ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

আমেরিকা থেকে হঠাৎ কেন রেমিট্যান্স আসা বাড়ছে?

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৮ মে ২০২৩, রবিবারmzamin

 বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্য। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি অবস্থান করছেন সৌদি আরবে। দেশটি থেকে একসময় রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ও আসতো সবচেয়ে বেশি। তবে সম্প্রতি রেমিট্যান্স   পাঠানোর দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে দেশটি। সেই স্থান দখল করে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ কম প্রবাসী থাকার পরও যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের শীর্ষ রেমিট্যান্স সরবরাহকারী দেশে পরিণত হয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্র থেকে হঠাৎ রেমিট্যান্স আসা বেড়ে যাওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। বিষয়টিকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে ব্যাখ্যা করে পাচারের অর্থ রেমিট্যান্স হয়ে দেশে ফিরছে কিনা, এ প্রশ্ন তুলেছে সংস্থাটি। গতকাল সিপিডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, এটা একেবারেই আনইউজাল, কখনোই হয় না। কারণ, আমরা জানি আমাদের বেশিরভাগ রেমিট্যান্স মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসে। গত ১০ মাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ৯.২২ লাখ মানুষ গেছে।

বিজ্ঞাপন
সেখান থেকে প্রত্যাশা মতো রেমিট্যান্স আসছে না। লোক যাওয়া ও রেমিট্যান্সের মধ্যে মিসম্যাচ হচ্ছে। এতদিন সৌদি আরব থেকে বেশি রেমিট্যান্স এলেও যুক্তরাষ্ট্র এখন সে জায়গা দখল করেছে। সিপিডি বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সৌদি থেকে ৩.৮৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এলেও চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের একই সময়ে এসেছে ৩.০৪ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স এসেছিল ২.৮৭ বিলিয়ন ডলার, চলতি বছরের একই সময়ে তা বেড়ে ৩.০৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিকে সন্দেহের চোখে দেখছে সিপিডি।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যারা যায় তাদের বেশিরভাগই হোয়াইট কালার জব করে। অনেকেই ঘরবাড়ি ও জমিজমা বিক্রি করে দেশ থেকে টাকা নিয়ে চলে যায়। অনেক শিক্ষার্থীও সে দেশে আছে। তারা তো আর টাকা পাঠাতে পারে না। তাহলে বিপুল এ রেমিট্যান্স আসছে কোথা থেকে! তিনি বলেন, এর একটা সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হতে পারে এমন- যেখান থেকে টাকাটা পাচার হয়েছে সেটা আবার রেমিট্যান্স হয়ে দেশে ফেরত আসছে। রেমিট্যান্সের ওপর যে আড়াই শতাংশ ইনসেন্টিভ বা সাবসিডি দেয়া হচ্ছে সেটার সুযোগ নেয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে আরও গভীরে গিয়ে বিষয়টির অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

এদিকে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য মতে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বিদেশে অবস্থান করা বাংলাদেশি শ্রমিকের পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি। এর মধ্যে সৌদি আরবে ৫৩ লাখ ২৩ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রে এই শ্রমিকের পরিমাণ আড়াই লাখের কিছু বেশি। তবুও রেমিট্যান্স পাঠানোর দিকে শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে দেশটি। আর সবচেয়ে বেশি জনশক্তি থাকা সৌদি আরব নেমেছে দ্বিতীয় অবস্থানে। 

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী-আয়ের পুরো পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার। প্রবাসীদের পাঠানো সবচেয়ে বেশি অর্থ এসেছে সৌদি আরব থেকে ৪৫৪ কোটি ডলার। ৩৪৪ কোটি ডলার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ২০৭ কোটি ডলার নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ও কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ৩০৪ কোটি ৭৩ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া প্রবাসী আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার আয় এসেছে সৌদি আরব থেকে। ২৪০ কোটি ৮৫ লাখ ডলার নিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী-আয় এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৬০৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় (১০৭ টাকা দরে) ১ লাখ ৭১ হাজার ৫২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশটি থেকে এসেছে ২৮০ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২৫১ কোটি ডলার।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সৌদি আরব থেকে এসেছে ২৭৬ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। অথচ আগের অর্থবছরের একই সময়ে দেশটি থেকে ৩৪৮ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। গত বছরের তুলনায় এই বছরের একই সময়ে দেশটিতে ৩৬ শতাংশ বেশি জনশক্তি রপ্তানি হলেও রেমিট্যান্স কমেছে ২০.৮৪ শতাংশ। 

রেমিট্যান্স সংগ্রহে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটিতে বর্তমানে জনশক্তির পরিমাণ ২৫ লাখের বেশি। কিন্তু চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এ দেশ থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২২০ কোটি ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ১২৬ কোটি ডলার। চলতি বছর দেশটিতে মাত্র সাড়ে ছয় হাজার জনশক্তি রপ্তানি হলেও রেমিট্যান্স বেড়েছে ৭৪ শতাংশ। 

রেমিট্যান্স সংগ্রহে চতুর্থ অবস্থানে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশির পরিমাণ সাড়ে ৯ লাখ। তবে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য মতে, কর্মরত বাংলাদেশির পরিমাণ মাত্র ১১ হাজার ৩৮৮ জন। অথচ দেশটি থেকে গত মার্চ পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৬ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে এটি ১ কোটি ডলার কম ছিল। অর্থাৎ এক বছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ০.৭৬ শতাংশ। 
রেমিট্যান্সের শীর্ষ পাঁচে অবস্থান করা অন্য দেশটি হচ্ছেÑ কুয়েত। দেশটিতে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখের বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন। এসব বাংলাদেশি চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১১৯ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে এই রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১২৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পরিবেশ থাকায় বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ কমছে। আর মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীরা দক্ষ কম হওয়ায় আয়ও কম। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠালে তারা ১০৭-৯ টাকা পাচ্ছে। অথচ হুন্ডিতে পাঠালে পাচ্ছে ১১৫-১৮ টাকা। তাই তারা হুন্ডিতে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন। আর পশ্চিমা দেশগুলো থেকে হুন্ডি সহজ নয়। এ ছাড়া ওই দেশগুলোতে যাওয়া বাংলাদেশিদের অধিকাংশই শিক্ষিত ও সচেতন। তাই তারাও রেমিট্যান্স হুন্ডিতে কম পাঠায়। 

ব্যাংকাররা জানান, আমেরিকায় যারা থাকেন, তাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী। তাদের আয় পাঠানোর কথা নয়। মূলত অবৈধ ও বৈধ অনেক অর্থ দেশটিতে পাচার হয়ে গেছে। অনেকে সেই অর্থ বৈধ করতে দেশে এখন ফিরিয়ে আনছেন। এখন ডলারের দাম বেড়েছে, পাশাপাশি ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় আনলে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা পাওয়া যায়। ফলে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে। পাশাপাশি দেশটিতে থাকা প্রবাসীদের আয়ও বেশ ভালো। অর্থ পাঠানোর প্রক্রিয়াও বেশ সহজ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে হুন্ডি এখনো হাতের নাগালেই রয়েছে। ফলে জনশক্তি রপ্তানি বাড়লেও দেশগুলো থেকে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা বাড়ছে না।

গত বৃহস্পতিবার বিআইডিএস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, সরকার এবং ব্যাংক চাইলেও হুন্ডির সঙ্গে পারা সম্ভব নয়। হুন্ডিকে কীভাবে প্রপার চ্যানেলে আনা যায় সেজন্য ভারতকে অনুসরণ করে অ্যাপসের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আনার কাজ করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত

এভাবে প্রত্যেক দেশ বিশেষ করে উন্নত দেশগুলো আমেরিকার মতো ভিসা নীতিতে কঠোর নিয়ম চালু করলে অন্ততপক্ষে আমাদের দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হবে। ইতোমধ্যে আমাদের দেশ থেকে যে টাকাগুলো বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়েছে তা দেশে ফেরত আনার ব্যাপারে ঐদেশগুলো আমাদেরকে সহযোগিতা করলে আমাদের দেশ তথা জনগণ খুবই উপকৃত হতো। আমেরিকা, লন্ডন, কানাডা, সিঙ্গাপুর, আবুধাবী প্রমুখ দেশগুলোতেই বেশি টাকা পাচার হয়েছে মর্মে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়।

শওকত আলী
২৯ মে ২০২৩, সোমবার, ১১:৩৩ অপরাহ্ন

কালো টাকা আমেরিকায় বাজেয়াপ্ত হওয়ার ভয়ে বাজেটের আগেই দেশে ফিরিয়ে এনে সাদা করার সুবর্ণ সুযোগ গ্রহণ করার জন্যই হঠাৎ এভাবে রেমিট্যান্স আকারে আসছে। সরকারীভাবে চিন্হিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম তাই বেসরকারীভাবে চিন্হিত করা দরকার। যতই চেষ্টা কর বাছাধনেরা সরকার পরিবর্তন হলে ধরা পড়তেই হবে।

Alauddin Ahmed
২৯ মে ২০২৩, সোমবার, ৯:৩৯ পূর্বাহ্ন

হঠাৎ আমেরিকা থেকে যারা বেশি বেশি রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে তারাই এই সরকারের লোকজন, তারাই দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, পাচারকারি। তাদের চিহ্নিত করে, যথাযথ তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।

Manjurul Alam
২৮ মে ২০২৩, রবিবার, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন

ভিসা প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তা, পরিবারের সদস্যদের উপর বিধিনিষেধ আসার সম্ভাবনা, পাঠানো টাকা বেহাত হওয়ার আশংকা, দেশে আনলে ২.৫০% টাকা লাভ, কালো টাকা বিনিয়োগে প্রশ্ন না করা, সব মিলিয়ে চোরদের সুদিন। দেশেও লাভ, বিদেশেও লাভ। আপাততঃ আমেরিকায় যাওয়ার অনিশ্চয়তা থেকে রেমিট্যান্স আসার সম্ভাবনাই বেশি।

ATM Toha
২৭ মে ২০২৩, শনিবার, ৯:৩৩ অপরাহ্ন

Some of the black money deposited in the US banks is now returning.

shiblik
২৭ মে ২০২৩, শনিবার, ৯:০৩ অপরাহ্ন

usa taka block kore dibe soon. ai jonno.

wow
২৭ মে ২০২৩, শনিবার, ৭:৪৯ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ অভিবাসীদের ধরে দেশে পাঠাচ্ছে । এই ভয়ে হয়ত বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীরা এখানে সঞ্চিত টাকা দেশে পাঠানো নিরাপদ মনে করে পাঠাচ্ছেন । যদি অগত্যা ধরা পড়েন।

Kazi
২৭ মে ২০২৩, শনিবার, ৭:৪৮ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্র এখন অবৈ

Kazi
২৭ মে ২০২৩, শনিবার, ৭:৪৩ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের জীবন যাত্রা মধ্যে প্রাচ্যের চেয়ে কঠিন।করোনা ও রাশা-ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্ত রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল নয়।বহু প্রবাসী চাকরি হারাচ্ছে, যাদের সেখানে বসবাস করা কঠিন তাদের অনেকেই দেশে ফিরে আসছেন অথবা তান তবলা ঘুটিয়ে নিচ্ছেন।এটাও একটি কারন। আর দূর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের নিরাপদ আবাস্থল এখন দুবাই।

ইকবাল কবির
২৭ মে ২০২৩, শনিবার, ৭:২৯ অপরাহ্ন

এই রেমিট্যান্স গুলর পুর্নাঙ্গ তথ্য বেসরকারি ভাবে সংগ্রহ করুন। রাষ্ট্র মেরামতের সময় প্রকাশ করে রাষ্ট্রের মেরামতের কাজে লাগানোর provision রাখা যেতে পারে।

A.R.Sarker
২৭ মে ২০২৩, শনিবার, ৭:২৮ অপরাহ্ন

আজ যেটা সিপিডি বলছে ৪/৫ বছর আগে এই একই কথা আমাকে আমাদের এক রিটায়ার্ড অফিসার আমাদের সদ্য সাবেক চীফ ইঞ্জিনিয়ার সম্পর্কে বলেছিলেন।

Md. Mahmudul Ala
২৭ মে ২০২৩, শনিবার, ৬:৪৯ অপরাহ্ন

মেক্সিকো বর্ডার দিয়ে প্রচুর বাংলাদেশী অবৈধ ভাবে আমেরিকা প্রবেশ করে, সেখানে কাজ করে বাংলাদেশে টাকা পাঠাচ্ছে।

Md Emdadul Haque
২৭ মে ২০২৩, শনিবার, ৬:২৬ অপরাহ্ন

সব ছিদ্রা অন্বেষণ করতে নেই,এটি সিপিটিকে বুঝতে হবে। চুরি করা, ডাকাতি করা,ছিন্তাই করা,সঠিক উপার্জন করা অর্থাৎ যে কোন উপার্জিত অর্থই দেশে ফেরত আসা ইতিবাচক বলে মনে করি।

Wadud
২৭ মে ২০২৩, শনিবার, ৬:১৪ অপরাহ্ন

যে ব্যবসায় লাভ বেশি সেই ব্যবসা তো জনপ্রিয় হবে। মনের সুখে, আনন্দ উল্লাসে বাধাহীনভাবে পাচার করেছে, এখন সেই টাকা ফিরিয়ে আনা লাভজনক বিধায় ফিরিয়ে আনছে। আরও দ্রুত, আরও বেশি, আরও ব্যাপক আকারে ফিরে আসবে বাইডেন ভ্যাকসিনের কারণে। পাচারকারী ভিসা নিষেধাজ্ঞা খেলে স্বামী স্ত্রী ছেলে মেয়ে কেউ তো আমেরিকা যেতে বা থাকতে পারবে না, আমেরিকার ব্যাংকে চেক ভাঙ্গিয়ে ডলার তুলতে বাধা পাওয়ার আশংকায় পাচার করা অর্থ আরও অনেক ফিরে আসবে।

মোঃ আতাউর রহমান
২৭ মে ২০২৩, শনিবার, ৫:৪৪ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যারা যায় তারা স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্য যায় তারা রেমিট্যান্স পাঠাবে কিভাবে? যদিও পাঠা তা স্বল্প পরিসরে আত্মীয় স্বজনের জন্য। নিশ্চিত এরা কালোটাকা সাদা করার সুযোগ নেচ্ছে।

বাহাউদ্দীন বাবলু
২৭ মে ২০২৩, শনিবার, ৪:৩৩ অপরাহ্ন

Don't start hue and cry right now. First, let them allow to bring back the money to Bangladesh. It's crucial for our economy. Think about an inquiry later.

Mustafizur Rahman
২৭ মে ২০২৩, শনিবার, ৩:১১ অপরাহ্ন

আহারে কি বুদ্ধিওয়ালা গবেষক এক-একজন! সৌদী আরবে যারা যায় তাদের বেতন হয় গড়ে ৬০০ রিয়েল বা ১৮ হাজার টাকা। খাওয়া থাকার পর তাদের হাতে কত টাকা থাকে? আর কতই বা বাংলাদেশে পাঠায়? অপরদিকে আমেরিকা প্রায় ১২ লাখ বাংলাদেশী রয়েছে - যাদের এভারেজ ইনকাম মাসে ৫ হাজার ডলার বা সাড়ে ৫ লাখ টাকা; খাওয়া থাকার পরও হাতে ১ হাজার ডলার রাখা কোন বিষয়ই নয়; ১ হাজার মানে ১১০ হাজার বাংলা টাকা। তো, ৫০ হাজার করে টাকা বাংলাদেশে জনপ্রতি পাঠানো তো কোন বিষয়ই নয়। আমি নিজে প্রতিমাসে গড়ে ২ হাজার ডলার পাঠাই। কতজন সৌদী মিলে ২ হাজার ডলার পাঠাতে পারে বাংলাদেশে?

Taufiqul Pius
২৭ মে ২০২৩, শনিবার, ১২:৪৩ অপরাহ্ন

দেশের টাকা দেশে আসছে এতে অসুবিধা কি?

মিলন
২৭ মে ২০২৩, শনিবার, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status