বাংলারজমিন
দৌলতখানে ইউপি উপনির্বাচন
কেন্দ্র দখলের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জন ইভিএম বিড়ম্বনা
ভোলা প্রতিনিধি
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার
ভোলায় ভোটকেদ্র দখলের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজিম উদ্দিন নাজু হাওলাদার ভোট বর্জন করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জন করেন সাবেক এই বিএনপি নেতা। ইভিএমে ভোট হওয়ায় কেন্দ্রের বাইরের রাস্তা দখলের সঙ্গে সঙ্গে বুথও দখল করতে দেখা যায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাইসহ তার কর্মী-সমর্থকদের। ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হলেও ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম। নারী ভোটারদের অভিযোগ, তাদের কেন্দ্রের কাছে গেলেই মারধর করেন নৌকা প্রতীকের ক্যাডাররা। সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজু হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, নৌকার সন্ত্রাসী বাহিনীরা পথে পথে ভোটারদের বাধা দেয়া, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া এবং ভোটারদের আঙুলের ছাপ নিয়ে বের করে দেয়া এবং নৌকার লোকজন বুথে ঢুকে নৌকার উপর টিপ দেয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কমে গেছে। তবে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হাই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভোটারদের নম্বর স্লিপ না দেয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম। এখন স্লিপ দেয়া শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরজমিন চরপাতার ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, একেকটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি হাতেগোনা কয়েক জন। ২নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্র চরপাতা নলগোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৬টি কক্ষে নৌকার এজেন্ট ছাড়া কোনো প্রার্থীর এজেন্ট পাওয়া যায়নি। কিন্তু নৌকার ২-৩ জন করে এজেন্ট দেখা গেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদ একই কথা বলেন। একই দৃশ্য দেখা যায়, ৭নম্বর ওয়ার্ডের চরপাতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ অধিকাংশ কেন্দ্রে। নৌকার এজেন্ট ছাড়া কোনো প্রার্থীর এজেন্ট পাওয়া যায়নি কোনো কেন্দ্রেই। এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একজন ছাড়া সব কক্ষে এজেন্ট আছে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা জানান, সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি খুব কম। ইভিএমে এই প্রথম ভোট দিতে এসেছেন ২নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল বারেক। তিনি বলেন, শুধু আঙুলের ছাপ দিতেই আধ ঘণ্টা লেগেছে।
৭ নম্বর ভোটকেন্দ্রের ভোটার হালিমা বেগম বলেন, আঙুলের ছাপ না পাওয়ায় ভোট দিতে পারেননি। আনারসের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন হাওলাদার মানবজমিনকে বলেন, সবগুলো কেন্দ্র থেকে তার আনারসের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। পথে পথে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছে। এ কারণে ভোটার উপস্থিতি কম। যারা ভোট দিতে যাচ্ছে তাদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে বের করে দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব রয়েছেন। নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোট বর্জনের খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রায় ভোটাররাই কেন্দ্রের আশপাশের এলাকা ছেড়ে বাড়িতে চলে গেলে ভোটার শূন্য হয়ে পড়তে দেখা যায় কেন্দ্রগুলোতে।