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বোনকে রক্ষা করতে পারলেও বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন মোনাফ। ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউপির আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন মনুপাড়া এলাকায়।
ঘটনাটি আশ্রয়ন প্রকল্পের বেড়িবাঁধে গত ৩১ মে বিকেলে ঘটলেও তা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় শনিবার রাতে। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল মোনাফ বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পে আমাদের ফ্ল্যাট থেকে মঙ্গলবার (৩১ মে ২০২২) আমার বোন মামার বাড়ি যাচ্ছিল। পথে খুরুশকুল মনুপাড়ার জামাল-রায়হানরা আমার বোনকে নোংরা ভাষায় কটূক্তি করে। ‘আমার বোন নীরবে বাড়ি ফিরে আসতে চাইলেও বখাটেরা বারবার তার পথ আটকাচ্ছিল।
বোনের ইজ্জত রক্ষাকারী ভাইকে মারধর: দুই বখাটে আটক
বোনকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় তারা আমাকে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে। তাদের দফায় দফায় মারধরের এক পর্যায়ে বোনসহ আমি মাটিতে পড়ে যাই। ওই অবস্থায় তারা আমাকে মারধর করতে থাকে। মোনাফ অভিযোগ করেন, সেদিন আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে যান। পরে থানায় অভিযোগও দেন। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এ ঘটনার পরও দুর্বৃত্তরা মোনাফকে হুমকি দিয়ে গেছে। তবে, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তারা সবাই এখন পালিয়েছে বলে দাবি করেন মোনাফ। এদিকে মোনাফের অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি নাছির উদ্দিন মজুমদার। তার দাবি, তারা এমন ঘটনার কোনো অভিযোগ পাননি। তবে শনিবার রাতে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্তদের ধরতে মাঠে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ওসি।
পাঠকের মতামত
পুলিশ তো এখন পুলিশ নয়, এখন এরা পুলিশলীগ!
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে উপর থেকে তার নিরাপত্তার বিষয় টি নিশ্চিত হয়েই তাকে আঘাত করছে। অর্থাৎ দলীয় ছত্র ছায়ায় সে খুব শক্তিশালী।
1000 পুলিশের মদ্ধ্যে 1 টা সৎ পুলিশ আছে কিনা সন্দেহ ।
'উন্নয়ন' দেশকে কোথায় নিচ্ছে?
আমি হলফ করে বলতে পারি মিঃ ওসি মিথ্যা কথা বলেছেন। ইতিপূর্বে এরকম অনেক খবর ই দেখেছি থানা মামলা নেয়নি মজলুম বিচার পায়নি বরং অপরাধীরা নির্যাতিত পরিবারকে এতটাই আতংকের মধ্যে ফেলে যাতে তারা ভিটে মাটি ছেড়ে দূরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। কক্সবাজারের ঘটনা ভাইরাল না হলে এখানেও একই ঘটনা ঘটত।
Bangladesh government er uchit Indian government die law and order chalano
এদেশে সব কিছুতেই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন তাই তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি
ভাইরাল না হলে এই বলদদের টনক নরে না।
Police jodi palish kore, taha hoiley bichar kothai paiben?
বাংলাদেশ ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে। শালীনতা, ভদ্রতা, আন্তরিকতা, উদারতা উবে যাক; বিপন্ন হয়ে উঠছে বসবাস। কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজনৈতিক মাস্তানী কথাবার্তা আজকের শিশুকেও বিপদগামী করে তুলছে।
খাতা কলমে আইন আছে, কিন্তু আইনের কার্যকারিতা নাই, প্রশাসন আছে তাদের সঠিক ভূমিকা নেই, প্রশাসন মনে করে না জানি সে ছাত্রলীগ কিনা?
ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক ! তার চেয়েও বেশি দুঃখজনক ব্যাপার হলো - ঘটনাটি যদি ভাইরাল না হতো , তাহলে বোধহয় অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতো !!
ঘটনাবহ দেখে মনে হ্চ্ছে বাংলাদেশ এখন ত্রাস ও সন্ত্রাসীর আখড়া,দেশে আইনের শাসন থাকলে এই ভিডিও করা লাগতো না,
মাঝে মাঝে এদেশের পুলিশের কর্মকান্ড দেখলে মনে হয় এদের মা বোন নেই! এরা মা ছাড়া দুনিয়াতে এসেছে!! আর বোন নাই তাদের!!
রাজা দূর্বল হলে প্রজা বিদ্রোহী হবে এটাই সত্য।
পুলিশ ঠিক হলেই অনেক কিছুই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এদেশের রাজনীতিকরা পুলিশকে ঠিক হতে দিবেনা। জনসাধারণের প্রতিরোধ ছাড়া কোন উপায় নাই। মানুষের পীট যখন দেয়ালে ঠেকে যায় তখনই প্রতিরোধ শুরু হয়।
এদের ডেকে নির্জন জায়গায় নিয়ে হালকা ডোজে মেরে ফেলতে হবে, সবাই বুঝতে পারবেন হার্ট এটাকে মারা গেছে।
why?
এই মুহূর্তে রাজনীতির নেতার প্রতি ঘৃণা/ আমাদের সংশোধনের রাজনীতি দরকার/
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়ের বিবৃতি প্রত্যাশা করি----
পলিশ এর কাছে মা বনের ইজ্জত রক্ষা হবে, আপনার কি মনে হয় ?
রাজনীতির কাছে যদি হেরে যায় পুলিশ তাহলে পুলিশের স্বকীয়তা বলতে কিছুই নেই। খুবই আশ্চার্যের বিষয়! আমাদের পুলিশ বাহীনি স্বপ্রনোদিত হয়ে কোন অপরাধ দমন করেন না! যে কোন ঘটনায় প্রায় সব থানার ওসি সাহেবরা একই ধরনের দায়সারা উত্তর দিয়ে বলেন যে, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেন নি অভিযোগ করলে খতিয়ে দেখবেন। তার মানে কেউ অভিযোগ না দিলে চোখের সামনের অঘটনও তারা এটা বলেই এড়িয়ে যান। অথচ দেশ ও জনগণের জান-মাল হেফাজতে শপথ নিয়ে তারা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধিনে চাকরিতে জয়েন্ট করে। আর নিপীড়িত জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন ভাতা ও সুবিদা দেয়া হয়। যার কারনে সাধারণ জনগণ সন্ত্রাসীদের থেকে পুলিশকে বেশি ভয় পায়। এবং একারণেই মানুষ কোন ঘটনা ঘটে গেলে সহজে থানায় যেতে বা পুলিশের দ্বাতস্থ হতে চায় না। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মতিঝিলে দূর্বুত্তের গুলিতে নিহিত কলেজ ছাত্রির পিতার আর্তনাদ ও বিচার না পাওয়া ধর্ষিত শিশু কন্যা সহ রেলেগাড়ির নিচে পিতার আত্মহত্যা থেকেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়। আল্লাহ আমাদের দেশ ও জাতিকে সকল প্রকার অন্যায় জুলুম ও নির্যাতন হতে হেফাজত রাখুন।
বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক ও দুঃখ জনক ! তাই পুলিশ কেন মামলা দেওয়ার পরে ও ব্যবস্থা নেয়নি , এটা আগে খতিয়ে দেখতে হবে। আর এর বিচার না হলে এক বীরের মত ছুটে আসা ভাইয়ের মর্যাদা ভেস্তে যাবে।
জনগন কিন্তু বুজতে পারে পুলিশ কতো টুকু সত্যি কিংবা মিথ্যা বলছে। সুতরাং দায়িত্ব না এড়িয়ে কাজ করুন। বেতনটা হালাল ভাবে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
পুলিশ কি জানে না অত্র এলাকায় কিশোর গ্যাং কারা? শুয়ারের বাচ্চারা কেমনে পকেট ভারী করবে সেই চিন্তা ভাবনা করে সব সময়
রাষ্ট্রের মেরামত জরুরী। পুলিশ ভাইয়েরা পারছেনা আমাদের নোংরা অপরাজনীতির কারনে। পুলিশ ভাইদের ব্যবহার করছে শকুন ও কাউয়া টাইপের অসাধু রাজনৈতিক রা। দেশের অবক্ষয় এক চরম সীমায় পৌছে গেছে।এ থেকে পরিত্রান পেতে প্রকৃত দেশপ্রেমিক দের এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব রা অপ রাজনীতি করেন। অহিংস হতে হবে আমাদের।
Need example punishment of these stupid youngers.
আইন শৃংখলা বাহিনী / প্রশাসন স্বপ্রণোদিত হয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত, তাহলে জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে ইনশাআল্লাহ। দেশ শান্তিপূর্ণ / ভয়হীন বসবাসের উপযোগী হবে। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে এই দোয়াই করি।
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না নিলে আর কোনো ভাই বা কেউ এমন প্রতিবাদ প্রতিরোধ করতে আসবেনা। ওই কুলাঙ্গারদের শাস্তি হোক উদাহরণ স্বরূপ যেনো সারাদেশ দেখতে ও জানতে পারে। সাংবাদিক স্যারদের কাছে অনুরোধ এই বিষয়ে খতিয়ে আরো বেশি লেখালেখি করুন জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে
সারা দেশ ব্যাপি কিশোর গ্যাং একটা ক্যান্সারে রুপ ধারন করছে,এটা নির্মুল করতে না পারলে কেউই বাচবে না এদের হামলা থেকে,
সারা দুনিয়া জানলো, শুধু পুলিশ জানলো না। খুবই দুঃখজনক। এই কী ডিজিটাল না মেন্টাল বাংলাদেশ... জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন?????
প্রতিটা পাড়া মহল্লায় বখাটেদের উৎপাদ বেড়ে গেছে। সবাই নিরুপায় কারন কিছু বললেই হামলা করে আর এসব বখাটেদের ছত্র ছায়া থাকে কতিপয় চেতনাধারী বড় ভাই। উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে দেশ। দেনা, আইন শৃঙ্খলা, বিচার এইসব নিয়ে ভাবার কি দরকার? সবাই চেতনা নিয়েই থাকেন।
বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক ও দুঃখ জনক ! তাই পুলিশ কেন মামলা দেওয়ার পরে ও ব্যবস্থা নেয়নি ওই জানোয়ারদের বিরুদ্ধে, এটা আগে খতিয়ে দেখতে হবে। আর এর বিচার না হলে এক বীরের মত ছুটে আসা ভাইয়ের মর্যাদা ভেস্তে যাবে। আমি প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি।
প্রতিটা পাড়া মহল্লায় বখাটেদের উৎপাদ বেরে গেছে আমরা সবাই নিরুপায় কারন কিছু বললেই হামলা করে আর এসব বখাটেদের ছত্র ছায়া থাকে কতিপয় বড় ভাই
এই হল থানার অভিযোগ জানানোর সিষ্টেম। অফিসিয়াল কোন কাগজ দিবে না। জিডি করতে গেলে জিডি নিবে না , নানান ধানাই-পানি করবে, বসাইয়া রাখবে কয়েক দিন; তারপর বলবে একটা অভিযোগ দিয়ে যান। অভিযোগ জানানোর কোন অফিসিয়াল গ্রগ্ণযোগ্যতা নাই। পরে যেন বেকায়দা তৈরি হলে বলতে পারে- আমরা কিছুই জানি না, আমরা কোন অভিযোগ পাই নাই। থানার এই সেবা হল, আওয়ামীলিগ ছাড়া বাকি সবার জন্য।
আমাদের দেশের কিছু পুলিশের ধর্ম হচ্ছে কখনও তারা নিজের দায়িত্ব নিজ থেকে পালন করে না ভাইরাল না হওয়া পর্যন্ত। ভাইরাল হইলে তারা বলে কেঊ অভিযোগ করেনি তারা কিছু জানে না ???
অভিনন্দন জানাই ভাইকে কয়েকটি হিংস্র হায়েনার সাথে লড়াইয়ের জন্য।
প্রতিটি এলাকার বখাটে ছেলে বা যুবকদের তালিকা স্থায়ী থানার জানা। তাই নিয়মিত তাদের নজরদারীতে রাখলে যে কোন এলাকায়ই এরূপ খারাপ পরিস্থিতি হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে। ফলে সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। তাছাড়াও রাজনৈতিক কর্মী পরিচয়ের কোন যুবকের অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিলে তারা অন্যায় করা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবে।
পুলিশ এখন ভিকতিম এর কোন কাজ করে না।
এসব মানুষ রুপি জানোয়ারদের প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে মেরে ফেলা উচিৎ।
বিবেক মরে গেছে
পলিশ এখন ভিডিও ভাইরাল বা সিসি ক্যামেরার মত ধর্মজালে মাছ শিকার করার অবস্থায় দায়িত্ব উদযাপন করছে!
পুলিশ যদি ঘুমিয়ে থাকে ও টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যায় তাহলে দেখবে ও শুনবে কেমন করে।