বাংলারজমিন
ইউএনও’র বিরুদ্ধে মোবাইল ছিনতাইয়ের মামলা!
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২৯ মে ২০২৩, সোমবার
ছিনতাই হওয়া মোবাইল ব্যবহার করছিলেন ইউএনও’র পত্নী। পুলিশের তদন্তে সেটি শনাক্ত হওয়ার পরও মোবাইল ফেরত দিতে চলছিল টালবাহানা। শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে আদালতে মামলা করেন মোবাইল মালিক। আর এই মামলায় আসামি করা হয়েছে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ (৩৫)কে । সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশুগঞ্জ আমলী আদালতে গত ২৫শে মে মামলাটি দায়ের করেন আশুগঞ্জের সোনারামপুরের মো. আশিকুর রহমান। এতে অভিযোগ করা হয়- গত বছরের ২১শে ডিসেম্বর তালশহর এলাকা থেকে তার একটি মোবাইল সেট (স্যামসং এ৫০), ৫শ’ ইউএস ডলার, সাড়ে ৭ হাজার টাকা, ১ভরি স্বর্ণের চেইন, ৬ আনা ওজনের আংটি ও মুল্যবান কাগজপত্র ছিনতাই হয়। এ ঘটনায় গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি আশুগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ তদন্ত করে মোবাইলের সন্ধান পায়।
প্রথমে মোবাইলটি ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয়া হলেও পরে তালবাহানা শুরু হয়। গত ২২শে মে রনি মোবাইল ফেরত আনতে গেলে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। রনি জানান, এ ব্যাপারে তিনি আশুগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পর থানার এএসআই মজিবুর রহমান মোবাইলের আইএমই নাম্বার সূত্রে গত ১৭ই মে একজন নারীকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ব্যবহারকারী হিসেবে শনাক্ত করেন।
টাকা না দেয়ায় মোবাইল ফেরত দেয়া হয়নি তাকে। আশুগঞ্জ থানার এএসআই মজিবুর রহমান জানান, জালাল নামে ইউএনও অফিসের একজন স্টাফ মোবাইলটি ব্যবহার করছিল। মোবাইলটি ২/৩ দিন আগে তাদের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছে। বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, তার সিমটি তিনি জারিকারক জালালকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। এটিই তার ভুল। জালাল ঢাকা থেকে আসার সময় ভৈরব থেকে ওই মোবাইলটি কিনে আনে। এতে সে তার দেয়া সিমটি ঢুকিয়ে ব্যবহার করতে থাকে। এখন তাকে বিপদে ফেলার জন্য ঘটনাটি বাড়ানো হচ্ছে। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী জাকারিয়া আহমেদ-২ জানান, মামলার আসামি ইউএনও কিনা জানি না। ৩৯২/৪১১/৩৮৫/৫০৬(২) ধারায় মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য আশুগঞ্জ থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে। তবে আশুগঞ্জ থানার ওসি আজাদ রহমান জানিয়েছেন, আদালতের আদেশ তার হাতে এখনো পৌঁছেনি। তবে মোবাইলটি এখন তার কাছে রয়েছে।