অনলাইন
বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সুশীল সমাজের প্রতিক্রিয়া
তারিক চয়ন
(৪ মাস আগে) ২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:২১ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে উৎসাহিত করতে ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি জে ব্লিঙ্কেন। নতুন এই নীতির অধীনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশিকে ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে দেশটি। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক তথা সর্বমহলে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সচেতন মহলেও এটি এখন আলোচনার মুখ্য বিষয়। এ নিয়ে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দেশটির সুশীল সমাজ।
এই পদক্ষেপকে 'সঠিক পথে অগ্রসর হওয়া' বলে বর্ণনা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ডেপুটি চিফ অফ মিশন এবং দেশটি থেকে প্রকাশিত মাসিক প্রকাশনা ‘সাউথ এশিয়া পারসপেক্টিভস’-এর এডিটর এ্যাট লার্জ জন এফ ড্যানিলোভিজ। তবে, 'ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা একটি মূল চ্যালেঞ্জ হবে' সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে করা এক মন্তব্যে এমনটি স্বীকার করে নিয়ে জন লিখেছেন, ওদের নামকরণে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। উক্ত বিধিনিষেধ ওইসব ব্যক্তিদের পরিবারের নিকটস্থ সদস্যদের জন্যও প্রযোজ্য হবে উল্লেখ করে আরেকটি মন্তব্যে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, অন্যান্য সমমনা দেশগুলোও একই ধরনের পন্থা অনুসরণ করে অনুরূপ বিধিনিষেধ আরোপ করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এর এশিয়া এবং বাংলাদেশ বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জিওফ্রে ম্যাকডোনাল্ড লিখেছেন, (এই পদক্ষেপ) বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ক্রমবর্ধমান চাপ। স্টেট ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করেছে যে এটি "বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত" যেকোনো বাংলাদেশির উপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করবে। গত ৩রা মে (এই সিদ্ধান্ত) বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়ে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত, ওয়াশিংটন ডিসির থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠান উড্রো উইলসন সেন্টার এর সিনিয়র পলিসি স্কলার এবং সাউথ এশিয়া পারসপেক্টিভস-এর এডিটর উইলিয়াম বি মাইলামের নেতৃত্বাধীন, ওয়াশিংটন ভিত্তিক অধিকার সংগঠন রাইট টু ফ্রিডম এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নতুন ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চাইছেন তাদের প্রতি সমর্থন জানাতে এবং দেশটিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সেক্রেটারি অফ স্টেট এন্টনি ব্লিঙ্কেন যে রকম ঘোষণা দিয়েছেন সে রকম প্রচেষ্টাকে আমরা সমর্থন করি। বাংলাদেশের অনেক বন্ধুদের মতো আমরাও ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের সাথে এটা লক্ষ্য করেছি যে ঢাকার বর্তমান সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমিত করেছে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য রাজনৈতিক বিরোধীদের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
ওদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার লিখেছেনঃ সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রচারে নতুন ভিসা নীতি অনুমোদন করেছেন। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে বিশ্বাস করা যে কোনো ব্যক্তির উপর আমরা এখন থেকে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবো।
পাঠকের মতামত
Instead of waiting further, US should start implementing visa restrictions on the Bangladeshis responsible for the rigging of 2018 election.
অস্ত্রের পরিবর্তে গণতন্ত্র রফতানি শুরু করায় যুক্তরাস্ট্রকে অভনন্দন। বাংলাদেশী রাজনীতিবিদরা এখনও আধুনিক গণতন্ত্র কি জানেন না, বুঝেন না তো অবশ্যই। শিক্ষকরা যেমন দুষ্ট ছাত্রদের শাসন করে শিক্ষা দান করেন, এটা অনেকটা সেই রকম।
The revised visa policy that has been initiated by the office of the state department is technically “a blank cheque for the journalists”. Thus, the media is in the driving seat from now and onward who will play a significant role as a tool for both the Republic and the public. A job done well ! ***Dear Editor, please may consider replacing this corrected version that has been surfaced yesterday.***
The revised visa policy is technically a blank check for the journalists. Thus, the media is in the driving seat from now and onward who will play a significant role as a tool for both the Republic and the Public. A job done well !
আন্দালিব, আসলে আমাদের বাঙালিদের জন্য ব্লিঙ্কেনের টুইটের ইংরেজি শব্দ undermining এর মূখ্য/গৌণ অর্থ বুঝে উঠা কঠিন। তাই দু-একটি উদাহরণ (নাম ও দল উল্লেখ করে নিষেধাজ্ঞা) হলে ভালো হতো। সামনে নাম উল্লেখ করে নিষেধাজ্ঞা আসলে আপনিও বুঝবেন, আশা করি।
আন্দালিব এর কি মাথাটাথা কি নষ্ট হয়ে গেসে? সব জায়গায় একই কমেন্ট করে বেড়াচ্ছে। আওয়ামীলীগ নির্বাচণ এর আগেই জয়-বাংলা হয়ে যাবে । পুলিশ ছাড়া মাঠের রাজনীতিতে আওয়ামীলীগ কি আর এখন আর ২ দিন টিকতে পারে? গত দশ বছর তো দেখলাম - সামনে একসারি পুলিশ পেছনে এক সারি পুলিশ মাঝখানে ছাত্রলীগ আর যুবলীগ। পাহারাদার না থাকলে এদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না। যার কাঁধে বন্দুক রেখে ক্ষমতায় ছিল সেই পুলিশ, বিচারক , আমলা এখন সব নিজ স্বার্থে কেটে পড়বে। মাঠে কে ঠেকাবে বিরোধীদের ? আগামী ৩০ দিনে মাঠ সমান হয়ে যাবে। এবার খেলা-খেলা হবে।, খেলা হবে।
The new US visa policy has gone in favor of the government and is not going to put any pressure on the government, rather the opposition parties which have declared not to participate in any election under this government will be under pressure now. I reckon the next election will be worse than 2014 and 2018. Government has now got a free hand to hold election as they wish.
মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
অনলাইন সর্বাধিক পঠিত
ভিসা নীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী/ ছেলের ভিসা বাতিল করলে করবে
এমপি বাহারের আবেদনে সাড়া মেলেনি/ ঘরের বউকে ঘরে তুলতে বললেন আদালত
এনডিটিভি'তে সাগরিকা সিনহা/ শেখ হাসিনার ধারণা, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]