শেষের পাতা
বুড়িগঙ্গা থেকে লাশ উদ্ধার
মা’কে চুল কাটার কথা বলে বের হয়েছিল স্কুলছাত্র মাহিম
স্টাফ রিপোর্টার
১১ জুন ২০২৩, রবিবার
কামরাঙ্গীরচর খোলামুড়া এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ইয়াসমিন মাহমুদ মাহিম (১৫)। সে স্থানীয় একটি স্কুলের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গতকাল সকালে স্বজনরা নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে নৌপুলিশের বসিলা ফাঁড়ির পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের খালু রেজাউল করিম সোহাগ বলেন, শুক্রবার তার মাকে চুল কাটার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও না পেয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। তিনি বলেন, চুল কাটা শেষে আজিমপুরে মাহিমের এক বন্ধুর দাদির কুলখানিতে যাওয়ার জন্য সে তার মাকে রাজি করায়। কিন্তু সেখানে সে যায়নি। পরে মাহিমের মোবাইল ফোন চেক করে এক সহপাঠীর সঙ্গে দেখা করার তথ্য পাই। তার কাছে জানতে চাইলে সে মাহিমের সঙ্গে দেখা করার কথা অস্বীকার করে।
তিনি বলেন, শুক্রবার থেকে সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে খোঁজ করেছি। ভোরে খোলামুড়া ঘাট এলাকায় গেলে এক পথচারীর মাধ্যমে নদীতে মরদেহ ভেসে থাকার খবর পাই। পরে গিয়ে মাহিমের লাশ ভাসতে দেখি। তার শরীর ও মুখে অনেক কাদা লাগানো। তবে শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখিনি। তার পকেটে মায়ের কাছ থেকে নেয়া চুল কাটার টাকাগুলোও ছিল। নিহত মাহিম তার মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা মাসুদুর রহমানের সঙ্গে ১০ বছর আগে তার মায়ের ডিভোর্স হয়। এরপর থেকে কামরাঙ্গীরচর বাগানবাড়ি এলাকায় সে তার মায়ের সঙ্গে থাকতো। মা সাবিনা ইয়াসমিন স্থানীয় একটি স্কুলের সহকারী শিক্ষক।
নৌপুলিশের পরিদর্শক অনিমেষ হালদার বলেন, গতকাল সকালে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে শরীরে কাদা লাগানো ছিল।