শেষের পাতা
বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান ও মূল্যস্ফীতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার
৭ জুন ২০২৩, বুধবার
বিশ্ববাজারের অস্থিরতাকে সঙ্গী করে সরকার যখন আইএমএফের ঋণের শর্ত মেনে ভর্তুকি তুলে নিয়ে ধাপে ধাপে জ্বালানির দাম বাড়াচ্ছে, সেই সময়ে গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখার লক্ষ্য ঠিক করে নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। গতকাল একনেক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সিনিয়র সহকর্মী অর্থমন্ত্রীকে সম্মান জানিয়েই বলছি, তিনি প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামানোর কথা বলেছেন। কিন্তু মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামানো নিয়ে আমার সংশয় আছে। তবে সরকারি উদ্যোগগুলো দ্রুত নিলে কার্যকর ফল পাওয়া যাবে। যেমন আমাদের মন্ত্রী বললেন, দাম না কমালে পিয়াজ আমদানি করা হবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে দুই সপ্তাহ সময় লাগলো। যখনই আমদানির চিঠি এলো তখনই দাম কমতে শুরু করলো।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিদেশে কমলেও রাতারাতি দেশে প্রভাব পড়ে না। আমরা অনেক পণ্যের দাম দুই মাস আগে পেমেন্ট করেছি। সেগুলো এখনো হাতে পাইনি। এ ছাড়া ডলারের দাম এখনো কমেনি। ডলার দিয়েই আমাদের পণ্য আমদানি করতে হয়।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি মূল্যস্ফীতি ও লোডশেডিংয়ে মানুষ কষ্টে আছে। নানা কৌশলে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করতেই হবে। প্রথম উদ্দেশ্য আর যাতে না বাড়ে। এনাফ, নো মোর। বাজারে স্টক বাড়াতে হবে। ইমপোর্ট অথবা ইন্টারনাল প্রোডাকশন (অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) বৃদ্ধি করতে হবে। দেশব্যাপী বিভিন্ন পয়েন্টে নিত্যপণ্যের স্টক বাড়াতে হবে। টিসিবিকে শক্তিশালী স্টক করতে হবে। শুধু ঢাকায় স্টক করলে হবে না। রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় সংবেদনশীল পণ্যের স্টক বাড়াতে হবে। বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে চাল, ডাল, আলু, তেল, পিয়াজ যা আছে সব কিছুর স্টক বাড়াতে হবে। এসব কৌশল নিতে হবে। মূল্যস্ফীতি কেন বাড়ছে গবেষণা করে এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, জি টু জি ভিত্তিতে নেয়া ঋণের ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, এক্ষেত্রে তাদের গাফিলতি থাকলে ভিন্ন কথা। কিন্তু আমাদের দিক থেকে যেন কোনো সমস্যা না থাকে। সেই সঙ্গে ডলার সংকট মোকাবিলায় মিতব্যয়ী ও সাশ্রয়ী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্পে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে গাড়ি কিনতে বলেছেন। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা প্রকল্প প্রস্তাবের গভীরে গিয়ে নিখুঁতভাবে মূল্যায়ন করবেন। যদিও এটা করা হচ্ছে। সেটি আরও কঠোরভাবে করা হবে।