প্রবাস
জুলাই আন্দোলন
ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা করার রেকর্ড পায়নি মালয়েশিয়া পুলিশ
আরিফুল ইসলাম, মালয়েশিয়া
(১ মাস আগে) ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, ৪:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:২৫ পূর্বাহ্ন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মালয়েশিয়ায় ছাত্রদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক মামলা করার অভিযোগের কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি মালয়েশিয়া পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন মালয়েশিয়ার ‘ইউনিভার্সিটি কেবাংসাং মালয়েশিয়া’র বাংলাদেশি ছাত্র ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন কাজাং থানায় (বালাই) রিপোর্ট করে বলে অভিযোগ ওঠে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকরা নানামুখি হেনস্তার শিকার হন সেদিন। আরো অভিযোগ উঠে যে, এই মামলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর।
অভিযোগের সূত্র ধরে, গত ৭ অক্টোবর কুয়ালালামপুরের ওয়াংসা মাজুর পুলিশ প্রধান বরাবর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চিঠি লিখে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন।
হাইকমিশনের চিঠির ভিত্তিতে গত ২৩ অক্টোবর দৈনিক মানবজমিনের হাতে আসা ওয়াংসা মাজু এরিয়ার পুলিশ প্রধান শায়রুল আনোয়ার বিন আব্দুল ওয়াহাব স্বাক্ষরিত রিপোর্ট বলছে, গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কাজাং তথা মালয়েশিয়ার কোনো থানায় মামলা করা হয়নি।
এছাড়া ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে নানা নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে দৈনিক মানবজমিনের মালয়েশিয়া প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় অবৈধ বাংলাদেশিদের বৈধকরণের জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম চালু করাসহ কিছু সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণে উদ্যোগ নিই, যা একটি স্বার্থান্বেষী মহলের অনৈতিক সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে।
এ কারণেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
এছাড়া খোরশেদ আলম খাস্তগীরের বিরুদ্ধে সবচেয়ে আলোচিত অভিযোগ রয়েছে। সেটি পররাষ্ট্র ক্যাডারদের সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএসএ) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ফাঁস হওয়া চ্যাটের মাধ্যমে জানা যায়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যায়িত দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান এবং মালয়েশিয়া প্রবাসী যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিলেন তাদের পাসপোর্ট বাতিলের সুপারিশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের হোয়াটস আ্যপ গ্রুপে আমার যেসব পোস্ট বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে সেটি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এখানে আমি আন্দোলনকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ (টেরোরিস্ট) বলছি মর্মে বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ক্ষেত্রে যে মেসেজ বা টেক্সটের কথা বলা হচ্ছে সেই মেসেজ বা টক্সটি আমার নয়। আমাদের সার্ভিসের অন্য একজন কর্মকর্তার টেক্সট এটি। এভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে যা অনভিপ্রেত এবং সাংবাদিকতার নীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে আমি মনে করি।’