শেষের পাতা
আহলান-সাহলান মাহে রমজান
‘কোরআন তিলাওয়াতই সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত’
আতিকুর রহমান নগরী
১ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার
বিশুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াতে যে কেমন সওয়াব তা আমাদের কারো অজানা নয়, তদুপরি স্মরণ করিয়ে দেয়াকে আমি ঈমানী দায়িত্ব মনে করি। কোরআন শিখা আর শিখানো যে কত মর্যাদা এবং ফজিলতের কাজ। এ সম্পর্কে মহানবী (সা:) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে নিজে কোরআন শিখে আর অন্যকে শিখায়’। অন্য রেওয়ায়তে বর্ণিত আছে যে, ‘কোরআন তিলাওয়াতই হচ্ছে- সর্বশ্রেষ্ট ইবাদত’। উপরোক্ত হাদিসের দ্বারা বিশুদ্ধ তিলাওয়াতই উদ্দেশ্য।
মোবারক এ মাহিনায় বেশি বেশি করে কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, তাসবিহ্-তাহ্লিল, তাহাজ্জুদ-নফল সালাত আদায় করা একান্ত জরুরি। আমাদের কি কারো ইচ্ছা করে না যে আমিই সর্বোত্তম ব্যক্তি বিবেচিত হই। আর তা ঠিক তখনই সম্ভব হবে যখন নিজে বিশুদ্ধভাবে কোরআন শিখে অন্যকে শিখাবো। কোরআন নাজিলের এই মাসে পুণ্যভূমি সিলেটসহ সারা দেশে ‘মাদানিয়া কুরআন শিক্ষা বোর্ড, আঞ্জুমানে তালিমূল কোরআন, ফুলতলী কোরআন শিক্ষা ট্রাস্ট, কোরআন শিক্ষা পরিষদসহ আরও অনেক বোর্ডের অধীনে দিবানিশি সহিহ্-শুদ্ধভাবে কোরআন প্রশিক্ষণের দার্স চলে। এছাড়াও প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে, শহর-বন্দরের আনাচে-কানাচে কোরআন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
আমাদের এই শহরের বিভিন্ন মসজিদে দেখা গেছে ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি ওয়ার্ডের মসজিদে কোরআন প্রশিক্ষণের যে ব্যবস্থা করা হয় তা সত্যিই কোরআন প্রেমের উজ্জ্বল নিদর্শন। অতএব; আমাদের করণীয় হবে, আমরা নিজে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হাজির হয়ে এবং নিজ জিম্মায় নিজেদের ছেলেমেয়ে, ভাইবোন নিকটাত্মীয়দের পাঠিয়ে আল্-কোরআনের মহান শিক্ষা অর্জন করে দুনিয়া ও আখেরাতের অফুরন্ত নেয়ামত এবং অশেষ কামিয়াবি হাসিল করুন।
পাঠকের মতামত
নিবন্ধের এমন শিরোনাম দেখলে যে কোন মুসলিম পাঠক তা পড়ে নিতে চাইবেন। স্বল্প পরিসরে হলেও এমন ঐশী গ্রন্থ পঠনের বাধ্যবাধকতা যথাযথ গুরত্ব নিয়ে উপস্থাপিত হবে। কেন এটি পড়তে হবে । ব্যাক্তি সমাজ ও রাজনৈতিক পরিমন্ডলে এর যে সুদূর প্রসারি প্রভাব আছে তার বয়ান বাদ দিয়ে একটা ভৌগলিক এলাকায় ঐতিহ্যগতভাবে পরিচালিত কিছু প্রতিষ্ঠানের মহিমা কৃর্ত্তন করা হয়েছে। মাআজাল্লাহ! মোড়কের চটকদারিত্ব আর কতকাল চলবে! অথচ উদাহরনের খাতিরে বললেও ব্যক্তি জীবনে ঘর থেকে বের হবেন তখনকার আমল কি হবে তা ১১ঃ৫৬ তে নির্দেশিত হয়েছে , কারো সাথে দেখা হলে তাকে কি সম্ভাসন দিবেন তা বলা হয়েছে ৬ঃ৫৪সহ এমন ৫২ টা আয়াতে, এভাবে ভাল কাজের শুরুতে ইনশআল্লাহ ১৮ঃ২৩-২৪, মাশাআল্লহ ১৮ঃ ৩৯ এভাবে তাবৎ ছোট ছোট আমল কোরআনূল করীম থেকে শিখে নেয়ার বাধ্যকতার শিক্ষাকে গ্রহন করার বিধানপূর্ন কিতাবের আলোচনায় তা অনুপস্থিত থাকার কারন আমরা জীবনের সকল পর্যায় থেকে এর আমল বাদ দিয়ে কতৃপক্ষহীন কল্পিত এবাদত নিয়ে মশগুল থাকছি। এ কিতাবটি "হাজাল কিতাব ,হাজাল হাদীশ, হাজা বয়ান, হাজা বালাগ , হাজা হুদা" নামে আল্লাহ অভিহিত করেছেন। এটিই "মোসাদ্দেক"।