বাংলারজমিন
দোয়ারাবাজারে মা ও স্ত্রীকে পেটানো বখাটে ছেলেকে পুলিশে দিলো গ্রামবাসী
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
১ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবারজরিনা বেগম (৭০) দশ বছর পূর্বে হয়েছেন বিধবা। বসতভিটে ব্যতীত কিছুই নেই। তিন বছর পূর্বে বখাটে পুত্র আমীর হোসেনকে বাড়িভিটা লিখে না দেয়ায় মাকে বেধড়ক মারপিট করে বস্তাবন্দি করে খাটের নিচে ফেলে রাখে। পরে গ্রামবাসী এসে উদ্ধার করে। সে থেকে তার ভয়ে মেয়েদের বাড়িতে থাকেন হতভাগিনী মা জরিনা বেগম। চাহিদা মতো টাকা পয়সা না দিলে হামলে পড়ে মা, বোন ও স্ত্রীর ওপর। বখাটে আমীর হোসেন উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ইদনপুর মৃত রমজান আলীর পুত্র। বখাটে পুত্রের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অবলা মা জরিনা বেগম গতকাল দোয়ারাবাজার থানায় গিয়ে বলেন, ‘আমার বখাটে পুত্রের অত্যাচার নির্যাতন আর সহ্য করতে পারছি না। আমাকে তোমরা বাঁচাও।’
তিনি বলেন, ‘আমীর হোসেন তিন বছর পূর্বে সুনামগঞ্জে বিয়ে করে আনে নুরুন নেছাকে। বর্তমান স্ত্রীর এক বছরের এক পুত্র সন্তানও আছে। ক’দিন পর পর টাকা পয়সার জন্য স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করে। গতকাল মারধর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা করলে গ্রামবাসী এসে তার কবল থেকে উদ্ধার করে স্ত্রী সন্তানকে। আমি আমার পুত্রের কঠিন শাস্তি চাই। সে যেন জেল থেকে আর বেরিয়ে আসতে না পারে।’ বড় বোন রহিমা আক্তার মায়া বলেন, আমার ভাই আমীর হোসেন এলাকার চিহ্নিত এক বখাটে। মা, বউ, এমন কি ছোট ভাইয়ের বউও তার হাতে নিরাপদ নয়। তার অকথ্য নির্যাতনে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমাদের। গ্রামবাসী পুলিশে দিয়েছে সে যেন জেল থেকে বের হতে না পারে। আমরা তার অত্যাচার থেকে বাঁচতে চাই।
নির্যাতিত স্ত্রী নুরুন নেছা বলেন, আমার স্বামী চিহ্নিত মাদকসেবী। বিয়ের পর থেকে নির্যাতিত হতে হতে আর থাকতে পারছি না। বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে না দেয়ায় আমাকে পিটিয়ে আহত করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। এলাকাবাসী এসে আমাকে উদ্ধার করে। আমি বাঁচতে চাই, আমি আর নির্যাতন সহ্য করতে পারছি না। দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেব দুলাল ধর বলেন, আহত স্ত্রীকে উদ্ধার করে বখাটেকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।