শেষের পাতা
‘নৌকাকে হারাতে হাতপাখাকে ৩ কোটি টাকা উৎকোচ দিয়েছেন সাদিক আব্দুল্লাহ’
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে
৬ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার
এক মন্তব্যে কেঁপে উঠলো পুরো বরিশাল। ‘নৌকাকে হারাতে হাতপাখার প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীমকে ৩ কোটি টাকা উৎকোচ দিয়েছেন বর্তমান মেয়র হাসানাত তনয় সাদিক আব্দুল্লাহ’। অভিযোগটি করেছেন ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী, বর্তমান কাউন্সিলর শরীফ আনিচুর রহমান। তাও কথায় কথায় নয়, খোদ সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি এই অভিযোগ করেছেন। রোববার বিকালে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
২০১৮ সালের বিসিসি নির্বাচন থেকেই আলোচনায় ছিলেন ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরীফ আনিচুর রহমান। নির্বাচনের পরপরই যে ১০ কাউন্সিলর সাদিকের বিপক্ষে অবস্থান নেন তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন। নগরীতে গুঞ্জন রয়েছে, আনিচুরকে একবার রেগে মেয়র চড় মেরেছিলেন। তবে গত ৫টি বছর তিনি যেভাবে পেরেছেন কাউন্সিলর থাকা অবস্থায় মেয়রের বিরুদ্ধাচরণ করে গেছেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সক্রিয় এই সদস্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর অনুসারী। সেই আনিচ রোববার সংবাদ সম্মেলন করে বোমা ফাটালেন।
তিনি বলেন, ‘নৌকার মনোনয়ন থেকে বাদ পড়ায় সাদিক আবদুল্লাহ ও তার পিতা হাসানাত আবদুল্লাহ ঢাকায় ডেকে নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখার প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকে তিন কোটি টাকা দিয়েছেন। যাতে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত পরাজিত হন। আর খোকন সেরনিয়াবাত পরাজিত হলে সাদিক আবদুল্লাহ পুনরায় বরিশালে সব অপকর্ম নির্বিঘ্নে করতে পারবে বলে চিন্তা করছে। সাদিক আবদুল্লাহর আমলে নির্যাতিত ১০ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তিন জন করে প্রার্থী দাঁড় করানো হয়েছে। যাদের ইতিমধ্যে ৩০ লাখ টাকা দেয়াও হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেন আনিচ। মুহূর্তের মধ্যে পুরো বরিশালে ‘টক অব দ্য টাউনে’ পরিণত হয় তার অভিযোগটি। এরপর মধ্যরাতেই মহানগর আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় শরীফ আনিচুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। রাত ১টার দিকে পত্রিকা অফিসগুলোতে দপ্তর সম্পাদক হেমায়েতউদ্দিন সেরনিয়াবাত সুমন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার বহিষ্কারের তথ্যটি জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার মিথ্যাচার এবং সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
বক্তব্যটি নিয়ে হাতপাখার সমর্থকদের মধ্যেও এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। এ বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যাচার বলে তাদের দাবি। মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘এটি ষড়যন্ত্রের ফাঁদ হতে পারে। এ ফাঁদে আমরা পা দেবো না।’
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে শরীফ মো. আনিচুর রহমান মিডিয়াকে বলেন, ‘আমি সত্য বলায় আমাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা যে ১০ জন কাউন্সিলর মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষ ত্যাগ করেছিলাম, সেই ১০টি ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী করা হয়েছে আমাদের জব্দ করার জন্য। সত্য প্রকাশ করাতেই আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারে তার কিছুই আসে যায় না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।’
পাঠকের মতামত
মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর অগ্রগতি কেউ দমাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ
যারা মোনাফেক তারাই অপপ্রচার চালায় সাহস থাকলে প্রমাণ নিয়ে আস
চরমনাই দল আঃলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে কি না খতিয়ে দেখা দরকার।
আমার কাছে অদ্ভুত মনে হচ্ছে!রাজনৈতিকভাবে অপর কে গায়েল করতে মিথ্যার আশ্রয় নিতে ও লজ্জাবোধ করছেনা।
বাংলাদেশের আলেম সমাজের নেতাদের উচিত বিষয়টি অনুসন্ধান করা। এটা যদি সত্য হয় তা হলে এ সমস্ত তথাকথিত ইসলামিক নেতাদের বিচার হওয়া উচিত। এটা তথাকথিত ইসলামিক নেতার জন্য বড় লজ্জাজনক। এদের আসল চেহারাটা সাধারন মানুষের কাছে উন্মুচন করে দেওয়া উচিত। বৈধভাবে আয়-রোজগার করা ইবাদত। ঘুষ কিংবা উৎকোচ গ্রহণ করে অন্যায়ভাবে আয়-রোজগার করা বৈধ নয় বরং তা হারাম। আল্লাহ তাআলা অবৈধ পন্থায় উপার্জন করতে নিষেধ করেছেন। কেননা ঘুষ বা উৎকোচ গ্রহণ করা সুদ, চুরি-ডাকাতি, জিনা-ব্যভিচারের মতো হারাম ও অবৈধ কাজ। যার চূড়ান্ত পরিণাম জাহান্নামের কঠিন শাস্তি।. আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘তাদের অনেককেই তুমি দেখবে পাপে, সীমালংঘনে ও অবৈধ ভক্ষণে তৎপর; তারা যা করে নিশ্চয় তা নিকৃষ্ট।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৬২) - হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুষদাতা এবং গ্রহীতার ওপর অভিসম্পাত করেছেন।’ (মুসনাদে আহমাদ) - হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু আরও বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘ঘুষ আদান-প্রদানকারী উভয়ে জাহান্নামে যাবে।’ (তাবরানি)
তবে কি টাকার প্রেমে হার মেনেছে ইআবা? অনুগত থাকলে টেংশন নাই। অথচ অন্য বিরোধীরা বেজায় নাজেহাল, খুন, গুম আর কারান্তরীণ এর শিকার। লেহনে মজা পায়, অনুগত থাকে তাই।
জনশ্রুতি আছে এর আগের একটি জাতীয় নির্বাচনেও হাত পাখা ৩০০ আসিনে প্রার্থী দিয়ে প্রতি আসনের জন্য এক কোটি টাকা করে সরকার থেকে পেয়েছিল। পীরতন্ত্রে তো কাড়িকাড়ি টাকা। তবু তাদের এত টাকার লোভ কেন।
ইসলামি আন্দোলনও একই সূত্রে গাঁথা। সুতরাং অবিশ্বাস্য নাও হতে পারে।
এজন্যই তো বলি,ইআবা নেতাদের এত ফুটানি কি করে আসে! যেখানে মাঠে ময়দানে কোন বিরোধী দলের মিছিল মিটিং হলে হামলা মামলা হয়,সেখানে ইআবা দলটি নোটেনশনে হুংকার দিয়ে যাচ্ছে। বডি-ল্যাংগুয়েজ দেখলে মনে হয় মৃগে রোগে আক্রান্ত।
যা রটে তার কিছুটা হলেও ঘটে। সারাদেশ যখন শেখ হাসিনার স্বৈরতন্ত্রের অবসানে আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ, সমস্ত বিরোধিদল যখন শেখহাসিনা ঘোষিত নির্বাচন জান মাল পদ পদবী হামলা মামলার মাঝেও বর্জন করছে শেখ হাসিনাকে অসার জনবিচ্ছিন্ন প্রমাণ করতে ঠিক তখনই ইসলামের ধ্বজাধারী চরমোনাই শেখহাসিনার হাত ধরে অতীব উৎসাহ উদ্দীপনা আর উৎসবের মাধ্যমে ক্ষমতার ভাগ নিতে নৌকার পাশে হাতপাখা নিয়ে সাড়স্বরে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ধর্মের আড়ালে ক্ষমতা আর অর্থের লোভে চরমোনাই শত তিরস্কার উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রকারন্তরে আওয়ামী দুর্বৃত্তায়ণকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। সেখানে অর্থের লেনদেন অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারণ চরমোনাইর লোভাতুর মনোবৃত্তি ইতিমধ্যেই তাদের কর্মকান্ডে প্রমানীত হয়ে গেছে।