অনলাইন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পিটার হাস
হঠাৎ কেন সড়ক নিরাপত্তা প্রত্যাহার?
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ মাস আগে) ৩১ মে ২০২৩, বুধবার, ৬:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

সরকার একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন চায়, ভিসা নীতির মাধ্যমে তাতে সমর্থন দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
গত ২৪শে মে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষিত ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।
বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ নিয়ে নতুন যে ভিসা নীতি করেছে, তা নিয়ে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানতে এসেছিলেন। শুরুতেই তিনি বলেছিলেন যে, কাউকে উদ্দেশ্য করে এ ভিসা নীতি করা হয়নি। নির্বাচন যাতে সুন্দর হয়, তা নিশ্চিত করতেই এ নীতি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, ভিসা যার যার দেশের একটি নিজস্ব ব্যাপার। সেই দেশে কাকে ঢুকতে দেবেন, কাকে দেবেন না; সেটি সেই দেশই জানে। সেখানে আমাদের কিছু বলার নেই। ভিসা সম্পর্কে তারা যে ঘোষণা দিয়েছেন, এটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার। সেখানে কিছু বলার নেই।
আমরাও বিশ্বাস করি, একটি সুন্দর নির্বাচন হবে। কোনো ষড়যন্ত্র না, কোনো রকমের মাসলসম্যানের অভ্যুত্থান না, কিংবা বন্দুকের নল না, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই একটি নির্বাচন হোক, আমরাও সেটি চাই।
আলোচনায় রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার বিষয়টি এসেছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, হঠাৎ করে কেন তার সড়ক নিরাপত্তা তুলে নেয়া হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, আমরা সিস্টেমটি পরিবর্তন করেছি। আজ পিটার হাসকে সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করেছি। আমরা কূটনৈতিকপাড়ায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা ত্রুটি হতে দেবো না। কূটনৈতিকপাড়া ও তাদের চলাচল যাতে নিরাপদ থাকে; সেই ব্যবস্থা আমরা করবো। সেজন্য আমরা কাজ করছি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত কোন কোন বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তাকে সড়ক নিরাপত্তা দেয়া হতো, সেটি সম্পর্কে তিনি কথা বলেছেন, কেন সেটি প্রত্যাহার করা হলো। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন। আমরা সিদ্ধান্ত এরকমই নিয়েছি যে, যেসব দূতাবাস মনে করে, সড়কেও তাদের নিরাপত্তার দরকার আছে, তাদের আমরা সড়ক নিরাপত্তা দেবো। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিঠি দিয়ে আমরা সব দূতাবাসকে জানিয়ে দিয়েছি। তাদের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে চলাচলের বিষয়ে আমরা সবসময় সতর্ক আছি। আমাদের অঙ্গীকার হলো-সব রাষ্ট্রদূত যাতে নিশ্চিন্তে নিরাপদে থাকেন, তার ব্যবস্থা করা।
আনসার রেজিমেন্টের মাধ্যমে তাদের নিরাপত্তা দেয়ার ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেটি তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা কিছু সময় চেয়েছেন। কিন্তু আমরা যাদের মাধ্যমে এ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবো, তারা সুপ্রশিক্ষিত। কাজেই তাদের নিরাপত্তায় রাষ্ট্রদূতরা নির্বিঘ্নে থাকতে পারবেন।
রাষ্ট্রদূতরা এখন পর্যন্ত আবেদন করেছেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা মৌখিকভাবে আবেদন করেছেন। আমরাও তাদের জানিয়ে দিয়েছি, আমরা আবারও কথা বলবো, বসবো। যদি আমরা মনে করি, কোনো জায়গায় আপনাদের নিরাপত্তার অভাব আছে, সেটা আমরা ব্যবস্থা করবো।
আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে বলে শোনা যাচ্ছে, এ নিয়ে পিটার হাসের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কি না, এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়। তাদের সিদ্ধান্ত তো আমাদের জানা নেই। আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এ দেশের মানুষ খুবই খুশি। তারা ভালোভাবে আছে। তারা দেশকে নিয়ে গর্ব করতে পারে।
পাঠকের মতামত
সবাই সব কিছু বোঝে ও জানে। কিন্তু একটি জিনিস জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করেনা। গত পনের বছর ধরে সব ধরনের চেষ্টা করেও সরকারের সাথে লড়াইয়ে এক চূল পরিমান সরকারের পতনের দিকে ঠেলতে পারেনি। মার্কিনিরা সামোজাকে নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট বানালো / ওর্তেগা সামোজাকে যুদ্ধে পরাজিত করে দেশ দখল করলো। মার্কিনিরা ওর্তেগা বিরোধী কন্ট্রাদের সবরকম সাহায্য দিতে আরম্ভ করলো। ওর্তেগা তার বিরোধীদের সাথে আলোচনা করতে অস্বীকার করলো। মার্কিনিরা নিকারাগুয়া অবরোধ করলো। ওর্তেগা আলোচনা করতে বাধ্য হলো ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কন্ট্রাদের ( ওর্তেগা বিরোধী ) হাতে দিয়ে দেশ ত্যাগ করলো। এই রকম কিছু না হলে আওয়ামীদের পতন হবেনা বিএনপি ক্ষমতায় আসবেনা।
সরকার উল্টো বুজতেছে বা বুজে না বুজার বাহানা করছে, যা দেশের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে।
সকল সুবিধা বাদ বাদ বাদ। বিদেশী কুটনৈতিকরা যে যার দেশে যাও। না হয় বঙ্গপোসাগরে যাও। আমরা 2014 /2018 সাল মার্কা আর একটা নির্বাচন করে নিই। তার পর তোমরা আবার আসিয়। প্রয়োজনে তোমাদের হাতে ধরে, পায়ে ধরে পালকিতে আনিব।
আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এ দেশের মানুষ খুবই খুশি। তারা ভালোভাবে আছে। অতএব ইলেকশন হবে আমরা ক্ষমতায় থাকবো।
সরকার পরিস্থিতি বুজে না বুজার ভান করতেছে ! সরকার যেন তেন নির্বাচন করবে! পরে বলবে তোমরা আসো আমরা আলোচনা করি ,তোমাদের মামলা খালাস করে দিবো আর কিছু মন্ত্রানালয় দিবো। আর যুক্তরাষ্ট্র যদি কিছু নিসেদাজ্ঞা দিলেও সমস্যা মনে করবে না। কারন সরকার জানে তাদের ক্ষমতা হারালে কারো পিঠের চামড়া থাকবে না !!!!? এখন দরকার এক দফা আন্দোলন !!!
যতই স্পষ্ট জানান না কেন পিটার হাস সাহেবরাও জানেন কত স্পষ্ট ভাবে ১৪ এবং ১৮ সালে ভোট নিয়েছেন। সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি, বর্তমান বিএনপির চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা এ্যাড ফজলুর রহমান সাহেবের এক বক্তৃতায় শুনে ছিলাম, তিনি বলেছেন ১৮ সালের নির্বাচনের সময় আঃলীগ সভানেত্রী বলেছেন আমি আমার পিতার নামে কছম খেয়ে বলছি ভোট সুস্থ হবে কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল আগের রাতেই ভোট শেষ। জনগন এখন সচেতন, এবার কারো নামে কছম খাওয়ার ও কেউ নেই, অতএব পদত্যাগ করে নির্বাচন দিতেই হবে আঃলীগ কে এবং জনতার জয় হবে ইনশাল্লাহ।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে এই সরকার জনগণ কষ্টে বিপদে আছে তবুও মিথ্যা বললো জনগন ভালো আছে। মন্ত্রী এমপিদের সেবা বিনোদন প্রোটোকলে অনেক টাকা অপচয় হয়। মন্ত্রী এমপিদের প্রোটোকল বন্ধ করা হোক। যে টাকা বাঁচবে সেই টাকা দিয়ে জিনিস পত্রের দাম ব্যালান্স করা হোক।
আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহাক্ষমতাধর ব্যক্তি ! পিটার হাস তার কাছ থেকে সবকিছু সামনা সামনি আলোচনা করে খুশি মনে ফিরে গেছেন! আশাকরি আমেরিকার বোধোদয় হবে এবং খুব শিগ্রী বাইডেন সাহেব একটা ফিডব্যাক বাংলাদেশকে দেবেন! আমরা গরিব মানুষ, বাইডেন সাহেবের কাছে অনুরোধ যা দেবেন মুক্ত হস্তে দিয়েন! কোনো বাকি প্রতিশ্রুতিতে কাজ হবে না!
বুঝেও না বুঝার ভান করে আসল সমস্যার সমাধান না করে উল্টো উন্নয়ন সহযোগীদের বিদ্রুপ করে দেশকে আজ খাদের কিনারায় দাড় করে দিয়েছে। দেশ চালানো এত সহজ নয়, জোর করে ভোট চুরি করে, দমনপীড়ন চালিয়ে, গুম খুন করে, হেলমেট বাহিনী লাঠি বাহিনী সৃষ্টি করে দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করে কিছুদিন ক্ষমতায় থাকা যায় বটে কিন্তু শেষে সব অনিয়ম দূর্ণীতি দায় নিয়ে বিদায় নিতে হবে। দূর্ণীতিবাজদের বলি জীবনে কত টাকা দরকার, যেটাকা রাতের ঘুম কেড়ে নেয় কেন সে টাকার পিছনে ছোটা। গত চৌদ্দ বছরে দেশের টাকা আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করে এখন সেই টাকাই আবার দেশে আনতে হচ্ছে। এক সময় এই সব টাকার হিসাব কড়ায় গন্ডায় দিতে হবে। হয় তো দেখা যাবে বাকী জীবন চোরা টাকার হিসাব দিতে দিতেই শেষ হয়ে যাবে।
এই সরকার খালি উন্নয়ন আর উন্নয়ন ছাড়া তাদের মুখে কোন ভাষা নেই জণোগনের দুর্দিনে তারা বলছে জণোগন খুশি আছে
আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, আওয়ামী লীগ কখনো ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আমরা জনগণের ম্যান্ডেটে বিশ্বাস করি। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি দিয়েছে, সেটিকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি।তো সাহেব ৩/৫/২০২৩ খবর টি ২০/৫/২০২৩ পর্যন্ত লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হলো কেন
সরকার উল্টোবুজতেছে বা বুজে না বুজার বাহানা করছে, যা দেশের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে।
"তত্বাবধায়ক সরকার" ছাড়া দেশে কোন অবস্থাতেই সুন্দর নির্বাচন হবে না। এই জিনিসটা না বুঝলে আরো জটিলতা দেখা দিবে ।
মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
অনলাইন সর্বাধিক পঠিত
ভিসা নীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী/ ছেলের ভিসা বাতিল করলে করবে
এমপি বাহারের আবেদনে সাড়া মেলেনি/ ঘরের বউকে ঘরে তুলতে বললেন আদালত
এনডিটিভি'তে সাগরিকা সিনহা/ শেখ হাসিনার ধারণা, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]