প্রবাস
বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্বারক লিপি প্রদান
খালেদ মাসুদ রনি, বৃটেন থেকে
(২ মাস আগে) ৭ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার, ১০:২৩ অপরাহ্ন

১৯৭১ সালে পাকিস্তান কতৃক বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্বারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যস্থ বঙ্গবন্ধু লেখক ও সাংবাদিক ফোরাম ইউকে এর উদ্যোগে গতকাল ৬ জুলাই ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋসি সুনাক বরাবর এ স্বারক লিপি প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, উপদেষ্টা মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক আনছার আহমেদ উল্লাহ, সিকদার মোহাম্মদ কিটন, সহ-সাধারন সম্পাদক আব্দুল বাছির প্রমুখ।
স্বারকলিপিতে ব্রিটিশ সরকারের কাছে একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ও তাদের দোসর আল বদর রাজাকার দ্বারা সংঘঠিত নিরিহ বাংঙ্গালীদের উপর নির্বিচারে গণহত্যার কথা উল্লেখ্য করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৯৫ জন পাকিস্তানী সৈনিকের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার ও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জোর দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
একাত্তরে ধর্মের নামে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রকৃত পক্ষে ত্রিশলক্ষ শহীদ আর দুইলক্ষ মা বোনের আত্নমর্যাদা ও আত্মদানের স্বীকৃতি। মৌলবাদী ও স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারীদের গণহত্যা অস্বীকারের অপচেষ্টা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য ব্রিটিশ সরকার অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে বলে স্বারক লিপিতে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
৭২ সালের জানুয়ারী মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডনে আসলে তৎকালীন বিট্রিশ সরকারের ভূমিকা বাঙ্গালী জাতি আজও শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ রেখেছে। লন্ডনের মাটিতে বাংলাদেশে গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি সব সময়ই আলাদা তাৎপর্য বহন করে – কারণ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গৃহীত এক প্রস্তাবেই প্রথম বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ‘জেনোসাইড’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে চলমান ভূ-রাজনৈতিক স্নায়ুযুদ্ধের কারণে ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত এই ন্যাক্কারজনক জেনোসাইড এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। যুগ যুগ ধরে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য প্রণোদিত রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক প্রচারণার কারণে একাত্তরের জেনোসাইডের শিকার লাখো নারী ও পুরুষ এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এখন পর্যন্ত এই জেনোসাইডের ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত রয়েছে। নেতৃবৃন্ধ আশা প্রকাশ করেন ব্রিটিশ সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে গ্রহন করবে।
।পাঠকের মতামত
েদের চেহারা দেখে তো মনে হচ্ছে এরা ৭১ এর গণহত্যাই বেজায় খুশি।
মন্তব্য করুন
প্রবাস থেকে আরও পড়ুন

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]