বাংলারজমিন
সার্জেন্টের টোকেন বাণিজ্য
হাটহাজারীতে দু’দিন ধরে পত্রিকা বিতরণ বন্ধ
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
২৮ মে ২০২৩, রবিবার
বিগত ১৪-১৫ বছর ধরে ভোরে সূর্য ওঠার আগেই চট্টগ্রাম নগর থেকে খবরের কাগজ (পত্রিকা) আনতে ছুটে যান মো. সোলাইমান। ঝড়-বৃষ্টি কিংবা তুফান, হরতাল-অবরোধেও তিনি খবরের কাগজ নিয়ে ফিরেন হাটহাজারীতে। এটাই তার দৈনন্দিন কাজ। কিন্তু এর বাধ সাধে সার্জেন্ট মাহতি হাসানের টোকেন বাণিজ্য। সূত্র মতে চট্টগ্রাম নগরে যেতে হলে ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহতি হাসানের মাসিক টোকেন নিয়ে প্রবেশ করতে হয়। তা না হলে সাধারণ চালকদের মামলাস্বরূপ মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় টোকেন না নেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টের ব্যক্তিগত রোষানলে পড়তে হয়েছে হাটহাজারীতে পত্রিকা পরিবহনের একমাত্র গাড়ি (সিএনজি)। গাড়ি আটকিয়ে মুনছুরাবাদ মালখানায় জব্দ রাখে। চালককে একটি মামলার রশিদ ধরিয়ে দেন। পরে সকাল সাড়ে দশটায় ওই গাড়ি থেকে পত্রিকা নামিয়ে অন্য গাড়ি করে হাটহাজারীতে পাঠিয়ে দেয়।
এর আগেও তিনি গাড়িতে টোকেন রাখতে বলেছেন। টোকেন না নেওয়াই আমাকে হয়রানি করছেন। শনিবার গাড়ি আনতে গিয়েছি, বলছেন ১২ হাজার টাকা লাগবে। আমি গরিব মানুষ এত টাকা কোথায় পাবো। হাটহাজারী অনিল পেপার এজেন্টের স্বত্বাধিকারী নয়ন চৌধুরী বলেন, ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে আমরা হাটহাজারীতে খবরের কাগজ বিক্রি করে আসছি। জাতীয় দৈনিক, আঞ্চলিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ও চাকরির খবরসহ দৈনিক ১২-১৩ শত পত্রিকা বিক্রি করি। বৃহস্পতিবার সকালে পত্রিকা আনার সময় ট্রাফিক পুলিশ আমাদের গাড়িকে মামলা দিয়ে আটকে রাখে। এজন্য আপাতত পত্রিকা বন্ধ রয়েছে। অভিযুক্ত ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. মাহতি হাসান বলেন, গ্রামের গাড়ি শহরে আসবে কেন। গাড়িতে কোনো কাগজপত্র না থাকায় মামলা দেয়া হয়েছে। টোকেন বাণিজ্য ও সিএনজি থেকে টাকা নেয়ার বিষয় অস্বীকার করেন তিনি। চট্টগ্রাম উত্তর ট্রাফিক বিভাগ (টিআই প্রশাসন) পুলিশ পরিদর্শক মো. কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনছি, আমি এখন ঢাকায় আছি। দেখি কি করা যায়।
মন্তব্য করুন
বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন
বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]