ঢাকা, ১ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৪ হিঃ

অনলাইন

বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচনের সমর্থনে ভিসানীতি

৭ প্রশ্ন, মার্কিন দূতাবাসের উত্তর

মানবজমিন ডিজিটাল

(৬ দিন আগে) ২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৯:৩৯ পূর্বাহ্ন

mzamin

বাংলাদেশের নির্বাচনের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র প্রণীত নতুন ভিসানীতি সম্পর্কে করা সাধারণ প্রশ্ন এবং সেসবের উত্তর দিয়েছে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। মানবজমিনের পাঠকদের জন্য সেগুলো হুবহু প্রকাশ করা হলোঃ
প্রশ্নঃ এসব ভিসা বিধিনিষেধ কার/কাদের জন্য প্রযোজ্য হবে ?  
উত্তরঃ  এই নীতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যে কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অন্য অনেকের সাথে  বাংলাদেশের বর্তমান বা সাবেক কর্মকর্তা/কর্মচারী,  সরকারের সমর্থক এবং বিরোধী দলীয় সদস্যরা এর অন্তর্ভুক্ত । এ ধরনের ব্যক্তিদের নিকটতম পরিবারের সদস্যরাও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। 

প্রশ্নঃ এখন কি  এই নীতিমালার আওতায় কোনো ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে?  
উত্তরঃ  না।  সেক্রেটারি অফ ষ্টেট যেমনটা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।  অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারকে আমরা স্বাগত জানাই।  
প্রশ্নঃ এই ভিসা বিধিনিষেধ কি সরকার বা আওয়ামী লীগের দিকে নির্দেশ করছে ? 
উত্তরঃ না, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।  এই নতুন নীতির অধীনে বিধিনিষেধগুলি সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে সেইসব ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে পরিচালিত যারা  গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন আচরণে / কর্মকাণ্ডে জড়িত ।  

প্রশ্নঃ যাদের ভিসা প্রত্যাহার করা হয়েছে আপনারা কি তাদের অবহিত করবেন ?

উত্তরঃ যাদের ভিসা প্রত্যাহার বা বাতিল করা হয়েছে তাদের অবহিত করা একটি সাধারণ রীতি ।  
প্রশ্নঃ উচ্চ স্তরের আদেশ অনুসরণ করে  যারা অপরাধ করে তাদের জন্য ভিসা বিধিনিষেধ কীভাবে প্রযোজ্য হবে?  আদেশ পালনকারীদের সাথে উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদেরকে যুক্ততার বিষয়টি যদি কঠিন হয় তবে কী হবে? 
উত্তরঃ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যে কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযোজ্য। 
প্রশ্নঃ রাষ্ট্রদূত হাসের বাড়তি নিরাপত্তা হ্রাস করার বাংলাদেশ সরকারের ১৪ মের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় কি এই ঘোষণা?  
উত্তরঃ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের নিবিড় সহযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গত ৩রা মে এই নীতিগত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করেছি।

বিজ্ঞাপন
    

প্রশ্নঃ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কেন এত চিন্তিত?
উত্তরঃ যুক্তরাষ্ট্র সর্বত্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কে সমর্থন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কে সমর্থন করার অঙ্গীকার করেছে।  এই নীতিটি সেই প্রচেষ্টাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে সাহায্য করার জন্য প্রণীত হয়েছে, যাতে তারা তাদের নেতা বেছে নেয়ার জন্য নির্বাচন করতে পারে।

পাঠকের মতামত

এই সরকারের বিরুদ্ধে যারা উঠে পড়ে লেগেছে তাদেরকে এই বিধিনিষেধ এর বিষয়টা ভালো করে পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো।

Tulip
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার, ৭:০০ অপরাহ্ন

It’s against BNP No doubt

Abdullah Al-Mamun
২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৪:৫৪ পূর্বাহ্ন

এখনই ঘোষনা দেওয়া হলো নির্বাচনের পর কি করা হবে, যদি কেউ নির্বাচনের ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি। এই ঘোষণা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন বন্ধ করবেনা। । তাতে লাভ কি হলো এই ঘোষণার ? আমার তো মনে হয় বিএনপির বিরুদ্ধে এই ঘোষণা। বিএনপিকে তাদের আন্দোলন পরিত্যাগ করে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া।

mohd. rahman
২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status