অনলাইন
মেয়র তাপসের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে ৪২ নাগরিকের বিবৃতি
অনলাইন ডেস্ক
(৩ মাস আগে) ২৮ মে ২০২৩, রবিবার, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:১১ অপরাহ্ন

ফাইল ছবি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। একইসঙ্গে বিষয়টিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা। শনিবার যৌথ বিবৃতিতে তারা এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
গত ২১শে মে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভায় মেয়র তাপসের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে ‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’ শিরোনামে দৈনিক মানবজমিনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। মানবজমিনের প্রতিবেদনটি পরদিন প্রধান বিচারপতির নজরে আনেন বিশিষ্ট সংবিধান প্রণেতা ও প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম।
এদিকে বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকেরা বলেন, তাঁরা পত্রিকায় প্রকাশিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের ২১ মে দেওয়া বক্তব্য পাঠ করেছেন। তিনি সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের ‘বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন। তিনি একজন ‘চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলেন’ বলে অত্যন্ত আপত্তিকর দম্ভোক্তি করেছেন। দেশের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সম্পর্কেও অশালীন ভাষায় কটূক্তি করেছেন।
বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকেরা বলেছেন, ঢাকা মহানগরের মেয়রের মতো একটি উচ্চ সম্মানীয় পদে আসীন একজন রাজনীতিবিদ এবং পেশাদার আইনজীবীর মুখ থেকে এমন লাগামহীন, অশালীন, অসম্মানজনক ভাষার ব্যবহারে তাঁরা ব্যথিত, ক্ষুব্ধ এবং হতবাক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মেয়র একজন প্রধান বিচারপতিকে নামিয়ে দিয়েছিলেন বলে যে দম্ভোক্তি করেছেন, তা সর্বোচ্চ আদালতকে নিঃসন্দেহে অসম্মান ও অপমান করার সমার্থক। এই উক্তির মধ্য দিয়ে তিনি কার্যত এমন বার্তাই দিলেন যে তার রাজনৈতিক দল অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো বিচার বিভাগকেও নিয়ন্ত্রণ করতে বেপরোয়া।
বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি (তাপস) শুধু বিচার বিভাগ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও নাগরিক সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিদের প্রতি কটাক্ষ করেছেন তা নয় তিনি নিজের পেশাগত অবস্থান ও যে শিক্ষা-দীক্ষার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছেন তাকেও অসম্মানিত ও হেয় করেছেন। এটা তার দম্ভ এবং অপব্যবহারের নিকৃষ্ট উদাহরণ।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ৪২ জন বিবৃতিদাতা হলেন- মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশী কবির, মানবাধিকার কর্মী ড. হামিদা হোসেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজল দেবনাথ, নারীপক্ষের সদস্য শিরিন হক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, সেন্ট্রাল উইমেন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ড. পারভীন হাসান, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো ড. স্বপন আদনান, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তবারক হোসেইন, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাইমা হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন, লেখক রেনুমা আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, ব্লাস্টের অনারারি নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মো. নুর খান, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, আলোকচিত্র ও সমাজকর্মী ড. শহিদুল আলম, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান, কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপায়ন খীসা, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসের বখতিয়ার আহমেদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন কনা, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নোভা আহমেদ, আদিবাসী অধিকারকর্মী হানা শামস আহমেদ, সাঙাতের কোর গ্রুপ মেম্বার মুক্তাশ্রী চাকমা, মানবাধিকার ও পরিবেশকর্মী বারীশ হাসান চৌধুরী।
।পাঠকের মতামত
But one thing is common in the statement of Sheikh family-drop in the water. Does the Victim die when dropped in the water who can't swim or the sack is tied up? May be intention is to get them nice shower in the water of Buriganga's water. Is not it?
মনে রাখবেন আল্লাহ্ ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয় না
এই স্পর্ধা, দাম্ভিকতা, টাকা নিয়ে খুনিকে বাচিয়ে দেয়া সব কিছুরই শেষ আছে।
স্বেচ্ছাচারিতার চুড়ান্ত প্রদর্শন। যাহোক ইনিতো শুধু গলাধাক্কার কথা বলেছেন, অন্যজন তো নাকি লাথি ও মেরেছেন।
Merely a statement will not suffice. Take him to court as you do against the people in opposition.
ওনার উক্ত বক্তব্য প্রদানের পরে জনপ্রতিনিধিত্ব করার কোন নৈতিক অধিকার তার নেই।
ওর বিরুদ্ধে হত্যায় উসকানি দেওয়ার মামলা করা হোক।
শুধু নিন্দা জানিয়ে কি হবে?
এই কথা গুলি যদি বিএনপি বা জামাতের কোন নেতা বা কর্মীর মুখ থেকে বের হত এতক্ষনে রিমান্ডে নিয়ে হাত-পা ভেঙে ফেলা হত। তাপস সাহেব পুলিশ পাহারায় কত দিন চলবেন কোন স্বৈরাচারই চিরকাল ক্ষমতায় থাকতে পারে নাই।
হায়ের দেশ!হায়রে মেয়র!সাবাস সম্মনিত বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ।
মেয়র সাহেব চেয়ার প্রিয় মানুষ।চেয়ারে বসে টেবিলে হাত রেখে কথা বলতে বেশ পারদর্শী। কিন্তু তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে কোনো কাজেরই নয়।মানুষ কাজ চায় কথা নয়।আপনার নেত্রীর কর্মকাণ্ডের দিকে তাকান,প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক সাহেবের কর্মকাণ্ডের দিকে তাকান।কাজ না পারা লোক খালি কথা কয়।
ক্ষমতাসীনদের কথায় আদালত অবমাননা বোধ করেন না। এটা অন্য কেউ বললে এতদিন তাকে যে কতক্ষন কানে ধরে আদালতে দাড়িয়ে থাকতে হত তার নজির অতীতে দেখেছি
চিপ জাস্টিস কে তিনি গলা ধরে নামিয়ে দিয়েছেন, তার এই কথা মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে যে আইনের শাসনে অনুপস্থিত, বিরোধী মতাদর্শের মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত তা আবার প্রমাণিত হলো। যে অভিযোগ গুলো বিরোধীদল করে আসছে তা যে সত্য এখন আর বলবার অপেক্ষা রাখে না,, তাদের ভয়ে একজন সাবেক বিচারপতি আজ পরবাসী সে গুলো প্রমান জনাব তাপস এর এই বক্তৃতা। এখন দেখা যাক প্রধান বিচারপতি কি পদক্ষেপ নেন।
এত পর? বেশি হয়ে গেল না? এই হল বিশিষ্ট জন?
বেশতো! দায়সারা গেল। তাঁর পদটি বুড়িগঙায় বিষর্জন দিয়ে তাঁর অদক্ষতা ও দাম্ভিকতার দায় মিঠাতে বলি!
শিক্ষিত নামের কিছু অসভ্য জনপ্রতিনিধি হয়ে দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যত নোংরামি আছে সব করে বেড়াচ্ছে। মুখের ভাষা ঠিক নাই, মান সম্মান কিছু নাই, ভদ্রতা নম্রতা নেই, আদব লেহাজ নেই, কিছুই নেই। আর চুরি বাটপারি তো আছেই। কিছু চোর বাটপার গুন্ডা মাস্তান সন্ত্রাসী দেশের ক্ষমতা দখল করে যা ইচ্ছে তাই করছে।
তিনি সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের ‘বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন। তিনি একজন ‘চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলেন’ বলে অত্যন্ত আপত্তিকর দম্ভোক্তি করেছেন। এই উক্তির মধ্য দিয়ে তিনি কার্যত এমন বার্তাই দিলেন যে তার রাজনৈতিক দল অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো বিচার বিভাগকেও নিয়ন্ত্রণ করতে বেপরোয়া। wait & see jast Till national election.
তাপস সাহেবরা মনে করেন তারা আইন আদালতের উদ্ধে! চিপ জাস্টিস কে তিনি গলা ধরে নামিয়ে দিয়েছেন, তার এই কথা মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে যে আইনের শাসনে অনুপস্থিত, বিরোধী মতাদর্শের মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত তা আবার প্রমাণিত হলো। যে অভিযোগ গুলো বিরোধীদল করে আসছে তা যে সত্য এখন আর বলবার অপেক্ষা রাখে না,, তাদের ভয়ে একজন সাবেক বিচারপতি আজ পরবাসী সে গুলো প্রমান জনাব তাপস এর এই বক্তৃতা। এখন দেখা যাক প্রধান বিচারপতি কি পদক্ষেপ নেন।
শুধু নিন্দা জানিয়ে কি হবে? তাপস যে অন্যায় করেছে এর জন্য তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আদালতে বিচার করতে হবে। তাপসের সমস্ত বক্তব্যই রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ। তবে একটা কথা বলে দেই, তা হলো, জনগণের কাছে "নৌকা এখন ঘৃণার প্রতিক"।