অনলাইন
ফারুকীর পোস্ট ভাইরাল
পৃথিবীতে আজীবন থাকে এই রকম কোনো সরকার আসে নাই এখনো
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ মাস আগে) ৩০ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ২:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আজ (বৃহস্পতিবার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেইজে লিখেছেন, "স্বাধীনতাকে প্রশ্ন করতে পারার নামই স্বাধীনতা।" তার এই পোস্ট মূহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
এর আগে পোস্ট করা ফারুকীর আরেকটি লেখাও ভাইরাল হয়েছেঃ
যে বা যারা প্রথম আলোর সাংবাদিক এবং সম্পাদকের বিরুদ্ধে জিনিসটা মামলা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন, জেনে রাখবেন এটা আমাদেরকে আরো অন্ধকারের দিকে নিয়ে গেলো। আমি ঐ খবরটা নিয়ে আলোচনায় আর না যাই। কারন অনেক কথা ইতিমধ্যেই হইছে। শুধু এইটুকু বলি, সংবাদ নিয়ে যে কেউ সংক্ষুব্ধ হইতে পারেন। সেটা ডিল করার অনেক রাস্তাও আছে। সব বাদ দিয়ে যে রাস্তাটা বেছে নেয়া হইলো, এটা দেশের জন্য ভয়ংকর।
আর সরকারের পিআর অ্যাংগেল থেকেও যদি বলি, এই রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে “চাইল-ডাইল-মাংসের স্বাধীনতা চাই”- শ্লোগানটার মধ্যে আরো কয়েক হাজার গুন বেশী শক্তি ইনজেক্ট করা হইলো।
আশা করবো শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং এই অতি উৎসাহের রাশ টেনে ধরা হবে।
এবং আবারও বলছি, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করেন! আমি সব সময় এই কথাটা বলি, ভাইয়েরা এবং বোনেরা আমার, আইন করার সময় এই জিনিসটা মাথায় রাখবেন যে আইনটা আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োগ হলে আপনার অবস্থাটা কি হবে। মানে আপনি যখন ক্ষমতায় থাকবেন না তখন এই আইন আপনার কাছে কিভাবে ফিরে আসবে, এটা মাথায় রেখে যে আইন করা হয় সেটাই তুলনামূলক উত্তম আইন।
কারন মনে রাখবেন “চিরদিন কারো নাহি যায় সমান”! পৃথিবীতে আজীবন থাকে এই রকম কোনো সরকার আসে নাই এখনো।
একটা স্বাস্থ্যকর সমাজে প্রেসের ভুল করার স্বাধীনতা থাকতে হবে যদিও ছবি উলটপালট করা ছাড়া প্রথম আলোর রিপোর্টে ভুলটা কি আমি এখনও বুঝি নাই। রাস্তা ঘাটে মানুষতো বলতেছে, জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে তাদের নাভিশ্বাস উঠছে। এমনকি স্বয়ং মন্ত্রীরাও বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে দাম বেড়ে গেছে। তো এই কথাটা কেনো এতো কড়া রিঅ্যাকশন ইনভাইট করলো আমি বুঝলাম না।
যাই হোক শেষ করি একটা কথা দিয়ে। সমাজে প্রশ্ন করার জায়গা থাকতে হবে। দ্বিমত করার জায়গা থাকতে হবে।
পাঠকের মতামত
স্বাধীনতা নাই বিএনপি জামায়াতের
I will live long till kiamat!!
বিগত দিনে কে কি করছে, আমার চেয়ে আগের জন কতটুকু খারাপ ছিল সেই হিসাবের ফিরিস্তি দিয়ে বর্তমানের ব্যার্থতা কি ঢাকা যায়? যুদ্ধের কারনে পুরো বিশ্বেই অস্থিরতা আছে, কিন্তু তা কি আমাদের দেশের মত জীবনধারণের প্রাথমিক চাহিদাগুলোয় আঘাত হানার মত? হাজার কোটি টাকা পাচারের বিরুদ্ধে কি করা গেছে? কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, দুবাই, মালয়েশিয়াতে শুধুমাত্র গত ১০ বছরে বাংলাদেশীদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির তালিকা প্রকাশ করবেন? কখনো আমেরিকা, কখনো চীন, রাশিয়া বা ভারতের ধর্না না দিয়ে শুধুমাত্র জনগনের জন্য ভাবলে, তাদের পাশে থাকলে ক্ষমতায় টিকে থাকার চিন্তা করতে হয় কি?
ঢাল চাল মাংস সবজি এই গুলোর দামটা কী শুধু বাংলাদেশে বেড়েছে, পবিত্র রমজান মাসেও মিথ্যা বলতে ভয় পাননি, সম্প্রতি সারা দুনিয়াতে সব কিছুরই দাম বেড়েছে, শুধু বাংলাদেশে নয়, আর যে ভাবে সব কিছুর মুল্য বেড়ে গেছে, তদুরুপ মানুষের কাজের মজুরি বেড়েছে, এখন আর গ্রামের বাড়িতে কাজের লোক পাওয়া যায় না, আর পাওয়া গেলেও দিগুন মজুরি দিতে হয়, তাই আমি বলতে চাই জিনিস পত্রের মূল্য বেড়েছে, এবং মজুরির ও মুল্য বেড়েছে, না খেয়ে কি এখন কেউ মারা গেছেন, তিনি বলছেন স্বাধীনতাকে প্রশ্ন করতে পারার নামই স্বাধীনতা, এই প্রশ্ন টা কী গত ৪০ বছরেও করতে পেরেছিলেন,
সর্ব সত্য এটা যে, আয়ের তুলনায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক চরম মূল্যের কারণে সাধারণ লোকের খেয়েপরে টিকে থাকাটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পরেছে
স্বাধীনতা কারো একক সম্পত্তি নয় যে এটা নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে, চেতনার নাম বিক্রি করে জনগণকে শোষণ করা কবে, কিন্তু স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। বাহ্, বড় সুন্দর ই তো এই স্বাধীনতা। স্বাধীনতার নাম বিক্রি করে খাওয়া যাবে, চেতনার ব্যবসা করা যাবে, সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের ভোট চুরি করা যাবে, কিন্তু জনগণ কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারবে না। কত বড়ো চমৎকার স্বাধীনতা। তাইনা?
বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, ঠিক এই কথাটাই আমাদের সকলের কথা ছিল। কিন্তু বিএনপি জামাত তখন ক্ষমতার মোহে মত্ত। হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন এর ঠেলায় তখন আমাদের ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। সে অভিশাপ বিএনপি জামাত কুড়িয়েছে তা শোধ না যাওয়া পরযন্ত তারা এবং তাদের শেয়াল গুলো শুধু ফেউ ফেউ আর ভেউ ভেউ করা ছাড়া আর কিছুই নাই।
মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী সাহেবের সাথে একমত।
“চিরদিন কারো নাহি যায় সমান”- যখন চাউলের কেজি ৭০ টাকা, নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে কোন দিবস কখন আসলো আর গেলো, কে খবর রাখে। যারা ফুল বিক্রেতা অনেকের দেওয়া ফুল গোল কুড়িয়ে নিয়ে, আবার বিক্রি করে এক বেলা খাবার জোগাড় হলে, তাদের কাছে এক বেলা খাবার জোগাড় করাই বড় আনন্দের দিবস।
সারওয়ার ফারুকী যথার্থই বলেছেন। রিএকশন এর মাত্রা বেশীই দৃশ্যমান। শুভ বুদ্ধি হোক সংশ্লিষ্টদের।
আপনার মতামত টা সুন্দর, সব সুন্দর সব সময় বলতে নেই, আপনার নামে না আবার ডিজিটাল মামলা না হয়ে যায়।
Sotto always oprio.
জনাব কেউ না, ফারুকী সাহেব আসলেই জনগনের অংশ. So he can comments.
মানুষের সেবক হিসাবে সরকার হবে। মানুষের বিপরীতে কোনও সরকার এখন পৰ্যন্ত টিকে আছে ইতিহাসে নেই। এই দেশে সাধারণ মানুষ সব গরিব, সরকারের এমপি, মন্ত্রী, আমলা, সবাই ধনী। কি অবাক দেশ!
এখন আমরা ক্ষমতায়, আমরা যাহা বলিব, তাহা হইবে জানেন না?
পৃথিবীতে আজীবন থাকবে এই রকম কোনো সরকার এখনো আসে নাই এ কথা যেমন সত্যি, তেমনি সত্যি পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যত স্বৈরাচারী সরকার এসেছে তাদের চেষ্টা ও বিশ্বাস ছিল আজীবন টিকে থাকার।
চোখ বন্ধ করলেই প্রলয় থেমে যায় না। ফারুকী সাহেবরা ইনিয়ে বিনিয়ে কি বলতে চান তা কিন্তু আমরা বুঝি। ফারুকী সাহেবের কলাম পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে উনি আসল ঘটনা জানেন না। অপরাধ আর সাংবাদিকতা অবশ্যই এক জিনিস নয়।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা বলা যাবে না, অভাবের কথা বলা যাবে না, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কথা বলা যাবে না, ভোট ডাকাতির কথা বলা যাবে না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যাবে না। সরকার দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে
সত্য শুনলে উনাদের গা জ্বলে কেন,সারাদেশেই দ্রব্যমৃল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা,সেখানে একমাত্র উনারাই সুখে আছে।
জনাব ফারুকী সাহেব আমরা সমাজ, সভ্যতা, সংস্কৃতি, বন্ধন এই শব্দগুলি হয়তো আর ভবিষ্যত প্রজন্মকে বুঝাতে পারবোনা, কারণ কি দিয়ে বুঝাবো, উদাহরণ কি দিবো ?
ফারুকী সাহেব শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ না, পুরো বিশ্বের অবস্থা খারাপ এই রাশিয়া –উক্রেন যুদ্ধের জন্য। আর ঐ সাংবাদিক স্বাধীনতাকে টেনে এনে কথা বলবে কেন ?অন্য কিছুর মাধ্যমে সে প্রতিবাদী নিউজ করতে পারতো ।এই জিনিস টা একটু অন্য রকম লাগলো, আর সরকার বেশি দিন থাকবে নাকি কম দিন থাকবে সেটা আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। জনগনই সিধান্ত নিবে কোন সরকার থাকবে আর কোন সরকার থাকবে না ।
সত্য কথাটা না লেখে মিথ্যে কথা লেখলেই সমস্যা হত না এবং সরকার প্রধান চাইলে ও এই অবস্থা থেকে ফিরে আসতে পারবেনা , যদি পরিবর্তন না আসে । কারণ অতি উৎসাহীরা সব জায়গায় সক্রিয় ।
যতার্থই লিখেছেন, ক্ষমতাসীনদের যারা ধারক বাহক আছেন তাঁরাতো কিভাবে দেশ থেকে আরো হাজার হাজার কোটি টাকা কিভাবে পাচার করতে পারবে সেই নেশায় বুদ্ হয়ে আছেন আর দিবাস্বপ্ন দেখছেন তাঁরা আমরণ ক্ষমতায় থাকবে
একটি উত্তম পোস্ট। তবে যারা না ঘুমায়ে ঘুমের ভান করে তাদের ঘুম ভাংগানো যায় না। আবার গভীর ঘুম ভাংগানো না গেলে ঘুমেই মৃত্যু হতে পারে।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নিন্মোক্ত কথাগুলো মনকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। ১."স্বাধীনতাকে প্রশ্ন করতে পারার নামই স্বাধীনতা।" ২."এই রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে “চাইল-ডাইল-মাংসের স্বাধীনতা চাই”- শ্লোগানটার মধ্যে আরো কয়েক হাজার গুন বেশী শক্তি ইনজেক্ট করা হইলো।" ৩."কারন মনে রাখবেন “চিরদিন কারো নাহি যায় সমান”! ৪."পৃথিবীতে আজীবন থাকে এই রকম কোনো সরকার আসে নাই এখনো।" ৫."একটা স্বাস্থ্যকর সমাজে প্রেসের ভুল করার স্বাধীনতা থাকতে হবে" ৬."যদিও ছবি উলটপালট করা ছাড়া প্রথম আলোর রিপোর্টে ভুলটা কি আমি এখনও বুঝি নাই। রাস্তা ঘাটে মানুষতো বলতেছে, জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে তাদের নাভিশ্বাস উঠছে। এমনকি স্বয়ং মন্ত্রীরাও বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে দাম বেড়ে গেছে। তো এই কথাটা কেনো এতো কড়া রিঅ্যাকশন ইনভাইট করলো আমি বুঝলাম না।" ৭."যাই হোক শেষ করি একটা কথা দিয়ে। সমাজে প্রশ্ন করার জায়গা থাকতে হবে। দ্বিমত করার জায়গা থাকতে হবে।" বি.দ্র.: মাছ, মাংসের কথা বাদ দিলাম, সেটা বড়ো লোকদের জন্য। চাইল, ডাইল, নুন, তেলের স্বাধীনতা বাদ দিলে আমার থাকে কী? পুনশ্চঃ "স্বাধীনতাকে প্রশ্ন করতে পারার নামই স্বাধীনতা।"