বাংলারজমিন
লিয়াকতগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের বিবৃতি
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
৮ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবারবর্ধিত সভা ডেকে বিবৃতি দিয়েছে দোয়ারাবাজার উপজেলার লিয়াকতগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। বর্ধিত সভায় বক্তারা বলেছেন, প্রতিষ্ঠান অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)কে জড়িয়ে খণ্ডকালীন এক শিক্ষিকা নির্যাতনের মিথ্যা, বানোয়াট এবং প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। গতকাল বিকালে স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠান গভর্নিং বডির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমীরুল হকের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় লিখিত বক্তব্যে প্রতিষ্ঠান অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল কাদির বলেন, লিয়াকতগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ শাখাটি নন-এমপিওভুক্ত।
সরকার শতভাগ উপবৃত্তি গ্রহণ করায় শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টিউশন ফি নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানে অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গত ৩১শে মে ঐচ্ছিক বিষয় যুক্তিবিদ্যার অতিথি শিক্ষক (প্রভাষক, খণ্ডকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত) রেহেনা বেগমকে অব্যাহতি দেয়া হয়। গভর্নিং বডির নির্দেশক্রমে খণ্ডকালীন শিক্ষিকা রেহেনা বেগমকে বকেয়া বেতন পরিশোধ পূর্বক অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করি। পরদিন রেহেনা বেগম কলেজে এসে অফিস কক্ষে ঢুকে শিষ্টাচার বহির্ভূত অশালীন আচরণ শুরু করেন এবং একপর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে টেবিলের টিস্যু আমার দিকে ছুড়ে মারেন। উপস্থিত শিক্ষকগণ তাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন শিক্ষকরা।
এ ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য ও কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার এমনকি যৌন হয়রানিমূলক মিথ্যাচার রটানো হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক ও বানোয়াট। আমার মনে হয় কতিপয় স্বার্থভোগী মহল আমাকে ও প্রতিষ্ঠানকে হেয়প্রতিপন্ন করতেই এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
গভর্নিং বডির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমীরুল হক বলেন, অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট এবং অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।